মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
সামীউর রহমান ঢাকা
২২ জুলাই ২০২৩
মেহরাব হোসেন অপি, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তামিম ইকবাল..এই তালিকায় ঢুকে গেলেন ফারজানা হক পিঙ্কিও। মেহরাব, আমিনুল, তামিম যথাক্রমে ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।
বিজ্ঞাপন
ফারজানা হক পিঙ্কি শনিবার ভারতের বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন শতরান। নিজের ৫৩তম ওয়ানডে ইনিংসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দেখা পেলেন ফারজানা।
প্রায় এক দশক আগে, ভারতের বিপক্ষেই আহমেদাবাদে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সালমা খাতুন, এতদিন সেটাই ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ফারজানা এর আগে নয়টা হাফসেঞ্চুরি করলেও সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৭১ রানের, করেছিলেন গত বছর হ্যামিলটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে। শনিবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন ফারজানা, গড়লেন ইতিহাস। প্রথম ম্যাচে ফারজানা নেমেছিলেন ওয়ান ডাউনে,করেছিলেন ২৭ রান। পরের ম্যাচেও ওয়ান ডাউনে, করেছেন ৪৭ রান।
ভারতের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে ভালোই করছিলেন ফারজানা, কিন্তু ইনিংসটা বড় হচ্ছিল না। আগের ম্যাচেও রিতু মনিকে সঙ্গে নিয়ে ফারজানা যখন ব্যাট করছিলেন, তখন জয়ের সম্ভাবনা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের বিদায়ে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কান কোচ হাশান তিলকারত্নে বলেছিলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের ‘‘মানসিকতা বড় ইনিংস খেলার জন্য প্রস্তুত নয়।এছাড়া ফিটনেসও গড়পড়তার নীচে'' - সেটাই কি তাতিয়ে দিলো ফারজানাকে?
প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ ১-১ সমতায়, তাই শেষ ম্যাচ জয়ী দলই জিতবে সিরিজ। শেষ ম্যাচে ফারজানা নেমেছfnsন ইনিংসের সূচনায়, সঙ্গে ছিলেন সিরিজে এই ম্যাচেই প্রথম দলে সুযোগ পাওয়া শামীমা । দুজনে মিলে শুরুটা করেছেন ধীরস্থির, সাবধানী। প্রথম পাওয়ার প্লে'র ১০ ওভারে দলের রান মাত্র ৩২, তবে কোনো উইকেট না হারিয়ে। অল্পের জন্য হয়নি শতরানের উদ্বোধনী জুটি, ফারজানাকে রেখে বিদায় নেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া শামীমা (৫২)। তাতে দমে যাননি ফারজানা, অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে নিয়ে ৮৫ বলে ৭১ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহকে বাড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি নিজেও এগিয়ে যান শতরানের দিকে।
৮২ থেকে ৯০ এর ঘরে পৌঁছে যান দ্রুতই, মেঘনা সিংয়ের ওভারে দুটো ডাবলসের পর দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। ১০০ রান থেকে যখন মাত্র ৬ রান দূরে, তখন খানিকটা ছটফটে। একবার রানআউটের হাত থেকেও বেঁচেছেন। শেফালি ভার্মার বলে দ্রুত ১ রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, ডাইভ দিয়ে উইকেটে পৌঁছালেও ফিজিওর শরণ নিতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শেফালি ভার্মার বলে কভার দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি করেনফারজানা। ১৫৬ বল খেলেছেন সেঞ্চুরি করতে, চার মেরেছেন ৭টি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়েছেন ফারজানা, না হলে ইনিংসে আদ্যান্ত ব্যাট করার রেকর্ডও করতে পারতেন। শুধু শতরানের হিসেবেই নয়, বল খেলার হিসেবেও ফারজানার ইনিংসটি স্থান পেয়েছে রেকর্ড বইতে। ওয়ানডে ইতিহাসের পঞ্চম দীর্ঘতম ইনিংসটি ফারজানার, এক ম্যাচে তার চেয়ে বেশি বল খেলেছেন আর মাত্র ৪ জন ব্যাটার।
ফারজানার শতরানে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ, ৪ উইকেটে ২২৫ রান করেছে বাংলাদেশ। হ্যামিলটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস।
ফারজানার এই ইনিংসে ভর করে গড়া বড় সংগ্রহেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সম্ভাবনা দেখেছিল ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের। যদিও শেষ পর্যন্ত সিরিজটা জেতা হয়নি বাংলাদেশের, তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটা হয়েছে টাই। বাংলাদেশের ২২৫ রানের জবাবে ভারতও ৪৯.৩ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াতে মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে নবমবারের মতো দেখা গেছে টাই।
