1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মেরে সন্ত্রাসী তৈরি করা যায়, শিক্ষার্থী না'

২২ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশে শিশুদের শারীরিক নির্যাতনে বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও, শিশুরা অহরহ শাস্তির স্বীকার হচ্ছে৷ আমাদের ফেসবুক পাতায় শাস্তির পক্ষে-বিপক্ষে পাঠকদের নানা মন্তব্য উঠে এসেছে৷

Symbolbild Kindesmisshandlung Bestrafung familiäre Gewalt
ছবি: picture alliance/ANP/R. Koole

ডয়চে ভেলের পাঠক মামুন চান না যে, শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হোক৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘শিশু নির্যাতন বন্ধ হোক৷''

তবে অনাথ বন্ধু দেবনাথের কিন্তু ভিন্ন মত৷ তিনি বলছেন, ‘‘একটু না মারলে সন্তান অমানুষও হতে পারে৷'' নীল কাব্যও অনেকটা তাই মনে করেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘না মারলে তো বেয়ারা হয়ে যাবে৷''

আসলে আগের দিনে ছেলে-মেয়েদের অনেক মা-বাবাই শাসন করতে গিয়ে কিছুটা মারধর করতেন৷ তবে আজকের যুগে এটা অনেকটাই কমে গেছে৷ পশ্চিমা বিশ্বে সন্তানকে শারীরিক নির্যাতন করার খবর প্রকাশ হলে তো বাড়িতে পুলিশ পর্যন্ত এসে হাজির হয়৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু উৎপল কুমার আজকের যুগের সচেতন মা-বাবার মতোই বলছেন যে, ‘‘শিশুকে ভালোবাসা দিয়ে পড়াতে হবে৷'' মানিক রাইতার এবং রেজা তামিমও ঠিক এমনটাই মনে করেন৷

তবে বাংলাদেশের শিশু অধিকার ফোরাম-এর পরিচালক আব্দুস শহিদ মাহমুদ এবং ব্লাস্ট-এর উপ-পরিচালক মাহবুবা আক্তার দু'জনই মনে করেন, শিশুদের শারীরিক শাস্তি বন্ধ করতে পুরনো আইন বাতিলের পাশাপাশি নতুন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন, প্রয়োজন ব্যাপক গণসচেতনতা এবং প্রচারণা৷

শিশু শাস্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারি আইন-কানুনে আমাদের পাঠক মামুন খান তেমন বিশ্বাস করতে পারছেন না৷ ‘‘....অনেক শুনেছি কামরুলের ফাসিঁ হচ্ছে, কিন্তু কোথায়? মনে হয় টাকার বিনিময়ে সব রফাদফা হয়ে গেছে''৷

‘‘মেরে সন্ত্রাসী তৈরি করা যায়, শিক্ষাথী না৷'' এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আকরাম হোসেনের৷

মাকে আবার কোন শিশু জ্বালায় না? শিশুরা তো দুষ্টুমি করবেই৷ মাঝে মাঝে অনেক শিশু হয়ত বা একটু বেশিই করে৷ আর সে কথাটাই মনে হয় বোন নাজনীন আক্তার বলতে চেয়েছেন৷ তিনি একটু রসিকতা করেই ডয়চে ভেলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘আপনাদের তথ্যগুলোর সাথে যদি এটাও বলতেন যে, মেজাজ কন্ট্রোল করবো কীভাবে, তাহলে উপকার হতো অনেক৷''

পাঠক অর্জুন বৈদ্যর কাছে ডয়চে ভেলে থেকে প্রকাশিত শিশু নির্যাতন বিষয়ক রিপোর্টগুলো ভালো লেগেছে৷ সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এখন অনেককিছুই বদলে গেছে৷ আমি এমন এক পরিবারের বড় হয়েছি, যেখানে মেয়েরা অনেক বেশি এগিয়ে ছিল এবং তাঁরা আজকে সফল৷ আমার পরিবারকে নিয়ে সেজন্য আমি গর্বিত৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