মাটির তলায় তৈরি হচ্ছে মেট্রোর সুড়ঙ্গ। উপরে একের পর এক শতাব্দীপ্রাচীন বাড়িতে ফাটল। কলকাতার বৌবাজার অঞ্চলে কেন বার বার একই ঘটনা ঘটছে?
বিজ্ঞাপন
৭৪ বছরের রাজলক্ষ্মী সেন কার্যত স্থির হয়ে বসেছিলেন একটি চেয়ারে। স্বামী মারা গেছেন। বৌবাজারের শতাব্দীপ্রাচীন বাড়িতে পা রেখেছিলেন বিয়ের পরে। পুরসভা সেই বাড়ি তাকে ছাড়তে বলেছে। বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হতে পারে। রাজলক্ষ্মীকে বলা হয়েছে, আপাতত পুরসভাই একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে তাকে। বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র বাগবাজারের একটি ওয়্যারহাউসে আপাতত রাখা হবে।
কেন বাড়ি ছাড়তে হবে রাজলক্ষ্মীকে? মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে ফাটল ধরেছে তার বাড়িতে। রাজলক্ষ্মী একা নন, বৌবাজারের বহু বাড়িতেই ফাটল ধরেছে। বাড়িগুলি ভেঙে পড়তে পারে যে কোনো সময়। তাই প্রশাসন বাড়িগুলি ফাঁকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৯ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে ধস নেমেছিল মাটিতে। ভেঙে গিয়েছিল বাড়ি। তিন বছর পর আবার সেই ঘটনা ঘটছে। কেন ঘটছে?
মেট্রোর কাজের জন্য বৌবাজারে বাড়িতে ফাটল, সরানো হলো বাসিন্দাদের
কলকাতার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে। সল্ট লেক থেকে শিয়ালদহ হয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো যাবে হাওড়ায়। সেই লাইন তৈরির কাজের ফলে বৌবাজারে গোটা দশেক বাড়িতে ফাটল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাড়িতে বিশাল ফাটল
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৌবাজার এলাকার দুর্গা পিতুরি লেনের গোটা দশেক বাড়িতে বড় ফাটল দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের ওই বাড়িগুলি যথেষ্ট পুরনো।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মেঝেতে ফাটল
এই বাড়িটিকে এমনিতেই বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে পুরসভা। তার উপর বুধবার রাতে এর মেঝেতে ফাটল ধরে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ফাটল ছাদেও
হেমন্ত গোস্বামীর বাড়ির ঠিকানা ১/৪ দুর্গা পিতুরি লেন। হেমন্ত দেখাচ্ছেন, তার বাড়ির ছাদে বিশাল ফাটল ধরেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ফেটেছে দেওয়াল
অনেকগুলি বাড়ির দেওয়ালে বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেই বাড়িগুলি বসবাসের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে গেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
জিনিসপত্র নিয়ে বাইরে
যে সব বাড়িতে ফাটল ধরেছে, তার বাসিন্দারা জিনসপত্র নিয়ে বাইরে চলে আসেন। রাস্তাতেই পড়ে আছে অনেক জিনিসপত্র।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
হোটেলে আশ্রয়
যাদের বাড়িতে ফাটল ধরেছে, তারা এখন হোটেলের আশ্রয়ে। পুলিশ ও পুরসভার থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, বিপজ্জনক বাড়িতে কেউ থাকতে পারবেন না। হোটেলে থাকার খরচ দিচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মেট্রো রেলের জন্য
বৌবাজারে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। সল্ট লেক থেকে ইস্টওয়েস্ট মেট্রো শিয়ালদহ হয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া যাবে। এই লাইনের কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। সেই কাজের জন্যই এই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছে বলে পুরসভা ও পুলিশ জানিয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আড়াই বছর আগেও
আড়াই বছর আগেও বৌবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য দুর্গা পিতুরি লেনের কিছু বাড়ির অংশবিশেষ ধসে যায়। সেসময় সুড়ঙ্গ খোঁড়ার ভুলের জন্য এরকম হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই আতঙ্ক আবার ফিরে এল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
প্রচুর পুলিশ
দুর্গা পিতুরি লেনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছেন পুরসভার কর্মীরাও। পুলিশ সেখানে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাসিন্দারা নারাজ
দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ। অনেকে বাড়ি ছেড়ে যাতে চাইছেন না। তাদের বোঝাতে পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় কাউন্সিলার সেখানে গেছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন
বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ক্ষতিপূরণ কবে দেয়া হবে? তারা দ্রুত ক্ষতিপূরণ চান। আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চান।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বারবার কেন?
বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িগুলো এমনিতেই খুব পুরনো। স্থানীয় মানুষের প্রশ্ন, সেখানে বারবার কেন মেট্রো রেলের কাজের জন্য বাড়িতে ফাটল ধরবে, বাড়ি ধসে পড়ে যাবে?
