সিনিয়র হোয়াইট হাউস অ্যাডভাইজার হতে চলেছেন ‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট' ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভানকা ট্রাম্পের স্বামী জারেড কুশনার৷ দৃশ্যত কুশনার তাঁর অনেক বাণিজ্যিক স্বার্থ পরিত্যাগ করবেন৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর জামাতা জারেড কুশনারের নাম ঘোষণার পর থেকেই এই পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে আলেচনা শুরু হয়েছে৷ জারেড কুশনার বাণিজ্য সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা ও মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর দেবেন বলে জানা গেছে৷
ট্রাম্পের নির্বাচনি অভিযানে কুশনার পুরোটা সময় জুড়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন৷ উপদেষ্টা হিসেবে কুশনারের নিয়োগ ঘোষণা করার সময় ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘জারেড গোটা ক্যাম্পেইন এবং ট্র্যানজিশনের সময় অত্যন্ত মূল্যবান ও বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ছিল এবং তাকে আমার প্রশাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় রাখতে পেরে আমি গর্বিত৷''
‘‘কুশনার প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পের কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্য চিফ অফ স্টাফ রাইন্সে প্রিবাস ও চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন'' বলে বিবৃতিতে জনানো হয়৷
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদ ও সাম্রাজ্য
ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক কতটা ধনি? সেই সম্পদের ভিত্তিই বা কী? ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সম্পদ নিয়ে বড়াই করে থাকেন, কিন্তু বিশদ কিছু না জানিয়ে৷ যেটুকু জানা গেছে, তা হলো...
ছবি: picture-alliance/AA
ট্রাম্প কতটা বড়লোক?
ট্রাম্পের সম্পত্তি নিয়ে কথা উঠলে প্রথমে কিছুটা ধাঁধা লাগে৷ তাঁর ধনসম্পদ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযান থেকেও কোনো বিশদ খবরাখবর পাওয়া যায়নি, যেহেতু ট্রাম্প অপরাপর প্রার্থীদের মতো তাঁর আয়করের খতিয়ান প্রকাশ করেননি৷
ছবি: Getty Images/C. Somodevilla
ট্রাম্প নিজে যে বিবৃতি দিয়েছেন
...তা অন্যান্যদের হিসেবনিকেশের সঙ্গে মেলে না৷ ২০১৫ সালের জুন মাসে ট্রাম্প বলেন যে, তাঁর সম্পদের মূল্য আটশ’ কোটি ডলারের বেশি৷ কিন্তু ফর্বসের হিসেব অনুযায়ী তাঁর সম্পদ ৪১০ কোটি ডলার৷ ২০১৫-র জুলাই মাসের মাঝামাঝি ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায় যে, তাঁর বিত্তের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার৷ কিন্তু ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থার মতে তখন ট্রাম্পের সম্পদ ২৯০ কোটি ডলারের বেশি নয়৷
ছবি: Reuters/J. Bourg
গ্লোবাল কর্পোরেট নেটওয়ার্ক
ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত জার্মান পত্রিকা ‘হান্ডেলসব্লাট’-এর বিবরণ অনুযায়ী, ২৫টি দেশের ৫০০ কোম্পানিতে ট্রাম্পের শেয়ার আছে৷ এই সব কোম্পানির কার্যকলাপ, আয়-ব্যয় বা মুনাফা সম্পর্কে প্রায় কিছু জানা নেই৷ ২৫টি দেশে ট্রাম্পের ১৪৪টি কোম্পানি আছে, বলে সিএনএন দাবি করে থাকে৷ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী ট্রাম্পের অন্তত ১৮টি দেশে ১১১টি কোম্পানি আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Probst
