মোদী সরকারের ‘আচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতি এখনও মরীচিকা৷ ‘সর্বাধিক প্রশাসন, সর্বনিম্ন সরকার' যেন স্লোগানই রয়ে গেল৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি? সেও চোখে পড়ার মতো নয়৷ এর মাঝেই চলছে সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপনের তোড়জোর৷
বিজ্ঞাপন
এহ বাহ্য হালের বিধানসভা ভোটে আসামে বিজেপি সফল৷ এ সাফল্যকে সামনে রেখে মোদী সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি পালনে তৈরি৷ দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে জোরেসোরেই চলছে তার প্রস্তুতি৷ পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে চলেছে মোদী সরকারের দু’বছরের পোস্টমর্টেম৷
মোদী সরকারের দু’বছর পার হবার পর দেশের চালচিত্রে কী রং ধরেছে? ‘অচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কোনো লক্ষণ কি চোখে পড়ছে? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে৷ অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় অর্থনীতি এখনও ইতিবাচক স্তরে পৌঁছাতে পারেনি৷ শিল্প ও বুনিয়াদী উত্পাদন আশানুরূপ হয়নি৷ কর্মসংস্থান বাড়েনি৷ বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি৷ আর রপ্তানি? নেতিবাচক গন্ডি ছাড়াতে পারেনি৷ তারসঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রশাসনিক মন্থরতা৷ সব মিলিয়ে দেশি-বিদেশি লগ্নিকারীদের মনোবল নুয়ে পড়েছে৷
তবে হ্যাঁ, ইতিবাচক কিছুই হয়নি-এমনটা বলা বোধহয় ঠিক হবে না৷ পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও গতি এসেছে৷ রাস্তাঘাট, হাইওয়ে, বন্দর, বিদ্যুত ও কয়লা ক্ষেত্রে অক্সিজেন জুগিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার৷ সাবেক কংগ্রেস জমানায় এই খাতের ‘শ্বাসকষ্ট' দেখা দিয়েছিল৷ কয়লা খনি নিলাম পদ্ধতিকে করা হয়েছে স্বচ্ছ৷ আমলাতান্ত্রিক জট ছাড়িয়ে পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে জরুরি সংস্কারের উদ্যোগ চলেছে৷
ভরতুকির ক্ষেত্রেও সংস্কার প্রক্রিয়ার পরিণামে রান্নার গ্যাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে সমাজের নিম্নবিত্তরা৷ সেটা সম্প্রসারিত করা হচ্ছে খাদ্য, কেরোসিন, সারের ক্ষেত্রে৷ ডিজেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হয়েছে৷ দাম হবে বাজার অনুসারে৷ হাইড্রো-কার্বন অনুসন্ধান, খনন ও উত্তোলনের লাইসেন্সিং নীতিকে করা হয়েছে আরও উদার যাতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ বিনিয়োগ লাভজনক হয়ে ওঠে৷ অন্যদিকে, ‘মেক ইন্ডিয়া,স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া' ডিজিটাল ইন্ডিয়া শ্লোগানের বাস্তবায়ন গত দু’বছরে তেমন অনুভূত হয়নি৷
রাজনৈতিক দিক থেকে দিল্লি ও বিহারের নির্বাচনি ভরাডুবির পর হালের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হাত থেকে বিজেপি ছিনিয়ে নিতে পেরেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মসনদ৷ পশ্চিমবঙ্গে ছোট একটা জায়গা করে নিয়েছে তিনটি আসনে জিতে, আগে সেটাও ছিল না৷ এটাই বিজেপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সাফল্য৷
সামনে উত্তর প্রদেশ নির্বাচন৷ কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের ডাক দিয়ে থাবা বসাতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি৷ পাল্টা স্লোগানে কংগ্রেস বলছে, ‘বিজেপির দুই সাল, দেশের শোচনীয় হাল'৷ অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরেছে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, দাদরি গোমাংস কান্ড, গেরুয়া রাজনীতি, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা, দিল্লির জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ, আদালতে সাংবাদিকদের মারধর ইত্যাদি৷ এ সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নাকের ডগায় অথচ উনি নির্বিকার৷
একজন নরেন্দ্র মোদী
উগ্র সাম্প্রদায়িক আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির কারণে ভারতের বহু মানুষের কাছে তিনি খলনায়ক৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেকে নতুন মোড়কে সামনে এনে সেই নরেন্দ্র মোদীই শোনাচ্ছেন ভারতকে বদলে দেয়ার মন্ত্র৷
ছবি: dapd
চা ওয়ালা
১৯৫০ সালে গুজরাটের নিম্নবিত্ত এক ঘাঞ্চি পরিবারে জন্ম নেয়া নরেন্দ্র মোদী কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন৷ ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেন নামের এক বালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, যদিও বেশিদিন সংসার করা হয়নি৷ ছাত্র হিসেবে সাদামাটা হলেও মোদী বিতর্কে ছিলেন ওস্তাদ৷ ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন মোদী৷
