নাস এবং আলিন – দু'জনই ট্র্যাভেল করতে ভালোবাসেন৷ ঘুরে বেড়ান গোটা বিশ্ব৷ কিন্তু দু'জনের অভিজ্ঞতা দু'রকম৷ পুরুষ বলে নাস যা পারেন, তার অনেককিছুই পারেন না আলিন৷
বিজ্ঞাপন
গতবছর অবধি আলিনের একটি সংসার ছিল, ছিল চাকুরি এবং একটি ধর্ম৷ কিন্তু তিনি সেসবই ত্যাগ করেছেন৷ এখন শুধু ঘুরে-বেড়ানো...৷ শুধু তাই নয়, গোটা দুনিয়ায় তাঁর ঘুরে বেড়ানোর ছবি ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে দেখা যায় প্রায়শই৷ অন্যদিকে, নাসের অবস্থাও একই৷ বয়স ২৬-এ পৌঁছানোর পরই তিনি অনুভব করলেন বয়স এক তৃতীয়াংশ পেরিয়ে গেছে, তাই সব বাদ দিয়ে তিনিও দুনিয়া ঘোরেন, তৈরি করেন ভিডিও, যার লেন্থ এক মিনিট করে৷
নাস এবং আলিন সম্প্রতি তাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন৷ নাস যেখানে নির্দিধায় রাতেরবেলা ঘুরতে যেতে পারেন, আলিন পারেন না৷ তিনি বাজারে গেলে মানুষের নানা কটূক্তি শুনতে পান৷ আর পোশাকের দিক থেকেও আলিন একটু খোলামেলা কিছু পরলে, কেউ কেউ মনে করেন তিনি বুঝি নিজেকে প্রদর্শন করছেন, অন্যদিকে নাস গেঞ্জি খুলে বেড়ালেও কেউ গা করেন না৷
নাস একজন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি, অন্যদিকে আলিন একজন ইসরায়েলি মার্কিন৷ তারা দু'জনই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়৷ আলিনকে ইন্সটাগ্রামএ পাবেন এখানে , আর নাস সবচেয়ে সক্রিয় ফেসবুকে ৷
এআই/ডিজি
ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফি বা ভ্রমণ স্থিরচিত্রের ১০০ বছর
ঘোরাঘুরির সময় সেলফি, বা ছুটি কাটাতে গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া– ভ্রমণ যে স্থিরচিত্র তোলায় উৎসাহ দেয় তা এ থেকেই বোঝা যায়৷ বার্লিনে এক প্রদর্শনীতে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফারদের তোলা কিছু ছবি এখানে থাকছে৷
ছবি: Thomas Hoepker/Magnum Photos/Agentur Focus
সমালোচকের দৃষ্টিতে
টোমাস হ্যোপকে এই ছবিটি তুলেছেন ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে৷ সাংবাদিকতার কাজে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি৷ তার ছবিতে মার্কিনীদের জীবনযাত্রার সমালোচক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে৷ নিউইয়র্কের একটি বাসে হজমের ওষুধের এই বিজ্ঞাপনটির দিকে সবার দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন তিনি৷
ছবি: Thomas Hoepker/Magnum Photos/Agentur Focus
পাখির চোখে দেখা
রবার্ট পেটশো ১৯২০ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেছিলেন৷ কখনো জেপেলিন বিমানে, হট এয়ার বেলুনে চড়ে অথবা জেট বিমানে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি৷ এসব যানে চড়ে দারুণ সব ছবি তুলেছেন তিনি৷ এই ছবিটি ৩০-এর দশকে সুইজারল্যান্ডের একটি সেতুর৷
ছবি: Urheberrechte am Werk erloschen
৩০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ
এরিক সলোমন তাঁর স্থিরচিত্র প্রতিবেদনের জন্য পুরো ইউরোপে সুপরিচিত৷ যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তাঁর তোলা এই ছবিটি খুবই গতানুগতিক কিন্তু তথ্যচিত্রের ছোঁয়া আছে এতে৷
ছবি: Urheberrechte am Werk erloschen, Repro: Anja-Elisabeth Witte
নতুন স্থানের প্রবর্তক
সলোমন প্রায়ই আন্তর্জাতিক নানা সম্মোলনের ছবি তুলতেন৷ তিনিই প্রথম ফটো জার্নালিস্ট, যাকে হোয়াইট হাউসে ছবি তোলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল৷ এই ছবিটি নিউইয়র্কের এলিস আইল্যান্ডে ১৯৩২ সালে তোলা৷
ছবি: Urheberrechte am Werk erloschen, Repro: Anja-Elisabeth Witte
প্রথমদিককার পথ আলোকচিত্র
১৯৫৭ সালে বিশ্ব যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’র ছবি তুলতে মিনস্ক-এ গিয়েছিলেন তরুণ ফটোগ্রাফার এভিলিন রিচার৷ ৩৫ মিলিমিটার ক্যামেরায় তিনি পথের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরেছেন৷
ছবি: Evelyn Richter Archiv der Ostdeutschen Sparkassenstiftung im Museum der bildenden Künste Leipzig/VG BILD-KUNST Bonn, 2017
অভ্যন্তরে যাত্রা
সাবেক পূর্ব জার্মানিতে কমিউনিস্ট শাসন চলছিল, সেই সময় ফটোগ্রাফার উলরিস ভ্যুস্ট সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন৷ থুরিঙ্গিয়ায় নিজের ঘরের পাশে এই তুস্কানিকে আবিষ্কার করেছিলেন তিনি৷ ১৯৮৫ সালে তাঁর তোলা ‘হেড-ট্রিপস অ্যান্ড ওডিসিস’ সিরিজের একটি ছবি এটি৷
ছবি: Ulrich Wüst
বিভক্ত দেশের পর্যটকরা
পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির ট্রানজিট পথের অনেক ছবি তুলেছিলেন পশ্চিম বার্লিনের ফটোগ্রাফার হানস পিলার এবং ভোল্ফ ল্যুৎসেন৷ ১৯৮৪ সালে তাদের ‘ট্রানজিট বার্লিন-হামবুর্গ’ সিরিজের একটি ছবি এটি৷
ছবি: Wolf Lützen und Dr. Johan Filip Rindler
মরু এলাকায় ভ্রমণ
টোবিয়াস জিলোনিসের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি পুরোনো খনির শহরে ভাঙা গাড়ির সামনে যুবক-যুবতীকে৷ ২০০৮ সালে তাঁর সিরিজ ফটোগ্রাফি ‘ট্রোনা-আর্মপিট অফ অ্যামেরিকা’র একটি ছবি ‘কার রেক’৷
ছবি: Tobias Zielony
ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন
২০১২ সালে কিয়োটোতে গোয়েটে ইনস্টিটিউটের তিন মাসের স্কলারশিপ পেয়েছিলেন হানস-ক্রিস্টিয়ান শিংক৷ এক বছর আগের সুনামি’র ধ্বংসযজ্ঞের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি৷