ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের চার পুলিশ কর্মকর্তার বদলির নির্দেশে ক্ষিপ্ত মমতা ব্যানার্জি৷ কিন্তু তাঁর আপত্তিকে আমল দিল না নির্বাচন কমিশন৷ মমতা এখন ব্যস্ত হয়েছেন আত্মপক্ষ সমর্থনে৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার নির্বাচনি জনসভার মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং তাঁর অপশাসনকে আক্রমণ করার বদলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ফের বলতে শোনা গেল, চিট ফান্ড তৈরি হয়েছে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে৷ এই চিট ফান্ড জালিয়াতি, কেলেঙ্কারির কোনো দায় তাঁর সরকারের নয়৷ বরং তাঁর সরকার দোষীদের গ্রেপ্তার করিয়েছে, ইত্যাদি৷
প্রশ্ন উঠতে পারে, লোকসভা ভোটের মুখে, যেখানে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো তৃণমূল নেত্রীর ভাষণে গুরুত্ব পাওয়ার কথা, সেখানে তিনি কেন হঠাৎ রাজ্যের একটি ইস্যু নিয়ে আত্মরক্ষণাত্মক হয়ে উঠলেন? একটাই কারণ৷ লোকসভা ভোটের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি সুকৌশলে চিট ফান্ডের পুরনো ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলেছে৷ সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত দীর্ঘ সময় ঢিমে তালে চলার পর সম্প্রতি তেড়েফুঁড়ে ওঠে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং তাদের লক্ষ্য হন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, যিনি সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে মমতা সরকারের হয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁকে কমিশনার পদ থেকে সরতে হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সেই জায়গায় আনেন নিজের আরেক বিশ্বস্ত আইপিএস অফিসার অনুজ শর্মাকে৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের গত শুক্রবারের নির্দেশে অনুজ শর্মাকেও সেই পদ থেকে সরিয়ে বসানো হলো রাজেশ কুমারকে৷ সরানো হলো বিধান নগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংকেও, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর আরেক ভরসার পাত্র৷ মোট চার জন পুলিশ কর্মকর্তাকে সরানোর নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানায়, এরা কেউ নির্বাচনের কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না৷
ভারতের নির্বাচনে গরুর গুরুত্ব
ভারতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর এখন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরেও জাতীয়তাবাদের প্রতীক বলতে সবার মুখে একটাই নাম ‘গো-মাতা’৷ কীভাবে ছড়াচ্ছে এই চিন্তা, দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Getty Images/S.Panthaky
আগে ছিল রাম
নব্বইয়ের দশকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতীক বা আদর্শিক মূলে ছিল অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রকল্প, যাকে ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে শক্তিশালী হতে থাকে ভারতীয় জনতা পার্টি, বিজেপি৷ এখন রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলন মূলস্রোতের রাজনীতিতে হারিয়ে গেলেও তার জায়গা নিয়েছে ‘গো-রক্ষা’ ও ‘গো-মাতা’র মতো নতুন ইস্যু৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Armangue
গরুর গুরুত্ব
সনাতনধর্ম প্রচলনের বহু আগে থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় গবাদি পশু ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ ধার্মিক আচারের মধ্যে এই প্রাণীর পবিত্রতার কথা উল্লেখ থাকায় ভারতে তার গুরুত্ব বেড়েছে কয়েকগুণ৷ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন উৎসবে গরুকে আরাধ্য হিসাবে দেখা হয়৷ গরুর বহু গুণের জন্য তাকে অনেকে পুজো করেন ‘মাতা’ হিসাবে৷ ওপরের ছবিতে এক নারীকে দেখা যাচ্ছে রামনবমী উপলক্ষে গরুকে খাওয়াতে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Faget
গরু বাঁচাতে যা হলো...
২০১৪ সালে যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের নির্বাচনি ইশতাহারের অনেকটা জুড়ে ছিল ‘গো-রক্ষা’র প্রচার৷ বলা হয়েছিল যে, ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি রাজ্যে গো-রক্ষা কমিটি গঠন করা হবে৷ গো-মাংস ভক্ষণ করে যারা, তাদের হাত থেকে ‘গো-মাতা’কে বাঁচাতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে তা গঠিতও হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Armangue
গরুর জন্য খুন!
