দুনিয়ার প্রায় সব দেশেই মেলা আয়োজনের সংস্কৃতি আছে৷ জাতিগত সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে এই মেলাগুলো হয়ত একেক দেশে একেকরকম হয়৷ তবে আয়োজনে ভিন্নতা থাকলেও আমার দৃষ্টিতে সব মেলারই উদ্দেশ্য এক৷ আর তা হলো, মানুষকে আনন্দ দেয়া৷
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র জার্মানির অন্যতম মেলা ‘অক্টোবরফেস্ট' দেখার সুযোগ হয়েছে আমার৷ আর তখনই চোখে পড়লো বাংলাদেশের মেলাগুলোর চেয়ে এদেশের মেলার কিছু পার্থক্য৷
অক্টোবরফেস্ট মূলত বিনোদন মেলা৷ অনেকের কাছে এটি কেবলই ‘বিয়ার পান'এর মেলা৷ তবে আমার কাছে এই মেলাকে তার চেয়েও বেশি কিছু মনে হয়ছে৷ প্রায় ২০ দিন ধরে চলে এই মেলা৷ কখনও কখনও সময় বাড়ানো হলে তার চেয়েও বেশি সময় ধরে চলে৷ সময় গড়াতে থাকলেও মানুষের আগ্রহে কিন্তু ভাটা পড়ে না৷ এত বড় পরিসরের একটা মেলা অথচ আয়োজনটা প্রায় যেন ত্রুটিহীন৷
বাংলাদেশে এধরনের মেলার মধ্যে বৈশাখী মেলা, পৌষমেলা, জাতীয় লোকজ উৎসব, নবান্ন উৎসব অন্যতম৷ এর বাইরে শহুরে সমাজে আজকাল বসন্ত বরণ, বর্ষা বরণ, পিঠা উৎসব, মধু মেলা হয়ে থাকে৷ শহরের মধ্যে খানিকটা জায়গা বের করে কখনও কখনও জিনিসপত্রের পসরার বাইরে ছোট্ট করে শিশুদের জন্য নানান খেলাধুলার আয়োজনও হয়৷ তবে, এটা ঠিক যে আমাদের বাবা-চাচাদের কাছ থেকে মেলার যে গল্প শুনেছি তা গত ত্রিশ বছরে আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি৷ তারপরও আমার সময়ে গ্রাম-শহর দুই জায়গাতেই অবশ্য বেশ কিছু মেলা আমি দেখেছি৷
জার্মানির সবচেয়ে বড় সাত লোকউৎসব
মিউনিখের অক্টোবরফেস্টে অংশ নিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন৷ প্রতিবছর ষাট লাখের বেশি মানুষ জড়ো হন এই লোকউৎসবে৷ তবে এরকম উৎসব জার্মানিতে আরো আছে৷ চলুন সেগুলো দেখে নেই৷
ছবি: Stadtmarketing Herne
মিউনিখের অক্টোবরফেস্ট
নিঃসন্দেহে জার্মানির সবচেয়ে বড় লোকউৎসব অক্টোবরফেস্ট৷ প্রতিবছর ষাটলাখের বেশি মানুষ বাভারিয়ার এই উৎসবে হাজির হন, যাদের একটি বড় অংশ বিদেশি পর্যটক৷ কেউ কেউ সরাসরি উৎসবের বিয়ারের তাঁবুতে চলে যান৷ এমনকি সকালেও সেসব তাঁবুর সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়৷ এরকম উৎসব কিন্তু জার্মানিতে আরো আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Markus C. Hurek
রাইনের পাড়ে কারমেস
বিয়ারের তাঁবু আর মেলায় বাদ্যবাজানোর দল শুধু বাভারিয়াতেই দেখা যায় না৷ জার্মানির নর্থরাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যেও বড় বড় উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে কারমেস, যেটি জুলাই মাসে দশদিনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়৷ ফেরিস হুইল, লগ ফ্লুম এবং রোলার কোস্টারের মতো রাইডের দেখা মেলে এই উৎসবে, আর এতে বছরে গড়ে হাজির হন চল্লিশ লাখ মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্রানগার কারমেস
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের দ্বিতীয় বড় উৎসবটি পাঁচ কিলোমিটার অবধি বিস্তৃত৷ এতে পঞ্চাশটির মতো আকর্ষণ রয়েছে৷ এই উৎসবের এক অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে ঘোড়ার বাজার এবং উদ্বোধনের আগের বিশেষ শো৷
ছবি: Stadtmarketing Herne
ব্রেমেন ফ্রি ফেয়ার