ছবি: Satyajit Shaw/DW
12 ছবি1 | 12
কলকাতার পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর। এর খানিকটা পথ মাটির উপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, কিছুটা পথ মাটির নীচ দিয়ে। শিয়ালদহ থেকে বৌবাজার হয়ে কার্জনপার্ক পর্যন্ত যে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, তা মাটির নীচে সুড়ঙ্গ কেটে তৈরি হচ্ছে। বাকি জায়গায় সমস্যা না হলেও বৌবাজার অঞ্চলে বার বার সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবং মেট্রো প্রকল্পের অন্যতম পরামর্শদাতা সোমনাথ ঘোষ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''২০১৯ সালে বৌবাজার অঞ্চলে মাটির প্রায় ২৫ মিটার নীচে যখন টানেল তৈরি হচ্ছিল, তখন আটমকা টানেলে জল ঢুকতে শুরু করে। কলকাতায় মাটির নীচে জলস্তর তিন থেকে পাঁচ মিটার গভীরে। টানেলে আটমকা জল ঢুকতে শুরু করায় মাটির উপরের অংশে ধস নামে। যার জেরে বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।'' সোমনাথের দাবি, এরপর ওই জল আটকানোর জন্য তারা নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন। কার্জনপার্কের দিক থেকে কাজ বন্ধ করে শিয়ালদহের দিক থেকে নতুন করে কাজ আরম্ভ করেন। জল যাতে না ঢোকে, তার জন্য একটি নতুন দেওয়াল তৈরি করা হয়। একইসঙ্গে চেম্বার তৈরি করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। গত তিন বছরে সুড়ঙ্গের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কার্জনপার্কের দিকের সুড়ঙ্গের সঙ্গে বৌবাজারের সুড়ঙ্গ জুড়তে গিয়ে ফের সমস্যা হয়। দিনকয়েক আগে সে ঘটনা ঘটেছে। ফের সুড়ঙ্গে জল ঢুকতে শুরু করে। ফলে ফের সুড়ঙ্গের উপরের মাটি আলগা হয়ে যায় এবং পুরনো বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিকল্পনার ঠিকমতো প্রয়োগ না হওয়াতেই ফের এই সমস্যা হয়েছে বলে মনে করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
ভারতের ১০ শহরে মেট্রো রেল
বাস এবং লোকাল ট্রেনে ধাক্কাধাক্কি করার পর নিত্যযাত্রীদের কাছে মেট্রোরেলের আগমন অনেকটা আশীর্বাদের মতোই৷ এখন ভারতের ১০টা শহরে মেট্রো রেল চলছে৷ ছবিঘরে দেখুন ভারতে কবে, কোথায় মেট্রোরেল চালু হয়েছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
কলকাতা
১৯৮৪ সাল থেকে কলকাতায় মেট্রো রেল চলছে৷ ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এবং দ্বিতীয় ব্যস্ততম মেট্রো রেল হিসেবে এর পরিচিতি আছে৷ শহরের ২৭ দশমিক ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা এই মেট্রো রেলপথের সীমানায়৷ নিত্যযাত্রীদের ভিড়ে এখন মেট্রোরেলেও দমবন্ধকর অবস্থা! তাই এ শহরে মেট্রো রেলপথ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/S. Paul
দিল্লি
রাজধানী দিল্লিতে মেট্রো পৌঁছেছে ২০০২ সালে৷ ১৬০ টি স্টেশন সমৃদ্ধ দিল্লির মেট্রো রেলপথ দেশের সবচেয়ে বড় মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক৷ প্রায় ২৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত এই রেলপথ ছড়িয়ে৷ দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক বলে পরিচিত এই মেট্রো রেল৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khanna
বেঙ্গালুরু
বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ট্রাফিকের সমস্যা লেগেই ছিল৷ তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে ২০১১ সালে মেট্রোর আগমন নিত্যযাত্রীদের কাছে স্বস্তিদায়ক বলে চিহ্নিত হয়৷ প্রায় ৪২ কিলোমিটার পর্যন্ত এই রেলপথ পৌঁছেছে৷ এই রেলপথ বাড়ানোর কাজ চলছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
গুরুগ্রাম
দিল্লি মেট্রো গুরুগ্রাম পর্যন্ত যায়৷ ব্যবসার কেন্দ্রস্থল দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামে একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন মেট্রো রেলপথ আছে৷ এটি প্রায় ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরত্বে যাতাযাত করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khanna
মুম্বই
দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বইতে মেট্রো রেলের আগমন ঘটেছে ২০১৪ সালে৷ এই মেট্রো রেল ১২ টি স্টেশনে থামে৷ কিন্তু একটা লাইনেই মেট্রো রেল চলাচল করে৷ ২০২৫ এর মধ্যে সারা মুম্বই শহর জুড়ে যাতে মেট্রো চালানো যায়, তার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে৷ সেই অনুযায়ী কাজও এগোচ্ছে বেশ৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe
