লিওনেল মেসির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখিয়ে জেরুসালেমে অনুষ্ঠেয় আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আইরেসের ইসরায়েলি দূতাবাস এ খবর নিশ্চিত করলেও বার্সেলোনা তারকা মেসির শঙ্কার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি তারা৷
শনিবার দুইদেশের ওই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল৷ তবে আগে থেকেই ফিলিস্তিনের ফুটবল কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের বিপক্ষে এই ম্যাচে মেসিকে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল৷
ইসরায়েলি দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘‘মেসির জীবনের ওপর ‘হুমকি' ও তার ওপর ‘ক্রোধ' উদগীরণের আশঙ্কা থেকে ইসরায়েলি দূতাবাস গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছে, ইসরায়েল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচটি বাতিল করা হলো৷''
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বুধবার ম্যাচ বাতিলের ঘটনাকে ‘ঘৃণার কাছে নতজানু' হওয়া হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, ‘‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের মহানুভবতা ইসরায়েল ঘৃণাকারীদের পরাহত করতে পারেনি, যা লজ্জার৷''
বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা একাদশ
এই একাদশ বাছাই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ কয়েকবছর আগে বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত এই একাদশ প্রকাশ করেছিল বিশ্বখ্যাত ফুটবল ম্যাগাজিন ওয়ার্ল্ড সকার৷ দেখুন কারা ছিলে ৪-৪-২ ফর্মেশন মাথায় রেখে গড়া সেই দলে৷
ছবি: AP
গোলরক্ষক: লেভ ইয়াসিন
ফুটবলে গোলরক্ষকের নাম নেয়া হবে আর লেভ ইয়াসিনের নাম আসবে না তা হতে পারে না৷ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই গোলরক্ষক খেলেছেন ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপ৷ ১৯৫৬ সিডনি অলিম্পিকে জিতিয়েছিলেন দেশকে৷ ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/empics
লেফট ব্যাক: পাওলো মালদিনি
বিশ্ব ফুটবলের সেরা ডিফেন্ডার কে? অবলীলায় এই নামটি চলে আসবে৷ ভোটেও তাই হয়েছে৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি৷ ১৯৯০, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮-র বিশ্বকাপে খেলেছেন এই ইটালিয়ান ডিফেন্ডার৷ ১৯৯৪-এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ইটালির টাইব্রেকার হার একটুর জন্য তাঁকে শিরোপার নাগাল পেতে দেয়নি৷
ছবি: picture-alliance/AP-Photo/B. Luca
রাইট ব্যাক: কাফু
টানা তিন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন তিনি৷ জিতেছেন ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপ৷ এর মধ্যে ২০০২-এ ব্রাজিল দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷ ভোটে ডিফেন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানটি ছিল কাফু’র৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার: ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার
ফুটবলের ইতিহাসে বেকেনবাওয়ারই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কোচ, খেলোয়াড় বা অধিনায়ক থাকাকালে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন৷ এই কিংবদন্তীর নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে ১৯৭৪ সালে৷ আর কোচ হিসেবে ডয়েচলান্ডকে আবারো শিরোপার স্বাদ দেন ১৯৯০-এ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার: ববি মুর
ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপটি (১৯৬৬) জয়ে নেতৃত্ব দেন এই কিংবদন্তী ডিফেন্ডার৷ তাঁর পায়ের দক্ষতা আর রক্ষণভাগে দেয়াল তৈরি করে প্রতিপক্ষকে কঠিন সময় উপহার দেয়ার কৌশল তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে একাদশে৷ তবে ভোটের মাঠে এর জন্য তাঁকে ইটালির ফ্র্যাঙ্কো বারেৎসি’র সঙ্গে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিডফিল্ডার: আলফ্রেডো ডি স্টেফানো
যে চারজন মিডফিল্ডার একাদশে জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আলফ্রেডো ডি স্টেফানো সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন৷ এই প্রতিভাবান ফুটবলারের বিশেষ দিক হলো তিনি যে কোনো পজিশনে খেলতে পারতেন৷ অসম্ভব স্ট্যামিনার অধিকারী ছিলেন৷ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি আর্জেন্টিনা ও স্পেনের হয়ে খেলেছেন৷ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেললেও মূল পর্বে খেলা হয়নি তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিডফিল্ডার: জিনেদিন জিদান
জিদানের পায়ের জাদু’র প্রশংসা করেন না এমন ফুটবলপ্রেমী পাওয়া মুশকিল৷ স্কিলের দিক থেকে অনেকেই তাঁকে মারাদোনা আর পেলের সঙ্গেই তুলনা করেন৷ ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ জয়ে ফ্রান্সের নায়ক ছিলেন তিনিই৷ এমনকি ২০০৬ বিশ্বকাপেও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন৷ তবে সেবার ইটালির মাতেরাৎসিকে মাথা দিয়ে গুঁতো মেরে অনেক সমালোচনার ভাগীদারও হন৷
ছবি: picture-alliance/DPPI
মিডফিল্ডার: ইয়োহান ক্রুইফ
হল্যান্ডের এই কীর্তিমান ফুটবলার যে একাদশে থাকবেন তা জানাই ছিল৷ টোটাল ফুটবলের একরকম জনকই তিনি৷ তাঁর কৌশলের কাছে প্রতিপক্ষরা যেন দাঁড়াতেই পারতেন না৷ তাঁর নৈপূণ্যে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে পূর্ব জার্মানি, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় হল্যান্ড৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পশ্চিম জার্মানির কাছে ধরাশায়ী হয়৷
ছবি: Getty Images/Keystone
মিডফিল্ডার: ডিয়েগো মারাদোনা
ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিতর্ক হলো, সর্বকালের সেরা কে? পেলে, না মারাদোনা? এই ফুটবল জাদুকরের জাদু অবশ্য ১৯৮২-তেই দেখেছিল বিশ্ব৷ কিন্তু সেবার তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি৷ এরপর প্রায় একক নৈপূণ্যেই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ৷ ১৯৯০ সালেও ফাইনালে খেলেছে তাঁর দল৷ তাঁর ‘ঈশ্বরের হাত’-এর গল্প কার না জানা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্ট্রাইকার: পেলে
সর্বকালের সেরা বিতর্কের আরেক নায়ক পেলে৷ ‘কালোমানিক’ নামেও পরিচিত৷৷ ব্রাজিল ও ফুটবল উভয়কেই মহিমান্বিত করেছেন এই কিংবদন্তী৷ ১৯৬২ বিশ্বকাপে তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে ইনজুরির শিকার হয়ে আর খেলতে পারেননি৷ তবে সেই বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল৷ পরের বিশ্বকাপে ব্রাজিল অবশ্য আগেই বাদ পড়ে যায়৷ প্রচুর ফাউলের শিকার হন পেলে৷ তবে ১৯৭০-এর বিশ্বকাপে চরম নৈপূণ্য দেখিয়ে জিতে নেন শিরোপা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্ট্রাইকার: লিওনেল মেসি
একাদশে এ সময়ের একমাত্র প্রতিনিধি হলেন লিওনেল মেসি৷ যদিও এখনো বিশ্বকাপে মেসির জাদুর প্রতিফলন তেমন একটা ঘটেনি, তারপরও তাঁর নৈপুণ্য তাঁকে সেরা একাদশে জায়গা করে দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পেলে ও মেসির মাঝে ব্যবধান গড়েছে মাত্র ১০টি ভোট৷
ছবি: Reuters/A. Raggio
11 ছবি1 | 11
