1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচারপতি নিয়োগে পরিবর্তন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৪ আগস্ট ২০১৪

সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করার জন্য কলেজিয়াম সিস্টেমের পরিবর্তে অন্য এক ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে ভারতে৷ বুধবার জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বিল ২০১৪ পাশ হয়েছে সংসদে৷

Oberstes Gericht Delhi Indien
ছবি: picture-alliance/dpa

তবে এ নিয়ে বিচার বিভাগ কার্যত বিভাজিত৷ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগে জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বিলটি পাশ হবার পর বর্তমানের কলেজিয়াম সিস্টেমের অবসান হলো ভারতে৷ বিলটি পাশ হয় সময়াভাবে ধ্বনিভোটে৷ পক্ষে পড়ে ৩৬৭ এবং বিপক্ষে শূন্য৷ এবার সরকার ৯৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করবে যাতে এই কমিশনকে সাংবিধানিক ক্ষমতা ও মর্যাদা দেয়া যায়৷

সব দলকে সঙ্গে নিয়ে এই ঐতিহাসিক বিল পাশ করিয়ে মোদী সরকার সংসদে এই প্রথম বড় রকম সাফল্য পেল৷ এই ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগে আসবে আরো স্বচ্ছতা৷ তবে বিল পাশ হওয়ায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মর্যাদা কোনোমতেই ক্ষুন্ন হতে দেয়া হবে না৷ এর পাশাপাশি এটাও দেখা দরকার যে, সংসদ যেহেতু সংবিধানের সর্বোচ্চ ধারক ও বাহক, তাই সংসদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখাও খুব জরুরি, বলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ৷ সরকার এই বিল পাশে তাড়াহুড়ো করেছে – এই অভিযোগ খণ্ডন করেন তিনি৷

তাঁর মতে, বিচার বিভাগের সংস্কারের লক্ষ্যে এটা এক বড় পদক্ষেপ যা নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ব্যাপক আলোচনা ও পরামর্শ চলে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে৷ জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন গঠিত হবে ছয়জন সদস্য নিয়ে৷ এঁদের মধ্যে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ অন্য দু'জন বিচারপতি, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এবং দু'জন বিশিষ্ট ব্যক্তি৷ প্রত্যেক বিচারপতি নিয়োগে কমিশনের ছয় জন সদস্যের মধ্যে অন্তত পাঁচজনকে একমত হতে হবে৷ প্রসঙ্গত, কলেজিয়াম সিস্টেমে সব সদস্যই হতেন সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি৷

মোদী সরকারের আইনমন্ত্রী বিল পেশ করায় গোড়ার দিকে কংগ্রেস বেঁকে বসেছিল৷ বলেছিল বিলে কিছু ফাঁক-ফোঁকর আছে, যা সংশোধন করতে হবে৷ কিন্তু মোদী সরকার অতি কৌশলে যখন অন্য সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়, কংগ্রেসের তখন একঘরে অবস্থা৷ কোনো উপায় না দেখে কংগ্রেস ঐ বিলে সায় দিতে বাধ্য হয়৷

কলেজিয়াম প্রথার পরিবর্তনের কারণ

বিচার বিভাগের বর্তমান ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে৷ বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু সম্প্রতি সোচ্চার হন৷ অন্যান্য কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও তাঁকে সমর্থন করেন৷ তাই তাঁরা চান কলেজিয়াম পদ্ধতির পরিবর্তন যাতে আরও যোগ্য ও সৎ বিচারপতিপদে আসীন হন৷ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে.টি টমাস সংশয় প্রকাশ করেন যে, জাতীয় নিয়োগ কমিশনের নিযুক্ত বিচারপতি আরো যোগ্য ও সৎ হবে তার কোনো গ্যারান্টি আছে কি?

উল্লেখ্য, অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত সরকারের কাজকর্মে সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়৷ এবার বোধকরি সরকার সেটা বিপরীতমুখী করতে চান৷ যেমন কারোর নিয়োগে দু'জন সদস্য আপত্তি করলে কমিশনকে তা মেনে নিতে হবে৷ কিন্তু আইনমন্ত্রী যদি একা আপত্তি করেন, তাহলে তা গ্রাহ্য হবে না৷ জাতীয় কমিশন অনুমোদন করলে তা যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য৷ কিন্তু রাষ্ট্রপতি যদি কোনো নাম পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠান, তাহলে কমিশনের সব সদস্যের সম্মতি লাগবে৷ তখনো যদি কোনো সদস্য তাঁর আপত্তিতে অনড় থাকেন, তাহলে তাঁকে নিয়োগ করা যাবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