চেন্নাই
চেন্নাই শহরে মেট্রোর আগমন মাত্র ৩ বছর আগে৷ ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ও তামিলনাড়ু সরকারের যৌথ উদ্যোগে মেট্রো রেল চালু হয়েছে৷ চেন্নাই মেট্রো রেল লিমিটেডের সহায়তায় এখন সেখানে রেলপথ বিস্তারের কাজ চলছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Sankar
জয়পুর
ভারতের ‘গোলাপী শহর’ জয়পুরে মেট্রো রেল চলাচলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে ২০১৫ সালে৷ এখন শহরে ১০ কিলোমিটারের রুটে দিব্যি চলছে মেট্রো৷ তবে ভবিষ্যতে এই রেলপথ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে৷
ছবি: Imago/Xinhua
কোচি
হালফিলে এই শহরে চালু হয়েছে মেট্রো রেল৷ ২০১৭ সাল থেকে সেখানকার যাত্রীরা মেট্রো রেলের সুবিধা পেয়ে চলেছেন৷ যে গতিতে সেখানে কাজ হচ্ছে, তাতে সারা দেশে হয়ত কোচি মেট্রো রেল পরিষেবায় একটা দৃষ্টান্ত রাখতে চলেছে৷ এই মেট্রো পরিষেবাকে একই সঙ্গে রেল, সড়ক এবং জল পরিবহণ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে৷ সারা দেশে এমন নজির আর নেই৷
ছবি: DW/M.Ansari
হায়দ্রাবাদ
‘সাইবার সিটি’ বলে পরিচিত হায়দ্রাবাদ শহরে মেট্রো রেলের উপস্থিতি গত বছর, ২০১৭ তে৷ এই মেট্রো রেলপথকে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় ২৪ টি স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল৷ এখন রেলপথ বিস্তারের কাজ চলছে পুরোদমে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
লক্ষ্ণৌ
২০১৭ সালেই লক্ষ্ণৌ শহরে মেট্রো চলাচল শুরু হয়৷ এই মেট্রো পরিষেবা উদ্বোধন কেন্দ্র করে খুব রাজনীতি শুরু হয়৷ কিন্তু চালু হওয়ার প্রথম দিনই মেট্রো ট্রেন যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দেড় ঘণ্টা বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে৷
ছবি: Imago/Hindustan Times
10 ছবি1 | 10
তার বক্তব্য, জল ঢোকা বন্ধ করে সুড়ঙ্গ তৈরি করলেই চলবে না, ওই সুড়ঙ্গ যখন ব্যবহার করা হবে, অর্থাৎ, যখন এরপর মেট্রো যখন চলবে সেখান দিয়ে, তখন মাটির ভিতর যে ভাইব্রেশন হবে, তা থেকেও উপরের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে মাটির সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে সুড়ঙ্গ এবং সারফেসের মধ্যবর্তী অংশ ভালো করে পাইলিং করা প্রয়োজন। এখনই সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা উচিত।
বস্তুত, বৌবাজার অঞ্চলের সুড়ঙ্গ নিয়ে চিন্তিত কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনও (কেএমআরসিএল)। এর জন্য আইআইটি রুরকিকে তারা ডেকেছে। রুরকির ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা করে দেখবেন কীভাবে সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। আগামী পরিকল্পনার খসড়াও তাদের তৈরি করার কথা। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের ফের আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা পুরনো বাড়িগুলির অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন।
কেএমআরসিএল-এর এমডি চন্দ্রশেখর ঝা জানিয়েছিলেন, কিছু বাড়ি ভেঙে ফের নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে। বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভাঙার কাজ সোমবারেই শুরু হয়েছে। পুজোর আগে ফের নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা রিপোর্ট দেওয়ার পরে সবিস্তারে পুরো পরিকল্পনার কথা জানানো হবে। তবে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের নতুন বাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এই প্রতিবেদনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তার দিকে যদি ভালোভাবে দৃষ্টি দেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে কীভাবে গত কয়েকদিনে বাড়ির গায়ে ফাটল ধরেছে। ছবির ডানদিকে হলুদ দেওয়ালে ফাটল স্পষ্ট। ছবির বাঁদিকে ইটের দেওয়াল কার্যত ভেঙে পড়েছে।
এমনই অবস্থা ওই অঞ্চলের একাধিক বাড়ির। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাতারাতি সমস্যার মোকাবিলা করতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। সময় নিয়ে ওই অংশের মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে নতুন করে তৈরি করে দিতে হবে। আর সুড়ঙ্গ এবং সারফেসের মধ্যবর্তী অঞ্চল প্রযুক্তির সাহায্যে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। এখন যা অবস্থা হয়ে আছে, তাতে ফের বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।