সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ওঁত পেতে আছে অগুণতি প্রতারক৷ মেয়েরাই বেশি প্রতারণার শিকার৷ সবচেয়ে সহজ শিকার কমবয়সি মেয়েরা৷ কিছু মানুষ তা বিশ্বাস করতে রাজি নন৷ তবে এই ভিডিও দেখলে তাঁরাও কম বয়সি মেয়েদের নিশ্চয়ই সাবধান করবেন৷
বিজ্ঞাপন
ফেসবুকে পরিচয়৷ তারপর বন্ধুত্ব৷ কয়েকদিন পর দেখা করার আহ্বান৷ দেখা করার পর কার কী হয় সব নিশ্চয়ই জানা যায়না৷ তবে খুব খারাপ সংবাদ প্রায়ই আসে সংবাদ মাধ্যমে৷ কখনো উঠে আসে ধর্ষণের খবর, কখনো অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, কখনোবা হত্যার খবর৷
যুক্তরাষ্ট্রেও এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে৷ তাই এক তরুণ কমবয়সি মেয়ে এবং তাদের বাবা-মা-কে সতর্ক করতে নিয়েছিলেন অভিনব এক উদ্যোগ৷ ছদ্মনামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বন্ধু করলেন তিন কিশোরীকে৷ তিন বছর ধরে চলল আলাপচারিতা৷ ততদিনে বন্ধুত্ব খুব জমেছে৷ অপ্রাপ্তবয়স্কা তিনজনই্ তরুণটির কথায় মজে যায়৷
তরুণটি বুঝতে পারেন, এখন মেয়ে তিনটিকে বললে তারা শত ঝুঁকি নিয়ে হলেও তার সঙ্গে দেখা করবে৷ এই পর্যায়ে মেয়ে তিনটির বাবা-মায়ের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন৷ তিনজনের বাবা-মা-কেই বলেন, ‘‘আপনাদের সন্তানের এখন সহজে বিপদে পড়ার বয়স৷ কিছু বিষয়ে ওদের এখনই সচেতন ও সতর্ক হওয়া দরকার৷ আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে ওদের এখন যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় ডেকে নিয়ে হয়তো বড় কোনো বিপদ ঘটিয়ে দিতো৷''
তিনজনের বাবা-মা-ই বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি৷ বিশ্বাস করতে চাননি, তাঁদের সন্তানদের ডাকলেই সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা জীবনে কোনোদিন না দেখা একজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠবে৷ কিন্তু তরুণটি তিন মেয়ের বাবা-মায়েদের সামনেই বিষয়টি প্রমাণ করে দিলেন৷ একটি মেয়ে দিনের বেলা অজ্ঞাত স্থানে দেখা করতে রাজি হয়ে যথাসময়ে সেখানে চলে গেল৷ একজন গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের হতে গেল৷ আরেকজন রাতেই বেরিয়ে পড়ল ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে৷
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সন্তানের অপরিণত বুদ্ধির আবেগজনিত বোকামি দেখে বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ হলেন বাবা-মা৷ তারপর সন্তানদের বোঝালেন, ‘‘ফেসবুক খুব বিপজ্জনক জায়গা৷ বিপদ থেকে দূরে থাকতে সবসময় সতর্ক থাকো৷ এমন ভুল করোনা যে ভুলের মাশুল তোমাকে-আমাকে চিরকাল দিতে হবে৷''
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছিল ভিডিওটি৷ গত এক বছরে ভিডিওটি মোট ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৬৯ বার দেখা হয়েছে৷
এসিবি/এসবি
তথ্য গোপন রাখার সাতটি সহজ উপায়
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা৷ ফোর্বস জানাচ্ছে কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷ আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে৷ এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷ এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷ বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন৷
ছবি: Sergey Nivens - Fotolia.com
নামে ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
ছবি: AFP/Getty Images
ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেয়া
অচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
ছবি: AP
ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Bozoglu
‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুন
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি ‘অ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন৷