ফুটবল ভক্তদের জন্য সুখবর৷ আগামী বছর রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে থাকছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি৷ বাছাইপর্বে একের পর এক ব্যর্থতার কারণে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে পৌঁছানো নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল তা দূর হয়েছে মঙ্গলবার রাতে৷ শেষ ম্যাচে বড় জয়ই পেয়েছে আর্জেন্টাইনরা৷ হ্যাটট্রিক করে এ ম্যাচেও জয়ের নায়ক সেই মেসি৷
যদিও খেলার শুরুতে ভড়কে গিয়েছিলেন অনেকে৷ প্রথম মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর৷ তাদের হারানোর কিছু ছিল না৷ কিন্তু আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে যেতে দিতে না পারলে তাদের জন্য তা-ও হতো বড় অর্জন৷ অন্যদিকে, গোল খরায় থাকা মেসিদের কাঁধে তখন পাহাড়সম চাপ৷
সবচেয়ে বেশি আয় করা সাত খেলোয়াড়
মার্কিন ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে৷ সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো এ বছরও তালিকার শীর্ষে রয়েছেন৷
ছবি: Reuters/R. Sprich
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো – ৮৩ মিলিয়ন ইউরো
চারবার বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কারজয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো গত বারো মাসে আয় করেছেন ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সে হিসেবে তাঁর ঘণ্টাপ্রতি আয় ৯৫০০ মার্কিন ডলার৷ তাঁর আয়ের মধ্যে ৫২ মিলিয়ন ইউরো এসেছে শুধু বেতন এবং প্রাইজমানি থেকে৷ আর স্পন্সরদের অবদান ৩১ মিলিয়ন৷
ছবি: Reuters/K. Pfaffenbach
লেব্রন জেমস – ৭৭ মিলিয়ন ইউরো
এনবিএ’র সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ‘কিং জেমস’-এর বার্ষিক আয় ৭৭ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে বেতন আর প্রাইজমানির চেয়ে বেশি আয় তিনি করেছেন স্পন্সরশিপ থেকে৷ ৪৯ মিলিয়ন ইউরো তিনি আয় করেছেন স্পন্সর থেকে আর ২৮ মিলিয়ন অন্য খাত থেকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Amendola
লিওনেল মেস – ৭১ মিলিয়ন
বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসি গতবছর আয় করেছেন ৭১ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে পাঁচবার বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়া এই তারকা গত বছরের ট্যাক্স রিটার্ন এখনো দেননি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Q.Garcia
রজার ফেদেরার – ৫৭ মিলিয়ন
সুইস এই টেনিস তারকা রেকর্ড ১৮টি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট জয় করেছেন, এবং ২০০৩ সাল থেকে তাঁর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুদের বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা করেছেন৷ ২০১৬ সালে ফেদেরার আয় করেছেন ৫৭ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে এই ৫ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ইউরো এসেছে বেতন এবং প্রাইজমানি থেকে৷
ছবি: Reuters/I. Kato
কেভিন ড্যুরেন্ট – ৫৪ মিলিয়ন
দুই মিটার লম্বা গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স-এর এই খেলোয়াড় তাঁর নিখুঁত শ্যুটিংয়ের জন্য বিশেষ পরিচিত৷ ক্যারিয়ার শুরুর পর তিনি ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করেন নাইকি’র সঙ্গে৷ ফোর্বসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই এনবিএ তারকা গত বছর ৫৪ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছেন৷
ছবি: Reuters/J. Young
অ্যান্ড্রু লাক – ৪৪ মিলিয়ন
ইন্ডিয়ানাপোলিস কোল্টস-এ খেলা এই অ্যামেরিকান ফুটবল কোয়ার্টারব্যাক গত জুনে এনএফএল-এর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন৷ আগামী ছয় বছর তিনি চুক্তি অনুযায়ী ১২৪ মিলিয়ন ইউরো আয় করবেন৷ শুধুমাত্র ২০১৬ সালে লাকের আয় ৪৪ মিলিয়ন ইউরো৷
ছবি: Imago/Zumapress
ররি ম্যাক্লরয় – ৪৪ মিলিয়ন