২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গো-রক্ষার নামে ভারতে এখন পর্যন্ত ২৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ বেশ কয়েকজন প্রাণও হারিয়েছেন৷ প্রশ্ন উঠছে, গরুকে বাঁচানোর নামে কি তবে ভারতে চলছে মানুষ মারার উৎসব? শুধু তাই নয়, যারা হিন্দু নন তাদের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা গো-মাংস ভক্ষণের অভিযোগ তুলছে, যা হিন্দুত্ববাদীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে বলে জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের ‘গো-রক্ষা বাহিনী’র সদস্য কমল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Armangue
নিষিদ্ধ গো-মাংস
২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর ভারতীয় জনতা পার্টি ভারতের একাধিক রাজ্যে গো-মাংস নিষিদ্ধ করে৷ একই সাথে রাজ্যগুলিতে বাড়তে থাকে বিভিন্ন গো-রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা, যারা প্রায়ই গো-রক্ষার নামে সংখ্যালঘু মানুষদের নানাভাবে হেনস্থা করে৷ উল্লেখ্য, গো-মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ হলেও বর্তমানে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গো-মাংস রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় দ্বিতীয়৷ ওপরের ছবিটি প্রয়াগরাজের একটি গো-রক্ষা কেন্দ্রের৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Armangue
আইন বড়, না গরু?
নরেন্দ্র মোদী একটি কমিটি গঠন করেন, যার উদ্দেশ্য ভারতের আদি নিবাসী যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, তা প্রমাণ করা৷ এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের আধিকারিক অভিনব প্রসূন বলেন, ‘‘এটি রাজনৈতিক বিষয়৷’’ এভাবেই হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীদের তালে তাল মিলিয়ে বদলাচ্ছে আইন, সরকারি কর্মসূচি৷ গো-রক্ষা থেকে হিন্দুত্ববাদী কমিটি- সবখানেই স্পষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা৷ গরু হয়ে উঠছে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের প্রতীক৷
ছবি: AP
ভোটের বাজারে গরু
ভারতে গো-রক্ষার নামে যে সহিংসতা চালু হয়েছে গত কয়েক বছরে, তা সবারই জানা৷ আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীত্ব লাভ করেছেন এমন দু’জন ব্যক্তি যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে গো-রক্ষার নামে মানুষ খুনের অভিযোগ! গরুকে জাতীয়তাবাদের প্রতীক বানিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভয়ের পরিবেশ৷ কিন্তু এবারও কি নির্বাচনে গো-রক্ষার জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে?
ছবি: Imago/Hundustan Times
7 ছবি1 | 7
ক্ষিপ্ত মমতা ব্যানার্জি শনিবারই এই বদলির আদেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে৷ বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক এই বদলির নির্দেশ, যা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির তাগাদায়৷ ঠিক কে এর পিছনে আছে, তারও তদন্ত হওয়া উচিত বলে চিঠিতে লেখেন মমতা৷ তাঁর এই মন্তব্যের কারণ, আগের দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটের প্রচারে এসে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন৷ রাজ্যের অন্য বিজেপি নেতারাও দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলে যাচ্ছেন, যার ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি একসময় ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা'র প্রস্তুতি নিয়েছিল৷ কিন্তু অশান্তি হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে রাজ্য প্রশাসনের আপত্তিতে, আদালতের নির্দেশে কার্যত আটকে যায় সেই যাত্রা৷ ভোটের আগে সেই পুরনো অভিযোগই ফেরত আসবে, এবং নির্বাচন কমিশন চার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলির নির্দেশ দেবে এটা তৃণমূল নেত্রীর সম্ভবত প্রত্যাশিত ছিল না৷
