নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবারই ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা। ঢাকা ফিরবেন ৯ জুন।
বিজ্ঞাপন
আগামী শনিবার নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবারই তিনি ভারতে আসবেন।
বুধবার শেখ হাসিনা ফোনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন। পরপর তিনবার এনডিএ বিজয়ী হওয়ায় তিনি নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের মানুষ, সরকার, নিজের ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। তখনই মোদী হাসিনাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের বলেছেন, ''শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের ফলেই এনডিএ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। শেখ হাসিনার আশা, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত বিশ্ব সভায় আরো এগিয়ে যাবে।''
ভারতের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ভাবনা
ভারতে সাত ধাপে লোকসভা নির্বাচন চলছে৷ শেষ হবে ১ জুন৷ ফল ঘোষিত হবে ৪ জুন৷ সে দেশের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন দল কী ভাবছে, তা নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: Subhadip Basak/DW
খরতাপের কারণে ভোটের হার কম: এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগ
ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ৷ সেখানে ভোট হচ্ছে৷ ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন৷ তারাই তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করছেন৷ আশা করি, সেখানে শেষ পর্যন্ত ভোট ভালোই হবে৷ ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের সঙ্গেই আমাদের সরকারের সুসম্পর্ক থাকবে৷ ভারতে ভোটের হার কমার কারণ হতে পারে খরতাপ, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া৷
ছবি: Sazzad Hossain/DW
মোদী এখন টালমাটাল: ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি
এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে মোদীর ৪০০ পার হওয়া তো দূরের কথা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কাছে তারা পরাজিতও হতে পারে৷ আর কাশ্মীরে বিজেপি কোনো আসন পাবে না জেনেই প্রার্থী দেয়নি৷ তাদের সীমিত স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে সেখানে কাশ্মীরী জনগণ আগের চেয়ে বেশি হারে ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছে৷ মোদীর নাগরিকত্ব আইন, ধর্মীয় উন্মাদনা কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে৷ মোদী এখন টালমাটাল অবস্থায় আছেন৷
ছবি: DW
ভারতে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে: ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টি
আমার মনে হয় ভারতে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি হতে যাচ্ছে৷ আমরা বিজেপি ও আরএসএসের যে শক্ত ভিত্তির কথা মনে করেছিলাম, তাতে ভাটার টান দেখতে পাচ্ছি৷ এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য যে, একটি দল বা মত দীর্ঘদিন শাসন করতে পারবে না৷ ভারতের জনগণ তার প্রকাশ ঘটাচ্ছে৷ আমাদের এখানেও যদি নির্বাচন ব্যবস্থা ঠিক থাকে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাহলে এখানেও কোনো দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না৷
ছবি: DW
ভারতে নির্বাচন পরিচালনাকারীরা তুলনামূলক স্বাধীন: হাসানুল হক ইনু, জাসদ
নির্বাচনি প্রচারে মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যাসহ আরো যে সমস্যা আছে তা প্রাধান্য না পেয়ে ঘৃণা, ধর্ম, জাতপাত এগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে৷ এটা ভারতের মতো দেশের জন্য দুঃখজনক৷ আর সেই কারণেই এবার ভোটারের উপস্থিতি কম৷ কাশ্মীরের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ডান্ডা ও ঘুস নীতি প্রয়োগ করছে৷ তাই সেখানে বিজেপির প্রার্থী দেয়া, না দেয়ায় কিছু এসে যায় না৷ ভারতে যারা নির্বাচন পরিচালনা করছেন, তারা তুলনামূলক নিরপেক্ষ ও স্বাধীন৷
ছবি: DW
নীতির তেমন পরিবর্তন হবে না: মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্য
মোদীনীতির প্রতি ভারতে সমর্থন কমছে৷ বিশেষ করে নাগরিকত্ব আইন এবং নির্বাচনের আগে ধর্মের যে ব্যবহার, তা নির্বাচনের পরিবেশকে খারাপ করেছে৷ ভোটাররা এই কারণে কম ভোট দিতে গেছেন৷ আর ওই অবস্থার প্রতি সমর্থন কমছে৷ নির্বাচন পুরো শেষ হলে বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়৷ তবে মনে হচ্ছে কংগ্রেস আবার ছাই থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছে৷ তবে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে সেখানকার নীতির পরিবর্তন যে খুব বেশি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না৷
ছবি: DW
ভারতের জনগণ প্রগতিশীলতার দিকে যেতে চাইছে: রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমিউনিস্ট পার্টি
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ভারতে যারা প্রগতিশীলতার জন্য লড়াই করেন ও যারা সংবিধান রক্ষা করতে চান, তাদের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে৷ এতে আমরা খুশি, কারণ, আমরা ভারতের জনগণের সঙ্গে কাজ করতে চাই৷ মোদীকে তো আমরা জানি৷ তিনি আবারো ক্ষমতায় আসলে শুধু ভারত নয়, এই উপমহাদেশের জন্য ক্ষতি৷ আমাদের দেশের জন্যও ক্ষতি৷ আর কাশ্মীরে প্রার্থী দিলে বিজেপির লোকজন প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের মুখে পড়তো৷ তাই প্রার্থী দেয়নি বলে মনে হয়েছে৷
ছবি: DW
6 ছবি1 | 6
প্রধানমন্ত্রী মোদী নেপাল ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং ভুটানের রাজাকেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে নিউজ১৮ জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহের অফিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিক্রমসিংহে ফোন করেছিলেন। মোদী তখন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।