দায় স্বীকার করে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷ তিনি বললেন, দাবানলের মোকাবিলা আরো ভালোভাবে করা যেতো৷
বিজ্ঞাপন
ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া৷ মারা গিয়েছে ৫০ কোটি প্রাণী৷ কয়েক মাস ধরে চলা দাবানল বিপর্যস্ত করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে৷ তারপরেই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ৷ তিনি দাবানল সামলাতে ব্যর্থ৷ এই আবহে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন স্বীকার করে নিলেন, দাবানলের মোকাবিলা আরও ভালোভাবে করা যেত৷ এই বিপর্যয়ে সরকার যে ভাবে কাজ করেছে তা এ বার খতিয়ে দেখবেন তিনি৷
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে ছড়াতে থাকা দাবানল নেভাতে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে তাদের এ আন্দোলন৷
ছবি: Reuters/P. Braven
নিয়ন্ত্রণে আসছে না দাবানল
আগুন ছড়িয়েছিল সেপ্টেম্বরে৷ দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে জ্বলতে থাকা এ আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না৷ বৃষ্টিও নেভাতে পারেনি এ আগুন৷ বরং বিশাল এলাকা জুড়ে তা ছড়াচ্ছে৷ আরো দুই মাস এ আগুন জ্বলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Rycroft
বিক্ষোভ
শুক্রবারের বিক্ষোভ আয়োজন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন শহরে একযোগে রাস্তায় নেমে আসেন তারা৷ বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষও ধীরে ধীরে যোগ দেন এতে৷ একসময় বন্ধ হয়ে যায় সিডনি, ক্য়ানবেরা, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, হোবার্টের মতো বড় শহরগুলোর প্রধান সড়কগুলো৷
ছবি: Reuters/P. Braven
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ আন্দোলন ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে৷ শুক্রবারের বিক্ষোভ সরাসরি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়৷ সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানাতে জনমত গড়ে তুলতে ফেসবুক, টুইটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে৷
ছবি: Reuters/P. Braven
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
স্কট মরিসন দাবানল ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন অভিযোগ করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা৷ রাজপথে নামা আন্দোলনকারীদের স্লোগান ছিল ‘স্কোমো (স্কট মরিসন), হ্যাজ টু গো’৷ ব্যানার-ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছিল ‘দেয়ার ইজ নো ক্লাইমেট বি’, ‘সেভ আস ফ্রম হেল’ ইত্যাদি স্লোগান৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে #স্য়াকস্কোমো হ্যাশট্যাগ৷
ছবি: Getty Images/T. Nearmy
প্রাণহানি
এরই মধ্যে দাবানলে ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে৷ দাবানলে স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও সরীসৃপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আগুনে পোড়া ক্ষত নিয়ে অনেক প্রাণী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে৷
ছবি: AFP/S. Khan
উট হত্যা
পাঁচ দিন ধরে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০ হাজার উট হত্যা করছে অস্ট্রেলিয়া৷ চলমান দাবানলের কারণে নিজেদের আবাসস্থল ছেড়ে আদিবাসীদের শহরে চলে আসছে উটের দল৷ এ অবস্থা ঠেকাতে নেয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত৷ হেলিকপ্টার থেকে স্নাইপার দিয়ে গুলি করে মারা হচ্ছে বুনো উট৷ প্রথম দিনে প্রায় দেড় হাজার উট মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Getty Images/E. Shaw
6 ছবি1 | 6
তবে সরকার কিছুই করেনি, এই সমালোচনা উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি৷ এবিসি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মরিসন বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ও কাজ আরও ভালো হতে পারত৷
