1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনালেতে তারুণ্যের বিকাশ

আরাফাতুল ইসলাম, বার্লিন থেকে১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব নানা কারণে খানিকটা ভিন্ন৷ এখানে চলচ্চিত্র প্রদর্শন কিংবা পুরস্কারই মূল বিষয় নয়৷ বরং একেকটি ছবির পেছনের গল্পও প্রাধান্য পায় এই উৎসবে৷ পাশাপাশি তরুণ নির্মাতাদের মেধার বিকাশে রয়েছে উদ্যোগ৷

ছবি: DW/F. Fiedler

বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা শুরু সেই ১৯৫১ সালে৷ দেখতে দেখতে এই উৎসব হয়ে উঠেছে পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আসর৷ ইতোমধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জন-আকর্ষণ সৃষ্টিকারী উৎসব হিসেবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে এটি৷

এই উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বার্লিনালে ‘ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস'৷ চলতি বছর আয়োজন করা হয় ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসের এগারোতম সংস্করণ৷ বিশ্বের ৯৬টি দেশের ৩০০ চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশ নেন ছয় দিনের আয়োজনে৷ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নানা দেশের ১৫০ চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ৷

‘ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস'এ একটি কর্মশালাছবি: DW

বার্লিনালে ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসের এত গুরুত্ব কেন? সাধারণের মনে জাগতে পারে এই প্রশ্ন৷ জবাবটা পাওয়া গেল এই আয়োজনের পরিচালক মাটিয়াস ভাউটার ক্নল-এর কাছ থেকে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এটা আসলে ব্যতিক্রমী মানুষদের এক মিলনক্ষেত্র৷ যারা চমকপ্রদ সব কাজ করেছে কিংবা করতে চাচ্ছে এবং যারা তাদের কাজ সম্পর্কে মানুষকে জানাতে চায়, তাদের জন্য এই আয়োজন৷ এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আরো ভালো কাজ করার উৎসাহ মেলে, মেলে সহায়তা৷ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের কাজ তুলে ধরারও সুযোগ পান মেধাবী নির্মাতারা৷''

এ বছরের ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস শেষ হয়েছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি৷ এই আয়োজনে এবার দর্শককে আরো বিনোদন কীভাবে দেওয়া যায়, তাদেরকে আরো বেশি আকৃষ্ট কীভাবে করা যায়, সে সব বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে ক্যাম্পাসে৷

তরুণ প্রতিভাদের আকর্ষণ করতে চায় বার্লিনালেছবি: DW

এখানে বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র সাতজন ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে৷ চলতি বছর একজনও এই আসরে ছিলেন না৷ অথচ নিজের সৃষ্টিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক চমৎকার মাধ্যম এই ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস৷ মাটিয়াস ভাউটার ক্নল জানালেন, এই আয়োজনে অংশ নিতে হলে বারংবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবসময় আগ্রহীদেরকে আবারো আবেদন করতে বলি৷ আমার মনে হয়, চলচ্চিত্র শিল্পে এটা স্বাভাবিক৷ আপনি যদি প্রথম ‘না' টিকেই চূড়ান্ত উত্তর হিসেবে ধরে নেন, সেটা ভালো হবে না৷''

বার্লিনালে ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়াও অবশ্য সহজ নয়৷ মাটিয়াস বলেন, প্রতি বছর গড়ে আমরা সাড়ে চার হাজারের মতো আবেদন পেয়ে থাকি৷ ১৩০টির বেশি দেশ থেকে এসব আবেদন আসে৷ আবেদনকারীরা তাদের কাজের ক্লিপ আমাদের কাছে পাঠান এবং কেন তারা বার্লিনালেতে অংশ নিতে চান, সেটা ব্যাখ্যা করে৷ এরপর আমরা মাত্র ৩০০ ব্যক্তিকে ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানাই৷

আগামী বছর বার্লিনালেতে অংশ নিতে আগ্রহীদের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখনি৷ আর যেমনটা মাটিয়াস জানিয়েছেন, একবার ‘না' মানেই শেষ নয়৷ তাই, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বারংবার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