মার্কিন বক্সার ফ্লয়েড মেওয়েদার জুনিয়রকে এখনও কেউ হারাতে পারেনি৷ তাইতো ৪৭ বার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই জয় নিয়ে ফিরেছেন মেওয়েদার৷ তিনি যে গত বছর ১০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করবেন তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে! ফোর্বসের তালিকায় স্বভাবতই তাঁর নাম সবার ওপরে৷

খেলার মাঠে যেমন তিনি জাদু দেখিয়ে থাকেন, মাঠের বাইরেও যেন তিনি ফ্যাশনের রাজা৷ তাইতো নিজের নামেই রয়েছে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড৷ সবমিলিয়ে আয়টাও তাই অনেক – প্রায় ৮০ মিলিয়ন ডলার৷ ফলে সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করা ফুটবলারও তিনি৷

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন, এনবিএ-র চারবারের ‘সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়’ ২৯ বছর বয়সি লেবরন জেমস৷ গত বছর তাঁর আয় ছিল ৭২.৩ মিলিয়ন ডলার৷

চারবারের বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি৷ মাঠে কে সেরা মেসি না রোনাল্ডো – এই প্রশ্ন করা গেলেও ফ্যাশন জগতে সেটা করা যাবে না৷ কারণ সেখানে রোনাল্ডোর কাছে মেসি যেন একেবারেই শিশু৷ এ কারণেই বোধ হয় বাৎসরিক আয়টা রোনাল্ডোরই বেশি৷ সিআর সেভেনের যেখানে ৮০ মিলিয়ন, মেসির সেখানে ৬৪.৭ মিলিয়ন ডলার৷

যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল আইকন কোবে ব্রায়ান্টকে অনেকেই হয়ত চিনে থাকবেন একটি বিজ্ঞাপনে মেসির সঙ্গী হিসেবে৷ পাঁচবারের এনবিএ চ্যাম্পিয়নের বয়সটা ৩৬ হলেও এখনও আয় করে যাচ্ছেন দেদারসে৷ গতবছর তাঁর আয় হয়েছিল ৬১.৫ মিলিয়ন ডলার৷

হয়ত তিনি ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে নেই তবুও গলফারদের মধ্যে এখনও সবচেয়ে বেশি আয় করছেন টাইগার উডস৷ কারণ তিনি টাইগার উডস! খেলার চেয়ে স্পন্সরশিপ থেকেই এখনও অনেক অর্থ পাচ্ছেন তিনি৷ উডসই প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি ক্যারিয়ারে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছেন৷

একসময় ছিলেন টেনিসের রাজা৷ কিন্তু জোকোভিচ আর নাদালের কাছে শীর্ষস্থান হারালেও আয় টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনও সেরা রজার ফেদেরার৷ গেল বছরে তাঁর আয় ছিল ৫৬.২ মিলিয়ন ডলার৷

টাইগার উডসের জগতের মানুষ মিকেলসন ক্যারিয়ারে ৫০টিরও বেশি প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে৷ ৪৪ বছর বয়সি মিকেলসনের আয় ছিল ৫৩.২ মিলিয়ন ডলার৷

রাফায়েল নাদালের হিংস্রতা হয়ত তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের পছন্দ নয়৷ কিন্তু তাতে কী! এই হিংস্র মনোভাবের কারণেই নাদালকে পছন্দ করেন তাঁর অনেক ভক্ত৷ স্প্যানিশ এই টেনিস খেলোয়াড়ের গতবারের আয় ছিল ৪৪.৪ মিলিয়ন ডলার৷

শীর্ষ আয়ের খেলোয়াড়ের তালিকায় অ্যামেরিকান ফুটবলার মাট রায়ানই একমাত্র প্রতিনিধি৷ গতবছরই তিনি একটি নতুন চুক্তি সই করেন৷ ফলে তাঁর আয় দাঁড়ায় ৪৩.৮ মিলিয়ন ডলারে৷

ফোর্বসের তালিকাটা ১০০ জনের৷ এর মধ্যে প্রথম ৩৩ জনই পুরুষ৷ নারী নামের দেখা পাওয়া যাবে ৩৪-এ গিয়ে৷ তিনি মারিয়া শারাপোভা৷ খেলা, স্পন্সর আর ক্যান্ডি কোম্পানি ‘সুগারপোভা’ – সব মিলিয়ে ভালই আয় করছেন তিনি৷

বিখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য কয়েকবছর আগে নগ্ন হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ তৎকালীন বান্ধবী ইরিনা শেইখের সঙ্গে তোলা সে ছবি প্রকাশও হয়েছে৷ রুশ মডেল শেইখের সঙ্গে রোনোল্ডোর সম্পর্কের শুরু হয় ২০১০ সালে৷ তবে, কয়েকবছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সেই সম্পর্ক৷

সুপার মডেলদের প্রতি ফুটবলারদের টান বোধহয় একটু বেশিই থাকে৷ ব্রাজিলের নেইমারের কথাই ধরুন৷ রোনাল্ডো এবং মেসির মতো তিনিও এক মডেলের সঙ্গেই থাকেন৷ সাও পাওলোতে জন্ম নেয়া গাব্রিয়েলা লেন্সির সঙ্গে নেইমারের সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়৷

গত ইউরো কাপে জার্মানিকে লজ্জায় ফেলা মারিও বালোতেল্লি মেয়েদের ব্যাপারে একটু বেশিই উদার৷ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বান্ধবী বদল করেছেন ২৩ বছর বয়সি এই তারকা৷ সর্বশেষ ২০১৩ সালে ফ্যান্নি নেগুয়েশার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন তিনি৷ এই সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশা করছেন অনেকে৷ তবে বালোতেল্লির উপর ভরসা করা একটু কঠিনই!

জার্মান ফুটবলার বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের বান্ধবী হিসেবেই বেশি পরিচিত সারা ব্রান্ডনার৷ তবে পেশাগতভাবে তিনি মডেল৷ ২০০৭ সাল থেকে একসঙ্গেই আছেন এই জুটি৷

স্পেনের ফুটবল তারকা ইকার ক্যাসিয়াসের বান্ধবী সারা কার্বোনেরো পেশায় সাংবাদিক৷ ছেলেবন্ধুটি যখন মাঠে খেলায় ব্যস্ত থাকেন, তিনি তখন মাঠে থাকেন খেলা ‘কভার’ করতে৷ মাঝে মাঝে গোলপোস্টের কাছে গিয়ে কাসিয়াসকে ‘একটু বিরক্তও’ করেন তিনি৷

সংগীত তারকা হিসেবে বেশ পরিচিত ম্যান্ডি কাপ্রিস্টো৷ ২৪ বছর বয়সি এই জার্মান গায়িকার সঙ্গে মেসুত ও্যজিলের সম্পর্কের শুরু হয় ২০১৩ সালে৷

ফুটবল মাঠে লিওনেল মেসির সফলতার পেছনে যে নারীর বিশেষ অবদান রয়েছে, তিনি হলেন আন্তোনেলা রোকুৎসো৷ মেসির সন্তানের মা তিনি৷ গত তিন বছর ধরে একসঙ্গে আছেন এই জুটি৷ রোকুৎসো পেশায় একজন মডেল৷

ইটালির ফুটবলার আলেকসান্দ্রো মাট্রির বান্ধবী ফেডেরিকা নার্গি৷ ১৯৯০ সালে জন্ম নেয়া এই নারীও পেশায় মডেল৷

কলম্বিয়ান সংগীত শিল্পী শাকিরা অবশ্য নিজের পরিচয়েই গোটা বিশ্বে পরিচিত৷ একের পর এক সুপার হিট গান দেওয়া এই শিল্পীর সঙ্গে ফুটবলার জেরার্ড পিকের সম্পর্ক চলছে সেই ২০১০ সালে থেকে৷ এই জুটির একমাত্র সন্তানের নাম মিলান পিকে মেবারক৷

জার্মান টেলিভিশন সঞ্চালিকা এবং ফ্যাশন মডেল লেনা গ্যার্কের সঙ্গে সামি খেদিরার সম্পর্কের শুরু হয় ২০১১ সালে৷ আগে বার্লিন এবং নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করলেও এখন খেদিরাকেই বেশি সময় দেন গ্যার্কে, থাকেন তাই মাদ্রিদে৷