মমতার অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্য বিজেপির নেতাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাঁর এই অভিযোগ নেহাত অমূলক নয়৷ যেমন জ্ঞানবন্ত সিংয়ের ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির নেতারাই পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার অভিযোগ এনেছেন৷ সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো এবং লোকসভা ভোটের প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জির স্ত্রীর বিরুদ্ধে সোনা পাচারের একটি অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়েছে জ্ঞানবন্তের নাম৷ বিমানবন্দরে কাস্টমসের হাত থেকে অভিষেক ব্যানার্জির স্ত্রীকে বাঁচাতে বিধান নগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত নিজে পুলিশ বাহিনী নিয়ে দৌড়ে গিয়েছিলেন বলে খবর৷ কাজেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, মমতা এই সন্দেহ প্রকাশ করেন৷
রাজনীতির মাঠে যত বলিউড তারকা
ভারতের রাজনীতিতে বরাবরই বলিউড গ্ল্যামারের ছোঁয়া ছিল৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেও রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন অনেক তারকা৷
ছবি: GettyImages/AFP/P. Paranjpe
অমিতাভ বচ্চন
১৯৮৪ সালে পুরনো পারিবারিক সম্পর্কের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন এই সুপারস্টার৷ বন্ধু রাজিব গান্ধীর দল, কংগ্রেসের হয়ে এলাহাবাদ থেকে সাংসদ হন৷
ছবি: AFP/Getty Images/S. Jaiswal
সুনীল দত্ত
অমিতাভের মতোই ১৯৮৪ সালে নিজের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন তিনি৷ কংগ্রেসের হয়ে মোট পাঁচবার সাংসদ ছিলেন সুনীল দত্ত৷
ছবি: SEBASTIAN D'SOUZA/AFP/Getty Images
বিনোদ খান্না
ষাটের দশকের এই জনপ্রিয় অভিনেতা ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচন লড়েন ও চারবার জেতেন৷ কিন্তু ২০০৯ সালের নির্বাচনে হেরে যান৷
ছবি: AFP/Getty Images
হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র
‘বীরু-বসন্তী’ জুটিকে পর্দায় প্রাণ দেওয়া হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র দুজনেই ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে ভোটে লড়েন ও জেতেন৷ হেমা মালিনী বর্তমানে বিজেপি’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
শত্রুঘ্ন সিনহা
বর্তমানে বিজেপি’র ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ হলেও শত্রুঘ্ন সিনহা দীর্ঘকাল ধরে এই দলের সাথে যুক্ত৷ একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদও লাভ করেন তিনি৷
ছবি: AP
রাজেশ খান্না
১৯৯১ সালে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে লড়েন রাজেশ খান্না, কিন্তু বিজেপির লালকৃষ্ণ আডবাণীর কাছে হেরে যান৷ পরে ১৯৯২ সালে একই আসনে শত্রুঘ্ন সিনহাকে পরাজিত করেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
রেখা
২০১২ সালে কংগ্রেস রাজ্যসভার একটি আসনে রেখা-কে মনোনীত করে৷ কিন্তু এর পরের দিনগুলিতে সংবাদমাধ্যমে বারবার আলোচিত হয় তাঁর সংসদে অনুপস্থিতি৷
ছবি: GettyImages/AFP/P. Paranjpe
রাজ বব্বর
বর্তমানে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধান এই প্রাক্তন অভিনেতা৷ এর আগে তিনি সমাজবাদী পার্টির সাথেও যুক্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
জয়া বচ্চন
স্বামী অমিতাভের মতো জয়া বচ্চনও রাজনীতির ময়দানে যুক্ত৷ কিন্তু কংগ্রেসের বদলে তিনি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ৷
ছবি: Prabhakar Mani Tewari
জয়াপ্রদা
২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টির হয়ে সাংসদের ভূমিকা পালন করেন এই অভিনেত্রী৷ কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে সম্প্রতি বিজেপি’তে যোগদান করেছেন তিনি৷
ছবি: UNI
শাবানা আজমি
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রাখার ফলে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শাবানা আজমি’কে সাম্মানিক সাংসদের পদ দেওয়া হয়৷ এই পদে তিনি ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত৷
ছবি: dapd
মিঠুন চক্রবর্তী
বাংলা থেকে হিন্দি- সব ভাষার ছবিতেই সমান জনপ্রিয় এই বাঙালি অভিনেতা ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় যোগ দেন৷ কিন্তু ২০১৬ সালে ইস্তফা দেন তিনি৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
গোবিন্দা