তিনটি ওয়ানডের এ সিরিজে ১৮১ রান করে ফারজানা হয়েছেন সিরিজ সেরা। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ফারজানা বলেন, ' আমি উপরে ব্যাটিং করতেই পছন্দ করি। আগের রাতে (শুক্রবার) আমাদের দলীয় বৈঠকের পর কোচ (হাশান তিলকরত্নে) আমাকে জানান যে আমাকে ইনিংসের সূচনায় যেতে হতে পারে। আমি প্রস্তুত ছিলাম। আমার ইনিংসগুলো শুরু পেলেও লম্বা করতে পারছিলাম না। আগের ম্যাচেও (দ্বিতীয় ওয়ানডে) ৪৭ রানে আউট হয়েছিলাম, এরপর বন্ধুবান্ধব সবাই বলেছিল যে আর তিনটা রান হলে হাফসেঞ্চুরি হতো। তাই আজকে (শনিবার) চেয়েছিলাম যতটা সময় সম্ভব উইকেটে থাকবো।’’
ফারজানার জার্সি নম্বর ৯৯। সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে প্রতিবেদককে ফারজানা বললেন জার্সি নম্বরের রহস্য, 'আমার জার্সি নম্বর ৯৯ ইচ্ছা করেই আমি বেছে নিয়েছি, যেন ১০০ করলে বলে যে ৯৯ এর ১০০।’’
সেই সঙ্গে জানালেন, বিকেএসপিতে নারী ক্রিকেটের প্রথম দিকের দিনগুলো, ' সে সময় মানজ্যোত সিং স্যার (বিকেএসপির সেসময়কার কোচ) আমাদেরকে খুব সহায়তা করেছেন। যে কোনো জিনিষেরই শুরুটা সবসময় ভালো হয় না। আমাদের ব্যাচটা যখন শুরু করে তখন অনেকেই অনেক কথা বলেছে। মানজ্যোত স্যার সবসময় বলেছেন আমরা পারবো, আমরা যেন নিজেদের উপর ভরসা রাখি'।
সিরিজ সেরার পুরস্কার নিতে এসে ফারজানা জানান, তার উপর আস্থা ছিল সতীর্থদের, ''আসরের শুরু থেকেই বেশ ভালো ছন্দে ছিলাম। সতীর্থ সবাই বলছিল যে কেউ শতরান করলে আমিই করবো। আমার পরিকল্পনা ছিল যতটা বেশি সময় পারা যায় ব্যাট করা। আমি শতরান নিয়ে ভাবছিলাম না, চাইছিলাম দলের রানটা যেন ২৩০ এর মতো হয়। আমি ব্যাট করতেই পছন্দ করি। আমার জন্য দারুণ একটা সুযোগ এসেছিল আর আমি সেটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছি।''
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাস বইতে অক্ষয় জায়গা পেয়ে গেলেন ফারজানা। নারী ক্রিকেটে ওয়ানডের প্রথম শতরান ফারজানার, এই ইতিহাস মুছে যাবে না কখনো। সেই সঙ্গে বোধহয় আমিনুল ইসলাম, মেহরাব হোসেনদের দুর্ভাগ্যেরও খানিকটা স্পর্শ পেলেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট এবং ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান দলকে জেতাতে পারেননি, দিনশেষে ফারজানাও তো পারলেন না জয়ী দলের অংশ হতে।
বাংলাদেশে নারীদের ‘প্রথম’
প্রথম ওয়ান ডে সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়েন ফারজানা হক পিঙ্কি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫৬ বলে শতরান করেন তিনি। ছবিঘরে থাকছে এমনই কিছু নারীর কথা যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন অঙ্গনে ‘প্রথম’।
ছবি: Andrew Cornaga/Action Plus/IMAGO
প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী৷ ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার দল ক্ষমতায় আসে৷
ছবি: Getty Images
প্রথম শতরান
ওয়ান ডে সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন ফারজানা হক পিঙ্কি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডেতে ১৫৬ বলে শতরান করলেন তিনি। ৫০ ওভারের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে পুরো ইনিংসে একাই ব্যাট হাতে গোটা দলকে টেনে নিয়ে যান ফারজানা। ম্যাচের একেবারে শেষ বলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১০৭ রানে আউট হন তিনি।
ছবি: Morgan Hancock/NurPhoto/picture alliance
প্রথম নারী স্পিকার
২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী৷
ছবি: bdnews24.com
প্রথম নারী বিচারপতি
বিচার বিভাগের ইতিহাসে হাইকোর্টের প্রথম নারী বিচারক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা৷ ১৯৭৫ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন৷ প্রথম নারী জেলা জজ তিনি, হাইকোর্টেও প্রথম নারী বিচারপতি৷ ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন৷ ২০২১ সাল থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে আছেন৷ এই পদে নিয়োগ পাওয়া প্রথম নারীও তিনি৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কবিতা খানম৷
ছবি: bdnews24.com
ফুটবলে নারীদের প্রথম সাফ জয়
১৯ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জেতেন বাংলাদেশের মেয়েরা৷
ছবি: Mir Farid
ক্রিকেটে নারীদের প্রথম এশিয়া কাপ জয়
২০১৮ সালে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল৷
ছবি: Suhaimi Abdullah/Getty Images
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য