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, ''কিছু বিষয় আমার আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া উচিত ছিল৷ এ সব হল স্পর্শকাতর পরিবেশ সংক্রান্ত প্রশ্ন, ভাবাবেগের প্রশ্ন৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীও তো রক্তমাংসের মানুষ, বিশেষ করে লোকেদের দায়িত্ব দিয়ে কাজে লাগানোর প্রশ্নে৷''
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে ‘৫০ কোটি’ প্রাণীর মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দাবানলে স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও সরীসৃপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আগুনে পোড়া ক্ষত নিয়ে অনেক প্রাণী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে৷
ছবি: Reuters/P. Sudmals
প্রাণ বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীদের কাছে
অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলসে দাবানলে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ অনেক প্রাণী আগুনের হাত থেকে বাঁচতে জঙ্গল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Oakbank Balhannah CFS
পরিসংখ্যান
অস্ট্রেলিয়ার জীব-বৈচিত্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস ডিকম্যান দাবানলে প্রাণী মারা যাওয়ার একই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন৷
ছবি: Getty Images/B. Hemmings
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার
২০১৭ সালে করা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ) এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অধ্যাপক ডিকম্যান এই পরিসংখ্যান তৈরি করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Smith
স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ
ডব্লিউডব্লিউএফর প্রতিবেদন অনুযায়ী নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৮টি স্তন্যপায়ী প্রাণী, প্রায় ২১টি পাখি এবং প্রায় ১৩০টি সরীসৃপ বাস করে৷ ১২ দিন আগ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী ৩০ লাখ হেক্টরের বেশি বন আগুনে পুড়ে গেছে৷
ছবি: Reuters/Adam Stevenson
বড় প্রাণী
যদিও নিশ্চিতভাবেই ক্যাঙ্গারু বা উটপাখির মত বড় প্রাণী এবং হয়তো অনেক পাখি দাবানল থেকে পালিয়ে বাঁচতে পেরেছে৷ তবে লাজুক প্রজাতির বা ছোট প্রাণীদের ভাগ্য তাদের মত হয়নি বলে মত অধ্যাপক ডিকম্যানের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Rycroft
২৪ জনের মৃত্যু
গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর হয়েছে৷
ছবি: AFP/W. West
বায়ু দূষণ
দাবানলের ধোঁয়ায় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বায়ু দূষণের মাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan
7 ছবি1 | 7
মরিসন বলেছেন, এক্ষেত্রে জাতীয় তদন্ত খুবই জরুরি৷ দরকার হলে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে৷ জনস্বার্থে দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত, রয়্যাল কমিশন জুডিশিয়াল রিভিউ হবে৷ আমি শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব আনব৷ তারপর রাজ্য ও অঞ্চলগুলির সঙ্গে কথা বলব৷ যে বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত হবে তার মধ্য়ে আছে, স্থানীয় ও জাতীয় ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থাকালীন পরিষেবা, সঙ্কট নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং পরিবেশ বদলের প্রতিক্রিয়া৷
দাবানলের বছর ২০১৯
২০১৯ সালে পৃথিবীর নানাপ্রান্ত আক্রান্ত হয়েছে দাবানলে৷ কখনো তীব্র গরমে জ্বলেছে আগুন, কখনো অভিযোগ উঠেছে নাশকতার৷ কিন্তু কারণ যা-ই হোক, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য, ঘটেছে প্রাণহানি৷
ছবি: Reuters/S. N. Bikes
জ্বলেছে পৃথিবীর ফুসফুস
কয়েক সপ্তাহ ধরে আগুন জ্বলে বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট আমাজনে৷ গ্রহের ২০ শতাংশ অক্সিজেন একাই উৎপাদন করে এ বন৷ ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানায়, চলতি বছর ব্রাজিলজুড়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ বেশিরভাগই ঘটেছে আমাজন অঞ্চলে৷ ফসল ফলানোর জন্য কৃষকরাই বন সাফ করছেন, এমন অভিযোগও উঠেছে৷