ব্রেমেন ফ্রি ফেয়ারের লম্বা ইতিহাস রয়েছে৷ সেই ১০৩৫ সালে তৎকালীন সম্রাট দ্বিতীয় কনরাড ব্রেমেন শহরকে এই মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিলেন৷ মেলায় কৃষক, কারিগর এবং ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন৷ হাজার বছর ধরে বাৎসরিক এই মেলা চলছে৷ অক্টোবরে সতের দিনের জন্য এটি আয়োজন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হামবুর্গার ডোম
ব্রেমেনের ফ্রি ফেয়ারের মতো হামবুর্গার ডোমের শুরুও সেই একাদশ শতকে৷ সেসময় কৃষক, কারিগর এবং ব্যবসায়ীরা হামবুর্গের ক্যাথড্রালের চারদিকে পণ্যের পসরা সাজানো শুরু করেন৷ সেই ভবন এখন আর নেই, তবে মেলাটি আছে৷ প্রতিবছর প্রায় চল্লিশ লাখ মানুষ এই মেলায় আসেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Bockwoldt
ক্যান্সটাটার লোকউৎসব
বাভারিয়ার প্রতিবেশী রাজ্য বাডেন ভুর্টেমব্যার্গের বিশেষ আকর্ষণ ক্যান্সটাটার লোকউৎসব৷ সেপ্টেম্বেরের শেষের দিক থেকে অক্টোবরের শুরু অবধি এই মেলার আয়োজন করা হয়৷ অক্টোবরফেস্টের মতো এই মেলাতেও অনেক মানুষ ভিড় করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Bockwoldt
লিবোরি
পাডারবনে আয়োজিত বিশেষ এই মেলায় বছরে ষোল লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন৷ এটি মূলত চার্চ উৎসব, কারমেস, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ফ্লি মার্কেটের এক মিশ্রন৷ গত কয়েক শতক ধরে নিয়মিত এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dunker
7 ছবি1 | 7
বাংলাদেশে মাসব্যাপী বইমেলা ছাড়া কোন বিনোদন মেলা লম্বা সময় ধরে হওয়ার রেকর্ড নেই৷ আর তাছাড়া বিশাল এলাকা জুড়েও হয় না৷ শহরে তো বটেই, গ্রামেও না৷ তবে ইউরোপ আর বাংলাদেশে বিনোদনের ধরনগুলো প্রায় একইরকম৷ খাবারের আয়োজন, নানা ধরনের রাইড, মেলার একপাশে যাত্রাপালা বা জাদুর আসর, নানান ধরনের স্যুভেনিরের দোকান... এই তো৷
শুরুতেই যদি খাবারের প্রসঙ্গে আসি তাহলে দেখা যাবে বাংলাদেশের মেলাগুলোতে হালকা খাবারের জিনিস বেশি চোখে পড়ে৷ অর্থাৎ কেউ সারাদিন থাকতে চাইলে নি:সন্দেহে তাকে ক্ষুধার কষ্ট করতে হবে৷ তবে একেবারে ঘরে তৈরি নাড়ু, মুড়ি, খৈ, বাতাসা....এসবের সাথে দুনিয়ার আর কোন কিছুর তুলনা চলে না৷ ইউরোপের মেলায় হাজার পদের খাবার হয়ত থাকে, ভোর থেকে রাত অবধি সময় কাটাতে চাইলে এবং একেক বেলায় একেক খাবার খেতে চাইলেই পাওয়া যাবে, কিন্তু তাতে আমার খুব একটা স্বস্তি মিলবে না৷
অক্টোবরফেস্টে অনেকে কেবল বিয়ার পান করতেই যান৷ সাথে দিনভর চলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা৷ সেই আড্ডা চাইলে মাঝরাত পর্যন্তও চালিয়ে নেয়া যায়৷ বাংলাদেশের কোন মেলাতে এটি সম্ভব নয়৷ কেউ চাইলে শতাধিক রাইড এ চড়তে পারেন না৷ একসাথে সব বয়সিদের জন্য এত রাইড অবশ্য বাংলাদেশে এখনও নেই৷ এখনও নাগরদোলা, স্লিপার, দোলনা এসবেই সীমাবদ্ধ বাংলাদেশের রাইডের আয়োজন৷
এদেশের মেলার আরেকটি বিশেষ দিক হলো, সব বয়সিদের অংশগ্রহণ৷ এমনকি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও অক্টোবরফেস্ট উপভোগ করতে আসেন দর্শনার্থীরা৷ বাংলাদেশে অবশ্য এখনও এমন আন্তর্জাতিক মানের কোন মেলা হয়নি৷
তবে আমাদের দেশেও এক সময় গ্রামীণ মেলাগুলোতে নাতি নাতনিদের হাত ধরে দাদা-নানারা নিয়ে যেতেন৷ জিলাপি, নিমকি, সন্দেশ কিনে দিতেন৷ সেই অর্থে সব বয়সিদের অংশগ্রহণ ছিলো৷ তবে এখন হয়ত এই সংখ্যা অনেকখানিই কমেছে৷
