শিবিরের ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ অভিবাসনপ্রত্যাশী হয়ে যাওয়ার পরও সরকারের নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন লাম্পেডুসার মেয়র৷ তবে তার ধর্মঘটের হুমকির পর ভূমধ্যসাগরে টহল নৌকা ও ফেরি বাড়িয়েছে ইটালি সরকার৷
বিজ্ঞাপন
ইটালির ছোট্ট দ্বীপ লাম্পেডুসায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ থামছেই না৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য মাত্র একটি আশ্রয় শিবির রয়েছে সেখানে৷ ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা এখন ১২০০ ছাড়িয়েছে৷
রবিবার জেলে নৌকায় চড়ে আরো ৪৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী লাম্পেডুসার দিকে এগিয়ে এলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেন৷ পথে শুয়ে পড়ে ‘যথেষ্ট’, ‘যথেষ্ট’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা৷
ধর্মঘটের হুমকি
এদিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে বিনা বাধায় জেলে নৌকাটিকে এগিয়ে আসতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন লাম্পেডুসার মেয়র টোটো মার্টেলো৷ সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘‘এ পরিস্থিতি লাম্পেডুসা আর মেনে নেবে না৷ হয় সরকার তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেবে, নয়ত দ্বীপ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট শুরু হবে৷ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে৷’’
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাখায় ইটালিতে প্রতিবাদ
01:05
মেয়রের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাম্পেডুসা থেকে ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ৯০ মিটার দীর্ঘ একটি কোস্টগার্ড জাহাজ এবং করোনা নেগেটিভ হওয়া আরো ১২৮জনকে সিসিলি দ্বীপে সরিয়ে নেয়ার জন্য কয়েকটি ছোট জাহাজ পাঠানোর কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, আরো কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে কোয়ারান্টিনে রাখার জন্য সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ কয়েকটি ফেরি পাঠানো হবে৷
আগুনে নিহত ৩
এদিকে রোববার ইটালির কালাবারিয়া দ্বীপের দিকে আসার সময় নৌকায় আগুন লেগে গেলে কমপক্ষে তিনজন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যান৷ এছাড়া সাগরে ডুবে যান ২১ জন ৷ ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷ জানা গেছে, ওই ডিঙি নৌকার অধিকাংশই শ্রীলঙ্কা, মিশর, সোমালিয়া এবং পাকিস্তানের নাগরিক৷
এসিবি/ কেএম (এপি, এএফপি, ডিপিএ)
জার্মানিতে বাংলাদেশিদের পরিসংখ্যান
জার্মানির পরিসংখ্যান অফিস ‘ডেস্টাটিস’ বলছে, ২০১৯ সালে ২২৫ জন বাংলাদেশি জার্মানির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন৷ জার্মানিতে বাংলাদেশিদের বসবাসের সংখ্যাও জানিয়েছে তারা৷
ছবি: DW/A. Mita
রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি
জার্মানির পরিসংখ্যান অফিস ‘ডেস্টাটিস’ বলছে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ১৫ হাজার ৭১০ জন জার্মানিতে ছিলেন, যা যে-কোনো সময়ের চেয়ে বেশি৷ ছবিতে কেমনিৎস প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Privat
২০১৫ থেকে দুই অংকে
ডেস্টাটিসের কাছে ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশিদের হিসাব রয়েছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো জার্মানিতে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীর সংখ্যা ১০ হাজারের মাত্রা অতিক্রম করে৷ ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সংখ্যাটি ছিল ১১ হাজার ৪৮৯ জন৷ এরপর প্রতিবছর সংখ্যাটি বেড়েছে৷ ছবিতে গ্যোটিঙ্গেন শহরে বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন৷
ছবি: Azizur Rahman
দক্ষিণ এশিয়ার হিসাব
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর জার্মানিতে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৭১০৷ ঐদিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ দুই লাখ ৬৩ হাজার ৪২০ জন জার্মানিতে ছিলেন৷ এছাড়া ভারতের ছিলেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৫ জন, পাকিস্তানের ৭৫ হাজার ৪৯৫ ও নেপালের আট হাজার ১২০ জন৷
ছবি: DW/Ravi Ranjan
নাগরিকত্বের হিসাব
২০১৯ সালে ২২৫ জন বাংলাদেশি জার্মানির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷ নাগরিকত্ব বিষয়ে ডেস্টাটিসের কাছে ২০০০ সাল থেকে হিসাব পাওয়া যায়৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ সালে ১০১ জন বাংলাদেশি জার্মানির নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন, যা সর্বনিম্ন৷ আর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি জার্মানির নাগরিক হয়েছেন ২০০১ সালে (২৭০ জন)৷
ছবি: DW/A. Mita
দক্ষিণ এশীয়দের নাগরিকত্ব গ্রহণ
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের দুই হাজার ৬৭৫ জন জার্মানির নাগরিকত্ব নেন, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ৷ এরপরে আছে ভারত, দুই হাজার ১৩০ জন৷ এছাড়া পাকিস্তানের এক হাজার ৭৯০, শ্রীলঙ্কার ৬৬০ ও নেপালের ১০৫ জন জার্মানির নাগরিকত্ব নিয়েছেন৷ ছবিতে স্টুটগার্টে অনুষ্ঠিত ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের একটি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/V. Kumar
বিশ্বের হিসাব
২০১৯ সালে ১৮৩ দেশের এক লাখ ২৮ হাজার ৯০৫ জন জার্মানির নাগরিকত্ব নেন, যা ২০০৩ সালের পর সর্বোচ্চ৷ ঐ বছর এক লাখ ৪০ হাজার ৭০০ জন জার্মানির নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন৷
ছবি: Imago/STPP
সবচেয়ে বেশি তুরস্কের
২০১৯ সালে তুরস্কের ১৬ হাজার ২০০ জন জার্মানির নাগরিক হয়েছেন, যা সর্বোচ্চ৷ এরপরেই আছে ব্রিটেন (১৪ হাজার ৬০০), পোল্যান্ড (ছয় হাজার) ও রোমানিয়া (পাঁচ হাজার ৮০০)৷