1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মোহাম্মদকে শিশু নিপীড়ক বলা বাক স্বাধীনতা নয়’

২৬ অক্টোবর ২০১৮

মহানবি হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে শিশু যৌন নিপীড়নকারী আখ্যায়িত করা বাক স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না বলে অভিমত দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট ফর হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর)৷

ছবি: Colourbox

হযরত মোহাম্মদকে শিশু নিপীড়নকারী বলায় এক অস্ট্রিয়ান নারীকে সে দেশের আদালতের সাজা প্রদানে তার বাক স্বাধীনতারলঙ্ঘন হয়নি বলে বৃহস্পতিবার আদেশে বলেছে এই আদালত৷

স্ট্রাসবুর্গভিত্তিক ইসিএইচআর বলেছে, ওই নারীকে দণ্ড প্রদানকারী অস্ট্রিয়ার আদালত খুব সাবধানতার সঙ্গে তার ‘‘বাক স্বাধীনতার অধিকারের সঙ্গে অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষার অধিকারের সমন্বয় করেছে এবং অস্ট্রিয়ায় ধর্মীয় শান্তি বজায় রাখার কাঙ্খিত লক্ষ্যের জন্য কাজ করেছে৷’’

ওই নারী ২০০৯ সালে ‘ইসলামের মৌলিক তথ্য’ শিরোনামে দুটি সেমিনারের আয়োজন করেন, সেখানে মোহাম্মদের ছয় বছরের শিশু আয়েশাকে বিয়ে করার বিষয়টি শিশু যৌন নিপীড়নের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷

বাক স্বাধীনতার সীমা

হযরত মোহাম্মদের বয়স যখন ৫০-এর কাছাকাছি সে সময় ইসলামিক রীতি অনুসারে নয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেন তিনি৷ হযরত মোহাম্মদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রথম খলিফা আবু বকরের মেয়ে ছিলেন আয়েশা৷

সেমিনারে অস্ট্রিয়ার ওই নারী বলেছিলেন যে, মোহাম্মদ ‘শিশুদের সঙ্গে এটা করতে পছন্দ করতেন’ এবং ‘...একজন ৫৬ বছরের মানুষ আর ছয় বছরের একজন?...আমরা একে কী বলতে পারি যদি তা শিশু যৌন নিপীড়ন না হয়?’’

এই বক্তব্যের জন্য ওই নারীকে ধর্ম অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪৮০ ইউরো জরিমানা করে অস্ট্রিয়ার একটি আদালত৷ পরে দেশের অন্যান্য আদালতে গিয়ে ওই রায় পরিবর্তনে বিফল হন৷ পরে তিনি ইউরোপিয়ান কোর্ট ফর হিউম্যান রাইটসে যান৷

বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ওই বক্তব্য তার বাক স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে এবং ধর্মীয় গ্রুপগুলোর সমালোচনা মেনে নেওয়া উচিত৷

হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে হেয় করা নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের মধ্য দিয়ে শিশুদের যৌন নিপীড়ন নিয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশে ওই কথা বলেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি৷

চেজ ভিন্টার/এএইচ

২০১৬ সালের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