1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসিরা নন, বিশ্বকাপকে চাঙ্গা রেখেছেন দর্শকরা

১৮ ডিসেম্বর ২০২২

নানা কারণে কাতার বিশ্বকাপ শুরু থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল৷ তবে এশীয়, আরবীয় ও লাতিন দর্শকদের উপস্থিতিতে আসরটি যথেষ্ট চাঙ্গা ছিল৷

ছবি: CARL RECINE/REUTERS

বিশ্বকাপের হৃদয় হলো এর দর্শকেরা৷ তারা আসেন, দলকে সমর্থন করেন, প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিতর্কে নামেন৷ রঙিন করেন আসর৷ উপভোগ করেন আয়োজক দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য৷ তবে জার্মানিসহ এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে ইউরোপীয়দের আগ্রহ কম দেখা গেছে৷ তবে দর্শক সমর্থকদের মধ্যে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও মরক্কোর জন্য বিশেষ জায়গা লক্ষ্য করা গেছে৷

ছবি: Simon Holmes/NurPhoto/IMAGO

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক সমর্থক

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থক বহির্বিশ্বে কতটা তা খুব ভালো করে বোঝা গেছে এবারের বিশ্বকাপে৷ বিশেষ করে কাতারে বাস করা হাজারো বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর্থকের ভালোবাসা দেখেছে বিশ্ব৷ এছাড়া ভিন্ন মহাদেশে হলেও আরব দেশ মরক্কোর সমর্থন শুধু আরব বিশ্বেই আটকে থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে, আরো পরিষ্কার করে বললে মুসলিম বিশ্বে৷

অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্বকাপ

এবার অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ‘বিশেষ' বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ৷ তাদের জন্য আল রাইয়ান শহরে সাড়ে ১৪ হাজার ধারণক্ষমতার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় স্ক্রিনে খেলা দেখার আয়োজন করেছে৷ সেখানে প্রতিবারই মেসি, রোনাল্ডো বা নেইমারের ছবি ভেসে উঠলেই খুশিতে চিৎকার করেছেন হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক৷ মূল আয়োজন থেকে দূরে তারা এক ভিন্ন বিশ্বকাপ উপভোগ করেছেন৷

কাতারে এসব স্টেডিয়াম বানানো এবং এখানে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে৷ এই স্টেডিয়ামগুলো বানাতে বাংলাদেশিসহ অনেক শ্রমিক মারা গেছেন৷ কাতার এসব নেতিবাচক প্রচারণায় বেশ অস্বস্তিতেই ছিল বৈকি৷ তাই বিশ্বকাপ নিয়ে কাতারিরা দেশের ভেতর গৌরব অনুভব করলেও বিদেশিদের এমন সমালোচনায় নাখোশ ছিলেন৷

ছবি: Ulmer/Teamfoto/IMAGO

‘পারিবারিক' পরিবেশের বিশ্বকাপ

এই বিশ্বকাপের আরো একটি দিক ছিল, এটি একটি সংযত বিশ্বকাপ৷ বিয়ার পানে নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে কাতারিদের সামাজিক ও ধর্মীয় পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অনেক আগে থেকেই আলোচনা বিতর্ক চলেছে৷

আরো কিছু দিক ছিল এই বিশ্বকাপের৷ তার একটি, এবারই প্রথম কোন নারী রেফারি বিশ্বকাপের খেলা পরিচালনা করেছেন৷ এছাড়া কাতারি নারীরা এই প্রথম লাইভ ফুটবল দেখার সুযোগ পেলেন৷ এমনকি গ্যালারিতে তাদের উপস্থিতিও ছিল প্রত্যাশার চাইতে বেশি৷

সবমিলিয়ে নানা কারণে মনে রাখার মতো একটা বিশ্বকাপ৷ মেসি-রোনাল্ডোর মতো বড় বড় তারকাদের শেষ বিশ্বকাপ৷ আবার আলভারেজ-রামোসের মতো তরুণদের আবির্ভাব দর্শকদের উজ্বীবিত করেছে৷ বিশেষ করে মরক্কোর আবির্ভাব এ বিশ্বকাপকে দিয়েছে অনন্য মাত্রা৷

ম্যাক্স মেরিল/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