২০১৪ সালের ২ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ফারজানা ইসলাম৷ তিনিই কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হওয়া প্রথম নারী৷
ছবি: bdnews24.com
বিজিএমইএ-র প্রথম নারী সভাপতি
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ-র প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি হয়েছিলেন রুবানা হক৷ ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি৷
ছবি: bdnews24.com
প্রথম বেসামরিক নারী বৈমানিক
১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছিলেন সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা৷ ১৯৮৪ সালে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি ফকার বিমান অবতরণ করাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান পাইলট কানিজসহ বিমানের ৪৫ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/S. Ramany
প্রথম সামরিক নারী বৈমানিক
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর বিমানবাহিনীর পাইলট অফিসার তামান্না-ই-লূৎফী দেশের প্রথম সামরিক নারী বৈমানিক হিসেবে সফলভাবে একটি হেলিকপ্টার ওড়ান৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto
প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে
২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন বিমানবাহিনীর দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফী (বামে) ও নাইমা হক৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto
প্রথম নারী প্যারাট্রুপার
২০১৩ সালে সিলেট সেনানিবাস সংলগ্ন পানিছড়া ড্রপ জোনে এক হাজার মিটার উচ্চতা থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে নিরাপদে মাটিতে নেমে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যারাট্রুপারের গৌরব অর্জন করেছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস৷ (ছবিটি প্রতীকী)
ছবি: Gavriil Grigorov/TASS/dpa/picture alliance
প্রথম এভারেস্টজয়ী নারী
প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে ২০১২ সালের ১৯ মে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার৷
ছবি: Lakpa Sherpa/AFP/Getty Images
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ শৃঙ্গে
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন৷ ২০১১ সালে আফ্রিকার কিলিমানজারো দিয়ে শুরু করে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর ওশেনিয়ার কার্সটেসনস পিরামিড দিয়ে শেষ করেছিলেন ওয়াসফিয়া৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রথম নারী নাবিক
২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ১৩ জন নারী নাবিক কাজ শুরু করেন৷ তারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পান৷ এই নারী মেরিন ক্যাডেটরা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজে যোগ দিয়েছিলেন৷
ছবি: Reuters
প্রথম নারী ট্রেন চালক
২০০৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী চালক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে দেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক হয়েছিলেন সালমা খাতুন৷
ছবি: privat
গিনেস বুকে প্রথম বাংলাদেশি নারী
১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০০২ সালে জোবেরা রহমান লিনুর নাম গিনেস বুকে ওঠে৷
ছবি: Khandakar Tarek
এসএ গেমসে সোনাজয়ী প্রথম নারী
দক্ষিণ এশিয়ান গেমস এসএ গেমসে বাংলাদেশের সোনাজয়ী প্রথম নারী অ্যাথলেট কাজী শাহানা পারভীন৷ ১৯৯১ সালে কলম্বো গেমসে শুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Xhemaj
এসএ গেমসে সাঁতারে সোনাজয়ী প্রথম নারী
২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় গেমস এসএ গেমসে ৫০ মি: ও ১০০ মি: ব্রেস্টস্ট্রোকে দুটি স্বর্ণপদক অর্জন করেন মাহফুজা খাতুন৷
ছবি: bdnews24.com
এসএ গেমসে ভারোত্তলনে সোনাজয়ী প্রথম নারী
২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় গেমস এসএ গেমসে ভারোত্তলনে বাংলাদেশের ইতিহাসে মেয়েদের মধ্যে প্রথম সোনা জেতেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত৷
ছবি: Khandakar Tarek
আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় প্রথম বাংলাদেশি নারী রেফারি
বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন জয়া চাকমা৷ ২৩ জুন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ফিফা প্রীতি ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি৷