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলো ম্যাচটি বাতিল হওয়ার আগেই ক্ষোভ জানিয়ে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে৷ সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি ঠিকই করা হয়েছিল বাতিল বা পণ্ড হওয়ার জন্য, যাতে বিশ্বকাপের আগে মেসি বা আর্জেন্টাইন দলের বাকি খেলোয়াড়রা চূড়ান্ত প্রস্তুতির সুযোগ না পেয়ে হতাশ হন৷
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্হে ফাউরি ওয়াশিংটনে লাতিন দেশগুলোর সংগঠন অরগানাইজেশন অফ অ্যামেরিকার এক বৈঠকে যোগ দিতে অ্যামেরিকার ওয়াশিংটনে গিয়েছেন৷
খেলা বাতিলের বিষয়ে ইসরায়েলি দূতাবাস নিশ্চিত হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি যতটুকু জানি, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা এই ম্যাচটি খেলতে অনাগ্রহী৷''
গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলিও জেরুসালেমে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য যেতে অনাগ্রহ দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘‘খেলোয়াড়ি দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বরং এই বার্সেলোনার মাঠেই খেলাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী৷ কেননা, এর জন্য আমাদের ইসরায়েল যেতে হবে এবং তারপর সেখান থেকে রাশিয়া৷''
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে বার্সেলোনার মাঠে৷
ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জিবরিল রাজব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মেসিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ না খেলতে অনুরোধ করে তিনি আর্জেন্টিনার সরকারের কাছে চিঠি লিখেছেন৷
মেসি-নেইমার সমানে সমান
রাশিয়া বিশ্বকাপেও সবাই তাঁদের দিকে তাকিয়ে৷ মেসি আর নেইমার৷ চলুন ২০১৪ বিশ্বকাপে তাদের কয়েকটি ম্যাজিক দেখে নিই ছবিঘরে৷
ছবি: Pedro Ugarte/AFP/Getty Images
শুরুতেই নেইমার
২০১৪ বিশ্বকাপে তারকার দ্যুতি কিন্তু প্রথমে নেইমারই দেখিয়েছেন৷ আসর শুরু হয়েছিল ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দিয়ে৷ আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়লেও পরে নেইমারের গোলেই ম্যাচে ফিরেছিল ব্রাজিল৷ গোল করার পর নেইমারের উল্লাস৷
ছবি: Reuters
আবার নেইমার
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেদিন শুধু ব্রাজিলকে ম্যাচে ফেরাননি, আরেক গোল করে জয়ের দ্বারপ্রান্তেও নিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার৷ গোলটি হয়েছিল পেনাল্টি থেকে৷ ছবিতে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক স্টিপে প্লেটিকোসাকে নেইমারের শট রোখার ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
মেসির শুরু
বিশ্বকাপ ২০১০ শুধু হতাশাই দিয়েছিল লিওনেল মেসিকে৷ সে আসরে আর্জেন্টিনা তো প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেইনি, মেসিও পাননি বলার মতো কোনো সাফল্য৷ মেসির মতো খেলোয়াড় সেবার একটা গোলও পাননি, ভাবা যায়! ২০১৪-তে কিন্তু গোলখরা কাটাতে বেশি সময় নেননি৷ রিও ডি জেনেরোয় নিজেদের প্রথম ম্যাচে বসনিয়াকে ২-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা৷ দু’গোলের মধ্যে একটি ছিল মেসির৷
ছবি: Reuters
ত্রাণকর্তা মেসি
দ্বিতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইরান৷ সহজ জয়ই ছিল প্রত্যাশিত৷ কিন্তু ইরান কোমর বেঁধে নামে গোল না খাওয়ার লড়াইয়ে৷ মেসি ছিলেন বলে রক্ষা৷ তাঁর একমাত্র গোলেই সেদিন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা৷ মেসির শট থেকে বল যাচ্ছে জালে, আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছু করতে করতে পারলেন না গোলরক্ষক আলী রেজা হাঘিঘি, শেষ রক্ষা হলো না ইরানের৷