২০০৪ সালে উত্তর মুম্বই আসনে কংগ্রেসের হয়ে জয়লাভ করেন বিখ্যাত এই অভিনেতা৷ কিন্তু পরের নির্বাচনে প্রার্থীত্ব না পাওয়ার রাজনীতি থেকে সরে আসেন গোবিন্দা৷
ছবি: DW
পরেশ রাওয়াল
সোশাল মিডিয়ায় ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে প্রায়ই লড়তে দেখা যায় এই অভিনেতাকে৷ বর্তমানে তিনি পূর্ব আহমেদাবাদের সাংসদ৷
ছবি: AFP/Getty Images
উর্মিলা
রাজনীতির ময়দানে নবতম সংযোজন নব্বইয়ের দশক কাঁপানো অভিনেত্রী উর্মিলা৷ কংগ্রেসের একটি প্রচারসভায় রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
15 ছবি1 | 15
কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জবাবি চিঠিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, মমতার অভিযোগের বাস্তবিক ভিত্তি নেই৷ পরিস্থিতি বিচার করে, নির্বাচন কমিশনের শীর্ষকর্তা এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকদের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে চার পুলিশ কর্মকর্তার এই বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ নির্বাচনের দিন ঘোষণা এবং নির্বাচনি আচরণবিধি ঘোষিত হওয়ার পর এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে৷ সেই সঙ্গে এও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যে একা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই যে পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা নয়৷ ঝাড়খন্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, অন্ধ্র প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানাতেও বিশেষ পুলিশ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশন যা করছে, তার বৈধ সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে থেকেই করছে৷
রবিবার নির্বাচন কমিশনের এই জবাব আসার কিছুক্ষণ পরেই এক নির্বাচনি জনসভায় মোদীর কটাক্ষ, ‘দিদি ভয় পেয়েছেন'! সেই শুনে অন্য এক জনসভা থেকে মমতার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘কয়েকজন পুলিস অফিসারকে বদল করে আমাকে দমানো যায় না৷ ওঁদের সরিয়ে যাঁদের আনা হলো, তাঁরাও আমারই লোক!’’ এবং তারপরই মমতা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চিট ফান্ড নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে। কুশলী মোদী সম্ভবত সেটাই মনে মনে চেয়েছিলেন৷
গত লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও নানাভাবে মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে নরেন্দ্র মোদীর ‘মার্কেটিং ব্রিগেড’৷ কীভাবে ছড়ানো হচ্ছে ‘ব্র্যান্ড মোদী’, দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
এগিয়ে মোদী
একাধিক অপিনিয়ন পোল বলছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবারও জয়ী হতে চলেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বলা হচ্ছে, ‘মোদী ম্যাজিক’ এবারও মানুষকে প্রভাবিত করতে পারছে৷ মোদীর দল, ভারতীয় জনতা পার্টির বক্তব্য, দিনে আনুমানিক আড়াই লক্ষ মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন মোদী৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
টেলিভিশনে মোদী
প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হবার পর থেকেই তিনি শুরু করেছিলেন ‘মন কি বাত’ শিরোনামে একটি মাসিক সংলাপ৷ সেখানে বেতার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করা হতো তার বার্তা৷ এবারে ‘নমো টিভি’ নামে নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল শুরু করেছেন তিনি, কিন্তু নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে এই চ্যানেলটি, বলে অভিযোগ বিরোধীদের৷
ছবি: AFP/P. Singh
আকাশে মোদী
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস জানুয়ারি মাসে বলেছিল যে, নির্বাচনি প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় হেলিকপ্টার পাচ্ছে না তারা৷ কারণ, সব হেলিকপ্টারই নাকি ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে রয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনি প্রচারের হিসাবে আপাতত বেশ পিছিয়েই রয়েছে অন্যান্য দল৷ তুলনায়, একাধিক মাধ্যমে ‘ব্র্যান্ড মোদী’-র জোরালো প্রচার মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে৷