অক্টোবরফেস্টের আয়োজনের সবখানেই চোখে পড়ে মুন্সিয়ানা৷ অচেনা শহরে হঠাৎ করে যদি কেউ চলে আসেন মেলা দেখতে, কোন সমস্যা নেই ভেন্যু চিনতে৷ শহরের মূল পরিবহন স্টেশন থেকেই সাদা চুনকালিতে ‘অক্টোবরফেস্ট' লিখে তীর চিহ্ন দেয়া৷ ফলে যে কেউই খুঁজে বের করে ফেলতে পারবেন৷
প্রতিবছর এই মেলায় প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ লাখ মানুষ অংশ নেন৷ তার মানে হলো, প্রতিদিন গড়ে হাজার হাজার মানুষ৷ এত মানুষের মেলায় নিরাপত্তার কোন বাড়াবাড়ি চোখে পড়লো না৷ কেবল প্রবেশের সময় ব্যাগ তল্লাশি হলো৷ এরপর পুরো সময় একজন পুলিশও মেলার ভেতরে নজরে আসেনি৷ তবে ইদানিং বাংলাদেশের যে-কোনো অনুষ্ঠানে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের বাড়াবাড়ি উপস্থিতি অনেকাংশেই অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে বলেই আমার মনে হয়৷ পহেলা বৈশাখের মতো সার্বজনীন উৎসবে রাজধানীতে বিকেল ৫টার পর কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়, যা সত্যিই দু:খজনক৷
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো রাজধানী জুড়ে যখন মেয়েরা সাদা-লাল বা রঙ্গিন শাড়ি পরে, খোপায় ফুল গুঁজে হেঁটে যায়, আর ছেলেরা পাঞ্জাবি- পাজামা, সেই দৃশ্য যেমন অসাধারণ, তেমনি জার্মানিতেও অক্টোবরফেস্টে মেয়েরা ড্রিনডেল আর ছেলেরা লেডারহোসে পড়ে ঘুরে বেড়ায় শহর জুড়ে, সেটিও চমৎকার লাগে দেখতে৷
তবে অক্টোবরফেস্ট এক জায়গায় খুব এগিয়ে৷ আর তা হলো, এত মানুষের জন্য টয়লেটের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা৷ ঝকঝকে তকতকে টয়লেটের আশা তো আমার ছিলই না, বিশেষত নিজের দেশের যে অভিজ্ঞতা আমার আছে৷
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিচিত্র কয়েকটি মেলা
বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ গ্রামীণ মেলা৷ বিভিন্ন পালা পার্বণকে কেন্দ্র করে বছরজুড়ে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় গ্রামীণ লোকজ মেলা বসে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে৷ কয়েকটি গ্রামীণ মেলা দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
লোক ও কারুশিল্প মেলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতি বছর মাসব্যাপী বসে লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব৷ সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে প্রতি বছর এ মেলা শুরু হয় জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ লোকজ মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকার সব রকম লোকজ সংস্কৃতি ও কুটির শিল্প সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হন শিল্পীরা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বৈশাখী মেলা
এটি মূলত সার্বজনীন লোকজ মেলা৷ বাংলা নতুন বছরের শুরুতে বাংলাদেশের সর্বত্রই আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার৷ নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তোলে এ বৈশাখী মেলা৷ স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব প্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী এই মেলার মূল আকর্ষণ৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রাস মেলা
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবনের দুবলার চরে প্রতিবছর কার্তিক-অগ্রহায়নের পূর্ণিমা তিথিতে বসে রাসমেলা৷ অনেক হিন্দু পুন্যার্থী আর পর্যটক এ উৎসবে শামিল হতে দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন৷ এ উপলক্ষ্যে পাঁচ দিনের একটি মেলাও মেলা বসে দুবলার চরে৷ মেলাটি চলে আসছে ১৯২৩ সাল থেকে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