ছবি: Reuters
নেইমার-নির্ভর ব্রাজিল
মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা প্রায় অচল – এটা এখন প্রায় প্রতিষ্ঠিত সত্য৷ ব্রাজিল দলে নেইমারের গুরুত্বও এখন এরকম৷ মেক্সিকোর বিপক্ষে নেইমার গোল পাননি৷ ব্রাজিলকে সেই ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে৷ গ্রুপ পর্বে পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের শেষ ম্যাচটি ছিল ক্যামেরুনের বিপক্ষে৷ এ ম্যাচেও নেইমারের গোলেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা৷
ছবি: Reuters
আবার জোড়া গোল
ক্রোয়েশিয়ার মতো ক্যামেরুনের বিপক্ষেও এক গোল করে সন্তুষ্ট থাকেননি নেইমার৷ এ ম্যাচেও জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা৷ কোচ স্কলারি অবশ্য নকআউট পর্বের কথা ভেবে দলের সেরা তারকাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেননি৷ দু’গোল করার পরই তুলে নেন নেইমারকে৷
ছবি: AFP/Getty Images
মেসি মানেই গোল
‘এফ’ গ্রুপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মেসির গোলেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা৷ তারপরও থামেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেসি-ম্যাজিক
আর্জেন্টিনাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল নাইজেরিয়া৷ ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরের মিনিটেই মুসার গোলে সমতা ফেরায় তারা৷ তারপর আবার মেসি-ম্যাজিক৷ ফ্রি-কিক থেকে গোল করে আবার আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন এই ফুটবলার৷ ছবিতে মেসির ফ্রি কিক নেয়ার দৃশ্য, বাঁক খেয়ে বল যাচ্ছে গোল পোস্টের দিকে৷
ছবি: Pedro Ugarte/AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘এই ম্যাচটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার৷ ইসরায়েলের সরকার জেরুসালেমে ম্যাচটি আয়োজন করে সেখানকার রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷''
মে মাসে জেরুসালেমে অ্যামেরিকার দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের গুলি ও আক্রমণে শতাধিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটে৷ ফিলিস্তিনের হামাস ওই ঘটনার পর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালে বিমান হামলা করে পালটা জবাব দেয় ইসরায়েল৷
এ প্রেক্ষাপটে আর্জেন্টিনারইসরায়েলে খেলতে যাওয়ার বিষয়ে নানা মহল থেকে আপত্তি আসছিল৷ সমালোচকরা বলছিলেন, বিশ্বকাপের আগে জেরুসালেমে গিয়ে ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার অংশ নেওয়া মানে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী করার ঘোষণাতেও ইন্ধন দেওয়া৷
রাজব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন,‘‘মেসি শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক৷ আমরা তাকে অনুরোধ করেছি এ অপরাধমূলক কাজে না জড়াতে৷''
‘‘মেসির লাখ লাখ শুভানুধ্যায়ী আরবের মুসলিম দেশগুলোতে রয়েছে... খেলা হলে মেসির ছবি অঙ্কিত টি-শার্ট পোড়াতে আমরা তাদেরকে অনুরোধ করবো৷''
১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার৷ গ্রুপ পর্বে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া৷
এইচআই/এসিবি (এইপিই)
পারলেন না মেসি, জয়ী জার্মানি
বিশ্বসেরা ফুটবলার হলেও দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারলেন না লিওনেল মেসি৷ বরং টিম হিসেবে খেলে জিতেছে জার্মানি৷ বদলি খেলোয়াড় গোটৎসের গোলে নিশ্চিত হয় চতুর্থ বিশ্বকাপ৷ ফাইনাল নিয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চতুর্থবার বিশ্বকাপ জয়