ছবি: REUTERS
হুমকিতে জীববৈচিত্র্য
ব্রাজিলে এ বছর শুধু আমাজনেই আগুন লাগেনি৷ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কেরাডো তৃণভূমিতে আগুন লাগার ঘটনা আরো বেশি৷ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ অঞ্চলটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাতেও রয়েছে৷ তৃণভূমির অর্ধেকের বেশি সবুজ এলাকা এরই মধ্যে ধ্বংস হয়েছে৷
ছবি: DW/J. Velozo
ওরাংওটাং
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও বোর্নিওতে ৪০ হাজার হেক্টরেরও বেশি এলাকাজুড়ে মাসখানেক ধরে আগুন জ্বলেছে৷ এরই মধ্যে অস্ত্বিত্বের হুমকিতে থাকা অনেক ওরাংওটাং এসব দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে৷ যারা প্রাণে বেঁচেছে, তারাও হারিয়েছে পর্যাপ্ত বাসস্থান৷ এসব এলাকায় মাটির নীচে গাছের শক্ত শেকড় থাকায় আগুন নেভানোও বেশ কঠিন হয়ে পড়়ে৷ গবেষকরা বলছেন, এই আগুনে ৭০ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড মুক্ত হয়েছে পরিবেশে৷
ছবি: REUTERS
পুড়ে শেষ ক্রান্তীয় জলাভূমি
বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলাভূমি, প্যান্টানালও এ বছর দাবানলের শিকার হয়েছে৷ প্যান্টানাল জলাভূমির বেশিরভাগ অংশই ব্রাজিলে অবস্থিত, তবে বলিভিয়া এবং প্যারাগুয়েতেও এর কিছু অংশ রয়েছে৷ এই বছরের আগুনের ঘটনার সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে৷ আট হাজার দাবানলের খবর মিলেছে এই এলাকায়৷ বলিভিয়াতেই ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১২ লাখ হেক্টর বন৷ এ ঘটনাকে দেশটির ইতিহাসের বৃহত্তম জীববিপর্যয় বলে অভিহিত করেন বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Raldes
ক্যালিফোর্নিয়ার বুশফায়ার
এ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যজুড়ে ছড়ায় বুশফায়ার৷ প্রচণ্ড গরমে শুষ্ক আবহাওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন৷ মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়, ধ্বংস হয় ঘরবাড়ি৷ আগুনে মারা যান তিন জন৷ কয়েক হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন৷
ছবি: Imago Images/ZUMA Press/H. Gutknecht
আর্কটিকেও আগুন
বরফে আচ্ছাদিত আর্কটিক সার্কেলেও এ বছর আগুন লেগেছে৷ সাইবেরিয়াতে তিন মাস ধরে শত শত দাবানলে ৪০ লাখ হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে রাশিয়াকে সেনা মোতায়েন পর্যন্ত করতে হয়৷ আলাস্কাতে ৪০০-রও বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে৷ দাবানল ছড়িয়েছে ক্যানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডেও৷
ছবি: Imago Images/ITAR-TASS
বুশফায়ারে নিহত হাজারো কোয়ালা
অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর নজিরবিহীন বুশফায়ারের ঘটনা ঘটে৷ খরা, শুকনো তাপমাত্রা এবং শুকনো বাতাসে ১০ লাখ হেক্টরের বেশি আলাকা জুড়ে আগুন জ্বলে৷ এতে চার জন মানুষের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটে অন্তত এক হাজার কোয়ালার৷ কোয়ালাকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা একটি প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ এ বছর এমন ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীগুলোই দাবানলের ঘটনায় আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
ছবি: Reuters/S. N. Bikes
7 ছবি1 | 7
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও মনে করছেন, দাবানলের পিছনে পরিবেশ বদলের প্রভাব অনস্বীকার্য৷ কারণ, গ্রীষ্ম এখন দীর্ঘ, তীব্র ও আরও শুকনো হয়েছে৷ সমালোচকদের মতে, দাবানল নিয়ে অতীতে পরিবেশ বদল ও অস্ট্রেলিয়ার কয়লা শিল্পের ভূমিকার কথা মানতে চাইছিলেন না মরিসন৷ এ বার অন্তত পরিবেশ বদলের কথা তিনি বলেছেন৷ তবে মরিসন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয়, আর্থিক, সামাজিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তিনি পরিবেশ বদল রুখতে উদ্য়োগী হবেন৷