লাঙ্গলবন্দের মেলা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলমম্বীরা চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী বা অশোকাষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নানের জন্য সমবেত হন৷ এ উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপী মেলা বসে ব্রহ্মপুত্রের দুই তীরে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
গুড়পুকুরের মেলা
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি ৩০০ বছরেরও বেশি৷ বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজাকে কেন্দ্র করে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়৷ চলে একমাস৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
পোড়াদহের মেলা
গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি এলাকায় ইছামতি নদীর তীরে আড়াইশ বছর ধরে বসে ব্যতিক্রমী এক মেলা৷ প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার বসে দুই দিনের এ মেলা৷ এ মেলার মূল আকর্ষণ বড় বড় আকৃতির নানা রকম মাছ৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রাশ লীলার মেলা
মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা কমলগঞ্জ আর আদমপুরে কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় মনিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব রাস লীলা৷ এ উপলক্ষে তিন দিনের মেলা বসে কমলগঞ্জের মাধবপুর ও আদমপুরের সনাঠাকুর মণ্ডপ এলাকায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রথের মেলা
সাধারণত বাংলা বছরের আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথের মেলা বসে৷ সবচেয়ে বড় রথের মেলা বসে সাভারের ধামরাইয়ে৷ এছাড়া কুষ্টিয়ার রথখোলার মেলা, রাজশাহীর পুঠিয়ার রথের মেলা, সিলেটের লামাপাড়া রথযাত্রার মেলা উল্লেখযোগ্য৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
লালন মেলা
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার ছেঁউড়িয়া গ্রামে মরমী শিল্পী লালন সাঁইয়ের সামাধিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দুইবার লালনমেলা অনুষ্ঠিত হয়৷ তার একটি হচ্ছে লালন সাঁইজির তিরোধান তিথি উপলক্ষে এবং অন্যটি দোলপূর্ণিমায় লালন প্রবর্তিত সাধুসঙ্গ উপলক্ষে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মধু মেলা
যশোরজেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে প্রতি বছর বসে সপ্তাহব্যাপী মধু মেলা৷ বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হয় এ মেলার আয়োজন৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বটতলায় বৌমেলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চারশ’বছরের পুরানো একটি বট গাছকে কেন্দ্র করে যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে বউ মেলা৷ বৈশাখ মাসের দ্বিতীয় দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরা পরিবারের সুখ শান্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানকার বট গাছকে পূজা করেন৷ এ উপলক্ষে পাঁচদিনের মেলাও বসে বট গাছের চারপাশে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
11 ছবি1 | 11
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