নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতল বাংলাদেশের মেয়েরা৷
বিজ্ঞাপন
নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা৷ কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারালো বাংলাদেশ৷ জোড়া গোল করেন কৃষ্ণা রানি সরকার, অন্য গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র৷ স্বাগতিকদের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন অনিতা বাসনেত৷
দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচের বিরতি পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা৷ বদলি নামা শামসুন্নাহার জুনিয়র ম্যাচের ১৪তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৪২তম মিনিটে দলের পক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা রানি সরকার৷
ম্যাচের প্রথম থেকেই নেপালের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ৷
ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের শুরুর দিকে চোট পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্বপ্না৷ এদিন শুরুর একাদশে জায়গা পেলেও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি৷ ১১তম মিনিটে তার জায়গায় নামানো হয় শামসুন্নাহারকে৷
মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যান শামসুন্নাহার৷ ডান প্রান্তে মনিকা চাকমা প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে দারুণ ক্রস করেন ডি-বক্সের মধ্যে৷ চোখ ধাঁধানো ফ্লিকে জাল কাঁপান তিনি৷
৪২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে থ্রু বল বাড়ান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন৷ তা ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বাঁ পায়ের কোণাকুণি শটে অঞ্জলির মাথার উপর দিয়ে নিশানা ভেদ করেন কৃষ্ণা৷
ম্যাচের ৭০ মিনিটে অনিতা শামসুন্নাহারকে ফেলে সহজেই ঢুকে যান বক্সে৷ এরপর কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের জালে জড়িয়েছেন বল৷ ৭৭ মিনিটে কৃষ্ণা করেন তার দ্বিতীয় গোল৷ ৩-১ গোলে শিরোপা জিতে নেয় সাবিনার দল৷
বিশ্বের সেরা ১০ নারী ফুটবলার
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বর্তমানে কাঁপাচ্ছেন ফুটবল ময়দান৷ এই ছবিঘরে চিনুন বিশ্বের সেরা দশজন নারী ফুটবলারকে...
ছবি: Reuters/G. Garanich
আডা হেগেরবের্গ
নরওয়ের এই স্ট্রাইকার ২০১৮ সালে খবরে আসেন ব্যালন ডি’অর-জয়ী প্রথম নারী ফুটবলার হিসাবে৷ মাত্র ২৩ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার ফুটবল জগতে পরিচিত তাঁর আড়াইশ’র বেশি গোলের জন্য৷
ছবি: picture-alliance/NTB Scanpix/V. Wivestad
পেরনিল হার্ডার
২০১৭ সালের প্রমীলা ইউরো টুর্নামেন্টে জার্মানির বিরুদ্ধে ডেনমার্ককে জেতাতে হার্ডারের দুটি গোলের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু তাই নয়, ২০১৭ সালে বুন্ডেসলিগায় তাঁর দল ভল্ফসবুর্গের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেন তিনি৷
ছবি: Reuters/Y. Herman
ওয়েন্ডি রেনার্ড
অলিম্পিক লিয়ঁ ক্লাব ও ফ্রান্সের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রেনার্ড৷ সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলা এই নারী ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হয়ে উঠেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/Jonathan Nackstrand
লুসিয়া রবের্তা টাফ ব্রঞ্জ
২০১৮ সালে তাঁর সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে অলিম্পিক লিয়ঁর হয়ে দেওয়া লুসিয়ার একটি গোল সেই মরসুমের সেরা গোলের খেতাবের জন্য মনোনীত হয়৷ শোনা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের প্রমীলা ফুটবল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তাঁর৷
ছবি: Getty Images/N. Baker
মার্তা ভিয়েরা ডা সিলভা
ব্রাজিলের হয়ে ১৩৩টি ম্যাচে ১১০টি গোল করেছেন ব্যতিক্রমী এই খেলোয়াড়৷ শুধু তাঁর অসাধারণ ‘ফুটওয়ার্ক’ নয়, মার্তা বিখ্যাত হয়েছেন নারী স্বাধীনতার একজন ‘আইকন’ হিসেবেও৷ তাঁর দেশ ব্রাজিলে কমবয়সি মেয়েদের কাছে তিনি রীতিমত সেলিব্রেটি৷
ছবি: Getty Images
জেনিফার মারোৎসজান
গত জুলাই মাসে জার্মানির সাবেক অধিনায়ক জেনিফার ফুসফুসের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন৷ কিন্তু অক্টোবরেই আবার এই মিডফিল্ডারকে মাঠে লড়াকু মনোভাবের সাথে দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/GES/T. Eisenhuth
আমান্ডিন হেনরি
ফ্রান্সের এই খেলোয়াড় খেলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে৷ তাঁর খ্যাতি দারুণ ফুটওয়ার্কের পাশাপাশি অসামান্য বল নিয়ন্ত্রণের জন্যেও৷
ছবি: Reuters/V. Ogirenko
সামান্থা কের
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রমীলা সকার লিগে ৯৪টি ম্যাচে ৫৫টি গোলের রেকর্ড রয়েছে সামান্থা কেরের হাতে৷ মাত্র ১৫ বছর বয়সে পেশাদারী ফুটবল শুরু করেছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/G. Denholm
মেগান রাপিনো
৩৩ বছর বয়সি এই মার্কিন খেলোয়াড় একাধিক টুর্নামেন্টের সাথে অলিম্পিকেও পদক জিতেছেন৷ বিশ্বখ্যাত এই খেলোয়াড় মাঠের বাইরে সমকামীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবার জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/R. Martinez
সাকি কুমাগাই
কুমাগাইয়ের দৃঢ় ডিফেন্সই ২০১৮ সালে প্রমীলা এশিয়া কাপ এনে দেয় জাপানের হাতে৷ ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে বিজয়ী গোলটিও কুমাগাইয়ের জাদুকরি পায়েরই ফসল৷
ছবি: Getty Images/AFP/G. Cacace
10 ছবি1 | 10
ভারতের বিদায়ে এবার বাংলাদেশের মেয়েদের মাধ্যমে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা পেল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ফুটবল আসরটি৷ আগের আট দেখায় নেপালকে কখনও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ৷ এবারের সাফে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতল বাংলাদেশ৷ নেপালের বিপক্ষে আগের ৮ দেখায় বাংলাদেশের হার ছিল ৬টি, ড্র দুটি৷ ১৯৯৯ সালে এই নেপালেই প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল, ২২ বছর পর সেই নেপালেই সেরা হলেন মেয়েরা৷