রিয়্যাল এস্টেট
ট্রাম্পের সাম্রাজ্য হলো ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’, যা তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন৷ ১৯৭১ সাল যাবৎ তিনি এই কোম্পানিটির দায়িত্বে৷ সারা বিশ্বে এই কোম্পানির বড় বড় প্রপার্টি আছে, যেমন নিউ ইয়র্কে ৪০ নম্বর ওয়াল স্ট্রিট, ভ্যানকুভারে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার বা (ছবিতে) লাস ভেগাসের ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল৷
ছবি: Getty Images/J.Raedle
চার বাড়িতেই বাজি মাত
ট্রাম্পের সম্পদ মোটামুটি চারটি বহুতল ভবনে আবদ্ধ, বলে ফর্বস পত্রিকার অভিমত৷ নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের দু’টি অফিস ভবন আছে, এছাড়া তিনি ফিফ্থ অ্যাভিনিউ-এর ট্রাম্প টাওয়ারের অংশীদার৷ সান ফ্রান্সিস্কোতেও তাঁর একটি বহুতল ভবন আছে৷ এই চারটি বহুমূল্য স্থাবর সম্পত্তি ট্রাম্পের সম্পদের মোট ৪০ শতাংশ, বলে ফর্বস-এর ধারণা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W.G. Allgoewer
গল্ফ কোর্স
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মিলিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট ১৭টি গল্ফ কোর্সের মালিক৷ ২০১৬ সালের মে মাসে ট্রাম্প বলেন যে, এই গল্ফ কোর্সগুলি থেকে তাঁর বছরে ৩০ কোটি ডলারের বেশি আয় হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/D. Lawson
তাজ মহল
হ্যাঁ, তবে অ্যাটলান্টিক সিটিতে, এবং এটি একটি ক্যাসিনো৷ ট্রাম্প অ্যাটলান্টিক সিটি ও ফ্লরিডায় তাঁর ক্যাসিনোগুলিতে অনেক টাকা ঢেলেছেন৷ অ্যাটলান্টিক সিটির তাজ মহল ক্যাসিনোটি তৈরি করতে নাকি ট্রাম্পকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার খরচ করতে হয়েছে৷ ক্যাসিনোটি প্রথমবার দেউলিয়া হয় ১৯৯১ সালে; তারপর ২০০৪, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আরো তিনবার দেউলিয়া হয়৷ শেষমেষ ২০১৬ সালের ১০ই অক্টোবর ক্যাসিনোটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
ছবি: Getty Images/W.T.Cain
‘ইউ’র ফায়ার্ড’
টেলিভিশন মনোরঞ্জনের জগতেও ভাগ্যানুসন্ধান করেছেন ট্রাম্প৷ ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ নামের সফল টিভি সিরিজটির সঞ্চালক ও প্রযোজক ছিলেন ট্রাম্প৷ শো’টি চলে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল অবধি৷ ১৭টি দেশে তা সম্প্রচার করা হয়েছে৷
আদালতে মামলা আর ব্যর্থ চুক্তির কারণে অধিকাংশ মার্কিন ব্যাংক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টাকা ধার দিতে চায় না৷ জার্মানির ডয়চে ব্যাংক কিন্তু কোনোদিনই ট্রাম্পকে না বলেনি, বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷ ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ পত্রিকার খবর অনুযায়ী ডয়চে ব্যাংক ১৯৯৮ সাল যাবৎ ট্রাম্পকে ২৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে৷ সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী ডয়চে ব্যাংকের কাছে ট্রাম্পের এখনও ৩৬ কোটি ডলার ধার আছে৷
ছবি: picture-alliance/Markus Ulmer
স্বার্থের সংঘাত?