নব্বইয়ের পরে ২৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো৷ ব্রাজিলে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চতুর্থবার বিশ্বকাপ জয় করেছে জার্মানি৷ যদিও অনেকের আশা ছিল চমক দেখাবেন মেসি, কিন্তু সেটা হয়নি৷ জগৎসেরা মেসি তাঁর দলকে ফাইনালে কিছুই দিতে পারেননি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লামের হাতে কাপ
বিশ্বকাপ হাতে জার্মান অধিনায়ক ফিলিপ লাম৷ জাতীয় দলের পক্ষে শতাধিক বার মাঠে নামা লাম এবার তাঁর সাফল্যের তালিকায় যোগ করলেন বিশ্বকাপ ট্রফি৷ ৩০ বছর বয়সি এই ফুটবলার জার্মান জাতীয় দলের অধিনায়ক৷
ছবি: Reuters
গোল্ডেন গ্লোভস নয়ার, গোল্ডেন বল মেসি
বিশ্বকাপের ‘মোস্ট আউটস্ট্যান্ডিং প্লেয়ার’ হিসেবে ‘গোল্ডেন বল’ অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন মেসি৷ আর সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানির মানুয়েল নয়ার৷ বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়৷
ছবি: Getty Images
গোটৎসের গোল
জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ ভরসা রেখেছিলেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মিরোস্লাভ ক্লোজের উপর৷ তাই ৮৮ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তিনি৷ এরপর ক্লোজের বদলে মাঠে নামেন বায়ার্নের মারিও গ্যোটৎসে৷ শেষ পর্যন্ত তিনিই জার্মানদের মুখে হাসি ফোটালেন৷ শ্যুর্লের কাছ থেকে পাওয়া পাস বুকে ঠেকিয়ে নিয়ে সেই বল পাঠিয়ে দেন আর্জেন্টিনার জালে৷
ছবি: Reuters
বান্ধবীর সঙ্গে গোটৎসে
গোটৎসের বান্ধবী আন-কাথরিন ব্র্যোমেল গ্যালারিতে ছিলেন৷ খেলা শেষে তিনি নেমে আসেন মাঠে৷ অভিনন্দন জানান সঙ্গীকে৷
ছবি: Reuters
পোডোলস্কির সেলফি
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে সেলফি তুলে বিশ্বকাপের শুরুতেই আলোচনায় আসেন লুকাস পোডোলস্কি৷ ফাইনালে খেলার সুযোগ পাননি তিনি৷ কিন্তু তাই বলে কি সেলফি তোলা বাদ থাকবে? ছবিতে সতীর্থ শোয়াইন্সটাইগারের সঙ্গে সেলফি তুলছেন পোডোলস্কি৷ মাঠে থাকতেই সেটা আবার ফেসবুকে আপলোড করেছেন তিনি৷
ছবি: AFP/Getty Images
আট বছর পর চূড়ান্ত সাফল্য
জার্মান ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় সাফল্য পেতে আট বছর সময় নিলেন ইওয়াখিম ল্যোভ৷ গত বিশ্বকাপে ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি তাঁর দল৷ চূড়ান্ত জয় পায়নি দুটো ইউরো কাপেও৷ এবার সমালোচকদের মুখ চিরতরে বন্ধ করে দিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP
হিগুয়াইনকে তুলে নেয়া কি ভুল ছিল?
খেলার শুরুতে কিন্তু বেশ এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা৷ একের পর এক আক্রমণে কাবু করে দিচ্ছিল জার্মানির রক্ষণভাগ৷ কিন্তু খেলার দ্বিতীয়ার্ধে হিগুয়াইনকে তুলে নেন আর্জেন্টিনার কোচ সাবেলা৷ এরপরই আর্জেন্টিনার দুর্বলতা ফুটে উঠতে থাকে৷ মেসিও হয়ে যান নিষ্প্রাণ৷ সাবেলার সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল?
ছবি: Reuters
গ্যালারিতে ম্যার্কেল
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে জাতীয় দলের এক নম্বর ভক্ত বলা হয়৷ এই ভক্ত ফাইনাল দেখতে উড়ে যান ব্রাজিলে৷ সঙ্গে ছিলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাধভাঙা উচ্ছ্বাস
জার্মানির বিজয়ের খবরে আনন্দের বন্যায় ভাসছে গোটা জার্মান জাতি৷ জার্মানির বিভিন্ন শহরে গভীর রাতেও ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বিজয়োল্লাস করছেন ফুটবল ভক্তরা৷ তবে জাতীয় দলকে সংবধর্না দেয়া হবে মঙ্গলবার, বার্লিনে৷