1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণ

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সংসদের উভয় কক্ষে বাৎসরিক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে অনেক বিষয় তুলে ধরলেন৷ সীমান্তে প্রাচীর গড়ার প্রশ্নে এখনো অটল রয়েছেন তিনি৷

কংগ্রেসে ভাষণ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Photo/The New York Times/D. Mills

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার তাঁর ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কী বলতে চলেছেন, আগেই তার কিছুটা আভাষ পাওয়া যাচ্ছিলো৷ তার মধ্যে বেশ কিছু বিষয় সত্যি কংগ্রেসের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে তাঁর ৮২ মিনিটের ভাষণে উঠে এসেছে৷

ট্রাম্প বলেন, যেমন মেক্সিকো সীমান্তে তিনি প্রাচীর গড়ে তোলার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা তার অর্থায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করা সত্ত্বেও তিনি এই প্রাচীর নির্মাণের অঙ্গীকার করেন৷ বেআইনি অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রুখতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন৷ তাঁর মতে, এই সমস্যা জরুরি জাতীয় সংকটের রূপ নিয়েছে৷ এখনই জরুরি অবস্থা ঘোষণা না করলেও আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য অর্জনের ডাক দেন৷ তা সম্ভব না হলে তিনি এই প্রাচীর নির্মাণ করেই ছাড়বেন বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেভাবে তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছে, তার ফলে মার্কিন অর্থনীতির ক্ষতি হবে৷ তাঁর মতে, এই মুহূর্তে অ্যামেরিকায় এক ‘অর্থনৈতিক বিস্ময়' ঘটে চলেছে৷ একমাত্র অর্থহীন যুদ্ধ, রাজনীতি ও বিরোধী দলের উদ্যোগে হাস্যকর তদন্ত তার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প টিমের রাশিয়া কেলেঙ্কারি নিয়ে রবার্ট মালারের চলমান তদন্ত ছাড়াও বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্তের পরিকল্পনা করছে৷ 

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নিজের প্রশাসনের সাফল্যও তুলে ধরেন ট্রাম্প৷ গত ৫ দশকে বেকারত্বের সর্বনিম্ন হারের কৃতিত্ব দাবি করেন তিনি৷ বিশেষ করে উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি৷ তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার কোনো উদ্যোগ সম্পর্কে ট্রাম্প কিছু বলেননি৷

পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও ট্রাম্প কিছু সাফল্য ও পরিকল্পনার ঘোষণা করেন৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের অভাব সত্ত্বেও তিনি আগামী ২৭ ও ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে সে দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন৷

ট্রাম্প বলেন, চীন প্রকৃত কাঠামোগত পরিবর্তনে রাজি হলে সে দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব৷ সে ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটবে৷ আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে বোঝাপড়ার উদ্যোগেরও উল্লেখ করেন তিনি৷ সেটা সম্ভব হলে অনেক মার্কিন সৈন্যকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প৷ সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাফল্যের ফলে সেই অঞ্চল থেকেও মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি৷ তাঁর মতে, ‘‘মহান দেশগুলি কখনো অনন্তকাল ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যায় না৷''

বলা বাহুল্য, বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল প্রেসিডেন্টের ভাষণের বেশিরভাগ বিষয় মেনে নিতে নারাজ৷ বিশেষ করে প্রাচীর তৈরির প্রয়োজনীয়তা মানতে তাঁরা নারাজ৷ দলের সংসদ সদস্য প্রমীলা জায়াপাল বলেন, সীমান্তে সুরক্ষা সর্বকালের সেরা অবস্থায় রয়েছে৷ তাঁর মতে, ‘‘যথেষ্ট হয়েছে৷''

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওষুধের দাম কমানো ও অবকাঠামোর উন্নয়নের মতো কিছু বিষয়ে বিরোধীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ প্রেসিডেন্টের ভাষণের জবাবে স্টেসি অ্যাব্রামস বলেন, অভিবাসীদের উপস্থিতির কারণেই অ্যামেরিকা শক্তিশালী হয়েছে, প্রাচীরের কারণে নয়৷

এসবি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