ঘটতে বাধ্য, বলে মনে হতে পারে৷ অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা তাদের ব্যবসা কোনো ট্রাস্ট বা নিধির হাতে তুলে দিয়েছেন৷ মালিকানা বজায় থাকলেও, ব্যবসা চালানোয় আর তাঁদের কোনো হাত থাকেনি৷ ট্রাম্পও তাঁর ব্যবসা তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের হাতে তুলে দেবার কথা ভাবছেন৷ খুঁটিনাটি নাকি তিনি ২০১৬-র জানুয়ারি মাসে জানাবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
স্বজনপোষণ বিরোধী আইন
কুশনারের পক্ষে এক আইনজীবী যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ফেডারাল স্বজনপোষণ বিরোধী আইনটি কুশনারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ ঐ আইন অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের নিজেদের আত্মীয়দের সরকারি নিয়োগ দিতে পারেন না৷ কুশনার ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভানকার স্বামী৷
উইলমার-হেল আইনজীবী কার্যালয়ের অংশীদার জেমি গোরলিক তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘‘মিস্টার কুশনার ফেডারাল নৈতিকতার আইনসমূহ মেনে চলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তাঁর কী করা উচিত সে বিষয়ে আমরা অফিস অফ গভর্নমেন্ট এথিক্স-এর সঙ্গে কথা বলছি৷ পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, কিন্তু মিস্টার কুশনার ‘কুশনার কোম্পানিজ' থেকে পদত্যাগ করবেন ও ফেডারাল নীতিমালা অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির একটা বড় অংশ হস্তান্তর করবেন৷''
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, আইন যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সেজন্য কুশনারের পদের নাম বদলে নেওয়া হতে পারে৷
ইভানকা কোনো পদ নিচ্ছেন না
ইভানকা ট্রাম্প তাঁর স্বামীর মতো হোয়াইট হাউসে কোনো বিধিবদ্ধ পদ নিতে পারেন বলে যে গুজব শোনা গিয়েছিল, ট্রাম্পের ট্র্যানজিশন টিমের কর্মকর্তারা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইভানকা আপাতত তাঁর পরিবারকে নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়ে আসতে ব্যস্ত৷ তবে তিনি যে ভবিষ্যতে কোনো ভূমিকা নিতে পারেন, কর্মকর্তারা এ সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেননি৷
ডনাল্ড ট্রাম্প: ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় বইয়ের লেখক এবং রিয়েলিটি টিভি স্টার হিসেবে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট৷ হোয়াইট হাউজে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিবার, সাম্রাজ্য
তিনি যাদের ভালোবাসেন তাদের নিয়ে তোলা ছবি৷ এখানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভানকা এবং টিফানি, ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র এবং নাতি কাই ও ডোনাল্ড জন থ্রি৷ তাঁর তিন বড় সন্তান ট্রাম্প অরর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়নিয়ার
১৯৮৪ সালে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিউ জার্সির ট্রাম্প প্লাজায় হারাহ’স ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এটা অন্যতম এক খাত যেখানে বিনিয়োগ করে বাপের টাকায় মিলিয়নিয়ার হওয়া ট্রাম্প নিজেকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Lederhandler
বাপের টাকায় ব্যবসা শুরু
রিয়েল স্টেট সাম্রাজ্যের শুরুটা ট্রাম্প করেছিলেন তাঁর বাবা ফ্রিডরিকের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে৷ তিনি তাঁর ছেলেকে শুরুতে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন৷ এবং তাঁর মৃত্যুর পর ট্রাম্প এবং তাঁর তিন ভাইবোন উত্তরাধিকার সূত্রে চার’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হন৷
ছবি: imago/ZUMA Press
একটি নামের মধ্যে কী আছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং মার্কেটের উত্থান পতনের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন৷ নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ার তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য এনে দিয়েছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ তবে কখনো তিনি তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো আর্থিক কাগজপত্র প্রকাশ করেননি৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ তিনি যা বলেন তাঁর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
‘খুব ভালো, খুব স্মার্ট’
ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে নিজেই বলেন একথা৷ তিনি সুপরিচিত সুপরিচিত ‘ওয়ার্টন স্কুল অফ দ্য ইউনিভার্সিটি অফ পেনসেলভেনিয়ায়’ লেখাপড়া করেছেন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B.J. Harpaz
