1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মৃত্যুর সওদাগর'

৩০ জুলাই ২০১৪

ফ্রান্সের প্রত্যন্ত একটি শহর শেভ্রঁ৷ বর্তমানে বেশ গরিব এই জনপদটি প্রায় এক শতক আগে কিন্তু জনপ্রিয় ছিল৷ জনপ্রিয়তার কারণ সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল৷

Nobelpreis 2013 Medaille
ছবি: picture-alliance/dpa

যাঁর নামে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয়েছে৷ এক শতকেরও বেশি আগে প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঐ শহরে ডিনামাইটের পরীক্ষা চালিয়েছিলেন তিনি৷

শেভ্রঁর ইতিহাসবিদ দানিয়েল মোগিন জানালেন, ‘‘১৯ শতকের শেষ দিকে এই শহরেই বেশিরভাগ কাজ করেছেন নোবেল৷ মালাকফ অ্যাভিনিউতে ভীষণ অভিজাত ভবনে থাকতেন তিনি৷''

তখন ঐ গ্রামে ছিল মাত্র এক হাজার অধিবাসী৷ এখন সেখানে জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার৷ বর্তমানে বেকারত্ব, মাদক আর সহিংসতার শহর নামেই বেশি পরিচিত এটি৷ অথচ এক শতক আগে শহরটির চিত্র কিন্তু এমন ছিল না৷ শান্তিপূর্ণ শহর হিসেবে পরিচিত ছিল৷

ঐ শহরের আর্কাইভ বিভাগে কর্মরত কামেলে মাইলে জানালেন, ‘‘সপ্তাহান্তে প্যারিসের অধিবাসীরা কান্ট্রিসাইড উপভোগ করার জন্য এখানে আসেন৷ কারণ এখানে অনেক খামার আছে এবং চারদিকে অনেক সবুজ৷''

১৮৩৩ সালে আলফ্রেড নোবেল সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৮৭০ পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাযাবরের মত ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি৷ আর ১৮৬৭ সালে আবিষ্কার করেন ডিনামাইট৷ ১৮৮১ সালে শেভ্রঁতে একটি পার্কের মাঝখানে নিজের গবেষণাগার তৈরি করেন৷ সেখানেই চালাতেন বিস্ফোরক নিয়ে নানা পরীক্ষা৷ তাঁর প্রয়োজন ছিল শান্ত একটি এলাকা, যেখানে মানুষজন কম এবং শেভ্রঁ ছিল এজন্য একেবারে উপযুক্ত৷ তবে শেভ্রঁতে থাকার পেছনে তাঁর আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল৷ কারণ সেখানে ছিল গান পাউডারের কারখানা৷

প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঐ শহরে ডিনামাইটের পরীক্ষা চালিয়েছিলেন আালফ্রেড নোবেলছবি: picture-alliance/dpa

নোবেলকে ‘মৃত্যুর সওদাগর' হিসেবে অভিহিত করেছিল ফরাসি এক পত্রিকা৷ একবার ভুলবশতঃ নোবেলের ভাইয়ের মৃত্যুর খবরের বদলে নোবেলের মৃত্যুর খবর ছাপা হয়েছিল৷ শিরোনামে রেখা হয়েছিল, ‘‘মারা গেলেন মৃত্যুর সওদাগর৷'' পত্রিকাটিতে লেখা হয়েছিল, আলফ্রেড নোবেল, যিনি খুব অল্প সময়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর পথ তৈরি করেছেন গতকাল মারা গেছেন৷''

১৮৯০ সালে কোটিপতি নোবেল শেভ্রঁ ছেড়ে ইটালিতে যান এবং পাঁচ বছর পর মৃত্যুবরণ করেন৷ তবে বর্তমান প্রজন্মের কেউই জানেন না নোবেল একসময় শেভ্রঁতে দীর্ঘদিন থেকেছিলেন৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি'র সাংবাদিকরা যখন স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করেন তাঁরা বিষয়টি জানেন কিনা তখন অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন৷ তাদের অনেকেই ২০ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে সেখানে বাস করছেন৷ কিন্তু কেউ বিষয়টি জানেন না৷

এপিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