ররি ম্যাকলরয় বিশ্বের সবচেয়ে ভালো আয় করা গল্ফার৷ এই নর্দান আইরিশম্যান গত বছর আয় করেছেন ৪৪ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে এই আয়র বেশিরভাগই এসেছে স্পন্সর থেকে৷ নাইকির সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর তিনি পাবেন ৩০ মিলিয়ন ইউরো৷
ছবি: Getty Images/W.Little
7 ছবি1 | 7
সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি৷ বাঁ পায়ের শটে গোলে বল জড়ান মেসি, খেলার বারো মিনিটের মাথায়৷ প্রথম গোলের পর উৎসবের বদলে বল নিয়ে সোজা সেন্টারের দিকে দৌঁড়ান তিনি৷ সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই যে! শুধু ড্র তো বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না৷
সমতা ফেরানোর পর দলকে এগিয়ে নিতেও অবশ্য খুব বেশি সময় নেননি মেসি৷ খেলার কুড়ি মিনিটে দ্বিতীয়বার বল জালে জড়ান তিনি৷ এবার বেশ জোরালো কিন্তু মাপা শটে ক্রসবারের নীচ দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে৷ মেসি জাদুতে স্বস্তি মিললেও বিশ্বকাপ দূরে তখনও৷ সমীকরণ বলছিল, জিততে হবে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে৷ ৩২ মিনিটে একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু ডি মারিয়া তা কাজে লাগাতে পারেননি৷
অন্যদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে ইকুয়েডর আরো গুছিয়ে খেলতে শুরু করে৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের এত ওপরে খেলা সহজ কথা নয়৷ মেসিদের দম ফুরানো সেখানে স্বাভাবিক৷ কিন্তু তারই মাঝে খেলার ৬২ মিনিটের সময় প্রতিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে তৃতীয় গোলটি করলেন মেসি৷ ফলে আর্জেন্টিনার মিলল বিশ্বকাপের টিকিট৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকা অঞ্চলের এ গ্রুপ থেকে সরাসরি রাশিয়া যাওয়া আগেই নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল, উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়া৷
এআই/এসিবি (এপি, এএফপি)
পুরুষদের ফুটবলে পাঁচ নারী রেফারি
গত রবিবার নতুন এক ইতিহাস হলো জার্মান ফুটবলে৷ প্রথমবারের মতো বুন্ডেসলিগায় পুরুষদের এক ম্যাচ পরিচালনা করলেন নারী রেফারি বিবিয়ানা স্টাইনহাউস৷ বিশ্ব ফুটবলে এমন কৃতিত্ব আছে আর মাত্র চারজনের৷
ছবি: imago/Zumapress
বিবিয়ানা স্টাইনহাউস (জার্মানি)
ছিলেন ফুটবলার৷ একসময় হয়ে গেলেন রেফারি৷ রেফারি হিসেবে তাঁর কৃতিত্বের স্মারক ছয়টি জাতীয় পুরস্কার৷ ছয়বার জার্মানির সেরা রেফারি হয়েছেন তিনি! তবে এতদিন শুধু ৮০টি দ্বিতীয় বিভাগ লিগ ম্যাচেই রেফারির ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে৷ গত রবিবার হ্যার্থা বার্লিন বনাম ভ্যেরডার ব্রেমেন ম্যাচের মাধ্যমে প্রথম নারী রেফারি হিসেবে বুন্ডেসলিগায়ও অভিষেক হয়ে গেল তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Schmi
নিকোল পেটিগনাট (সুইজারল্যান্ড)
সুইজারল্যান্ডের এই সাবেক রেফারির কৃতিত্বটা অনন্য৷ নারী হয়েও উয়েফা কাপে পুরুষদের ম্যাচ পরিচালনা করার প্রথম নজির গড়েন তিনি ২০০৩ সালে৷ এছাড়া সুইস সুপার লিগ এবং অস্ট্রিয়ান বুন্ডেসলিগাতেও রেফারির ভূমিকায় অনেকবার দেখা গেছে তাঁকে৷
ছবি: picture-alliance/Pressefoto ULMER
গ্লাডিস লেংওয়ে (জাম্বিয়া)
জাম্বিয়ায় পুরুষদের পেশাদার ফুটবল লিগ ম্যাচ পরিচালনা করা প্রথম নারী রেফারি গ্লাডিস লেংওয়ে৷ নারীদের বিশ্বকাপসহ অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচেও রেফারির ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Jaspersen
ক্লাউডিয়া উমপিয়েরেজ (উরুগুয়ে)
উরুগুয়ের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘদিন৷ তবে এখন রেফারির ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে৷ উরুগুয়েতে পুরুষদের ফুটবল লিগের প্রথম নারী রেফারি তিনি৷
ছবি: imago/Zumapress
কাটেরিনা মনজুল (ইউক্রেন)
গত ১৩ বছরে দেশে-বিদেশে অনেক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি৷ ইউক্রেনে পুরুষদের ম্যাচ পরিচালনা করা প্রথম নারী রেফারি কাটেরিনা মোনজুল৷