ছবি: UNI
গুজরাটের গদিধারী
১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়ার ১০ বছরের মাথায় দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান ১৯৯৫ সালে গুজরাটের নির্বাচনে চমক দেখানো মোদী৷ ১৯৯৮ সালে নেন দলের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব৷ ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দলের মনোনয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদী, যে দায়িত্ব তিনি এখনো পালন করে চলেছেন৷
ছবি: Reuters
দাঙ্গার কালিমা
মোদীকে নিয়ে আলোচনায় ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে অবধারিতভাবে৷ স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুজরাটে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন৷ মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দেন৷ তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেননি, আদালতও তাঁকে রেহাই দিয়েছে৷ তবে দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, হিন্দুত্ববাদের গান শুনিয়েই তিন দফা নির্বাচনে জয় পান মোদী৷
ছবি: AP
রূপান্তর
দাঙ্গার পর নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ একজন বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিতে শুরু হয় ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রচার৷ ২০০৭ সালের পর নিজেকে একজন সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে তুলে ধরতে নতুন প্রচার শুরু করেন এই বিজেপি নেতা, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদী’৷গুজরাটের উন্নয়নের চিত্র দেখিয়ে কলঙ্কিত ভাবমূর্তিকে তিনি পরিণত করেন ভারতের ত্রাতার চেহারায়৷
ছবি: UNI
ভারতের পথে পথে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদী পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ৷ সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসাবে শুরু করলেও এবার তিনি হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে গেছেন সচেতনভাবে, যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: AP
নতুন ইতিহাস
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই যে এবার ভারতে সরকারগঠন করতে যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ৬৩ বছর বয়সি মোদীর নেতৃত্বে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি৷ ৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮১ কোটি ৪০ লাখ৷ তাঁদের মধ্যে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শেষ হাসি
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল – মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি ভারতকে বদলে দেবেন৷ অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, ‘কলঙ্কিত ভাবমূর্তি’ ঢাকতে এসব মোদীর ফাঁপা বুলি৷ তাঁর স্বৈরাচারী মেজাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, ভোটাররা টানা তৃতীয়বার কংগ্রেসকে চায়নি বলেই বিজেপি জয় পেয়েছে৷ যদিও শেষ হাসি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখেই৷
ছবি: dapd
7 ছবি1 | 7
মোদী সরকারের দু’বছরের শাসনকাল সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশিষ্ট অধ্যাপক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল্যায়ন জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগে মোদীর প্রতিশ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চোখে পড়ছে না৷ বিকাশের জোয়ার আসেনি৷ যে পরিমাণ বিদেশি লগ্নি আসার কথা ছিল, তা আসেনি৷ তবে সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হলো, শিক্ষা ক্ষেত্রে গৈরিকীকরণ৷
তবে এ কথা ঠিক, হাজার প্ররোচনা সত্ত্বেও পররাষ্ট্রনীতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী যথেষ্ট সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন৷ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছেন৷ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করতে মোদী যে আগ্রহী স্থলসীমা চুক্তি তারই প্রমাণ৷
তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্বেও তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অ-সহযোগিতার কারণে৷ অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক খারাপ হতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেননি৷ মোটামুটি একটা রাজনৈতি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পেরেছেন৷ সন্ত্রাস দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে না পারলেও বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলাও হতে দেননি তিনি৷ ডয়চে ভেলের কাছে এমন মতই ব্যক্ত করলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
ভারতের নির্বাচন ২০১৪
ভারতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে নয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে৷ ৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ৷ ভোট গণনা হবে ১৬ মে৷ ৮০ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে অংশ নেবেন৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
জনগণের সরকার
ভারতের সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর৷ পার্লামেন্টে দুটি কক্ষ রয়েছে৷ উচ্চকক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা আর নিম্নকক্ষ লোকসভা হিসেবে পরিচিত৷ নিম্নকক্ষে যে দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে৷
ছবি: AP
দৌড়ে এগিয়ে
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে৷ তবে তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পথটা নতুনভাবে বিবেচনা করতে হবে৷ কেননা ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার কারণে যুক্তরাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদীকে বয়কট করেছে৷
ছবি: Reuters
কংগ্রেস নেতা
দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের হাল ধরা সোনিয়া গান্ধী এবার দলের দায়িত্বের বোঝা তুলে দিয়েছেন নিজ পুত্র রাহুল গান্ধীর কাঁধে৷ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পৌত্র এবং সবচেয়ে কমবয়সি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে রাহুল৷ কিন্তু গত ১০ বছর ধরে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেও সেখানে বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুর্নীতি বিরোধী নেতা
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে অভিষেক হয় দুর্নীতি বিরোধী দল আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের৷ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘কিং মেকার’ দল
বামপন্থি চারটি দল এবং সাতটি আঞ্চলিক দল মিলে থার্ড ফ্রন্ট গঠন করেছে, যা বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ লোকসভায় এখনই তাদের আধিপত্য আছে৷ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা থাকলে তারা হয়ে উঠতে পারে ‘কিং মেকার’৷ অর্থাৎ তারা যে দল সমর্থন করবে তারাই গঠন করবে সরকার৷
ছবি: Sajjad HussainAFP/Getty Images
সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা
এ বছর নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে৷ এটিকে নির্বাচনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো দলই পিছিয়ে নেই৷ এ বছর প্রথম ভোট দেবেন এমন মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি৷ এদের মধ্যে ৪০ ভাগ শহরে বাস করে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সক্রিয়৷ ফলে নতুন এই প্রজন্ম এবারের নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা রাখছে৷
মেশিনের মাধ্যমে ভোট
লোকসভার ৫৪৫ টি আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভারতের মানুষ ভোট দেবেন ৫ সপ্তাহ ধরে৷ ইলেকট্রনিক মেশিন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলবে৷ ফলাফল জানা যাবে ১৬ মে৷
ছবি: AP
সংখ্যালঘুদের উপর নির্ভরশীলতা
ভারতে ১৩ শতাংশ ভোটদাতা মুসলিম৷ ১০০টি সংসদীয় কেন্দ্রে ১৫-২০ শতাংশ, ৩৫টি কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ এবং ৩৮টি আসনে মুসলিম ভোটদাতাদের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো৷ কাজেই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম ভোটবাক্স নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘নমো’ উন্মাদনা
যখন থেকে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে (নমো) তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়; তখন থেকেই সে দেশের গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ব্র্যান্ড হিসেবে ‘নমোকে’ তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়৷ বিজেপির প্রচার-কুশীলবদের রি-ব্র্যান্ডিং অভিযানের তোড়ে নৈতিকতার প্রশ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে৷