ক্যাপ্টেন ট্রাম্প
কলেজে পাঠানোর আগে ১৩ বছর বয়সে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পকে৷ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের আগেই একাডেমি থেকে একটি অফিসার’স ব়্যাংক অর্জন করেন তিনি৷ নির্বাচনি প্রচারাভিযানকালে তিনি জানান যে, তিনি স্কুলে কাঠামো এবং সামরিক সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/
ভিয়েতনাম যাওয়ার বদলে গোড়ালির চিকিৎসা
মিলিটারি শিক্ষা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাননি ট্রাম্প৷ পড়াশোনা করার সময় তিনি চারবার কালহরণ করেছিলেন এবং গোড়ালির চিকিৎসার জন্য একবার বিরতি নিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগ অবধি কোনো সরকারি কার্যালয় বা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেননি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রথম স্ত্রী: ইভানা জেলনিউকোভা
১৯৭৭ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ইভানা জেলনিউকোভাকে বিয়ে করেন ট্রাম্প৷ তাঁদের তিন সন্তান হয়৷ ডোনাল্ড জন জুনিয়র, ইভানকা মারি এবং এরিক ফ্রেডরিক৷ তবে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কসহ নানা জটিলতায় ১৯৯০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ ইভানা হচ্ছেন সেই নারী, যিনি ট্রাম্পের ডাক নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ডোনাল্ড৷’
ছবি: Getty Images/AFP/Swerzey
দ্বিতীয় পরিবার
ট্রাম্প পরবর্তীতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৩ সালে তাঁদের মেয়ে টিফানির জন্ম দেন ম্যাপেলস৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/J. Minchillo
অন্য নারীদের সঙ্গে ট্রাম্প
ট্রাম্প সম্ভবত নিজের স্ত্রীর বদলে অন্য নারীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷ তিনি প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যেতেন এবং তরুণী মডেলদের সঙ্গে ছবি তুলতেন৷ ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ অবধি আয়োজিত সব ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার একজন অংশীদার ছিলেন তিনি৷ নির্বাচনের আগে আগে এক অডিও প্রকাশ হয় যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর খ্যাতি তাঁকে কোনোরকম পরিণতির ভয় ছাড়াই মেয়েদের ‘গায়ে হাত দেয়ার’ সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Lemm
বাণিজ্য এবং বিনোদনের মিশ্রণ
ট্রাম্প জানতেন কীভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়৷ এই ছবিতে তাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের’ একটি শোতে দেখা যাচ্ছে৷ রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য এপ্রেন্টিস’, যেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ অথবা বাতিল করা হতো, ট্রাম্পকে খ্যাতি অর্জনে সহায়তা করেছে৷ শোতে ট্রাম্পের প্রিয় লাইন ছিলে, ‘ইউ আর ফায়ার্ড!’
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
রাজনীতিতে ট্রাম্প
যদিও অতীতে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর খুব কম যোগাযোগ ছিল, তারপরও ২০১৫ সালে সালের ১৬ জুলাই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন৷ রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন৷’ নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় তিনি অভিবাসী, মুসলমান, নারী এবং তাঁর বিরুদ্ধে থাকা প্রত্যেককে অপমান করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
ওয়াশিংটনের পথে
প্রেসিডেন্ট হিসেবেও হোয়াইট হাউসে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প৷ ৷ সবশেষ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করল সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ। অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ngan
13 ছবি1 | 13
স্বার্থের সংঘাত
সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬১ সালে তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করেন৷ ১৯৬৭ সালে ফেডারাল স্বজনপোষণবিরোধী আইন গৃহীত হয়, কিন্তু এই আইন শুধুমাত্র মন্ত্রীসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, হোয়াইট হাউসে নিয়োগের ক্ষেত্রে নয় বলে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের বিশ্বাস৷
ট্রাম্প উপদেষ্টা কেলিয়ান কনওয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট উইংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বিরোধী আইনে দৃশ্যত একটি ব্যতিক্রম আছে, ‘‘কেননা প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজের স্টাফ নিয়োগ করতে পারেন৷''