1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধান চ্যালেঞ্জ যখন যৌনপল্লী

৩০ মার্চ ২০১৪

ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়া-র মেয়র ত্রি রিসমাহারিনী৷ দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য জনপ্রিয়তা পেলেও একটি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তিনি৷ আর তা হলো শহরের যৌনপল্লী উচ্ছেদ৷

ফাইল ছবিছবি: Reuters

৭০'এর দশকে সুরাবায়ায় গড়ে ওঠে ‘ডলি' নামের যৌনপল্লীটি৷ এটির অবস্থান সুরাবায়া শহরের ঠিক মধ্যেখানে৷ স্থানীয় এনজিও ইয়াইয়াসান আবদি আসিহ জানিয়েছে সেখানে অন্তত ৬০টি বাড়ি রয়েছে এবং অন্তত শতাধিক যৌনকর্মী কাজ করে৷ এরই প্রতিবেশী এলাকা জারাকেও এক হাজারের বেশি যৌনকর্মী ছোট ছোট যৌন পল্লীতে কাজ করে৷

এই এলাকা দুটো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ‘রেড লাইট' এলাকা হিসেবে পরিচিত৷ অথচ মুসলিম অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়ার ঐ এলাকাটিতে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল রয়েছে৷ আগের সব মেয়র নির্বাচনের আগে যৌনপল্লীগুলো উচ্ছেদের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় আসার পর তা কার্যকর করেনি৷

ছবি: imago/McPHOTO

৫২ বছর বয়সি রিসমাহারিনী ২০১০ সালে মেয়র নির্বাচিত হন৷ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ফলে এরই মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি৷ রিসমাহারিনী বিশ্বাস করেন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি সক্ষম৷ কেননা এরই মধ্যে ঐ এলাকার তিনটি ছোট যৌনপল্লী বন্ধ করেছেন তিনি এবং ডলি-র সব ধরনের যৌনব্যবসা বন্ধের জন্য এ বছরের ১৯শে জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানান, ‘‘ডলি বন্ধ করা খুব চ্যালেঞ্জের কাজ এবং আমি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চাই৷''

২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬৫০ যৌনকর্মীকে সুরাবায়া সরকার রান্না শেখা, পার্লার ও অন্যান্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাতে তারা ঐ পেশা ছেড়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারে৷ ঐ ব্যবসা পুরোপুরি ছেড়ে যাতে অন্য কোন ব্যবসা শুরু করতে পারে তাই অনেককে ৩০ লাখ রুপিয়া করে দেয়া হয়েছে৷

তবে ডলি-র এক যৌনকর্মী মিমি জানালেন, ঐ অর্থে কোনো ব্যবসা চালু করা সম্ভব নয়৷ তিনি একটি খাবারের দোকান দিতে চান এবং এজন্য তার প্রয়োজন ১০ কোটি রুপিয়া৷ প্রতি রাতে তাঁর কাছে ৭ থেকে ১০ জন কাস্টমার আসে এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে ১১ ডলারের মত আয় হয় তার৷ এর থেকে যৌনপল্লীর মালিককে দিতে হয় অর্ধেক অর্থ৷ কিন্তু তারপরও তিনি এ ব্যবসা ছাড়তে রাজি নন৷ কেননা তার একটি ৬ বছর বয়সি মেয়ে আছে, যে নানা-নানীর কাছে বড় হচ্ছে এবং তার ভরণপোষণের জন্য যে অর্থ পাচ্ছে, এই ব্যবসা ছেড়ে দিলে তা পাবে কিনা সেই ভরসা নেই৷ মিমি-র মত আরো অনেক যৌনকর্মীর একই বক্তব্য৷

এনজিও কর্মী লিলিক সুলিসটিওয়াতি জানালেন, এ সব যৌনপল্লীর কর্মীদের স্থানীয় ক্লিনিকে মাসে একবার রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়৷ কিন্তু কয়েকটি যৌন পল্লী বন্ধ করে দেয়ায় এদের অনেকেই এখন হোটেলে বা গাড়িতে যৌন ব্যবসা করে, যার ফলে এইচআইভি-সহ অনেক রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কেননা এরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় না৷

রিসমাহারিনী বলেছেন, ‘‘একজন নেতা হিসেবে এই যৌনকর্মীদের কাজকে আমি ঘৃণার চোখে দেখি না৷ আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হল যৌনকর্মীদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ৷ কারণ তারা সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার৷'' তিনি বলেন, তার সরকার এখন নজর দিচ্ছে যাতে হোটেল ও গাড়িতে বিনামূল্যে জন্মনিরোধীকরণ ওষুধ ও কনডমের ব্যবস্থা রাখা হয়৷ সেইসাথে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি ৷

এপিবি/এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