1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১০০ দিনের কাজের অ্যাজেন্ডা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩০ মে ২০১৪

মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে ১০টি কাজকে অগ্রাধিকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ অগ্রাধিকার দিতে হবে সুশাসন, মানুষের কাছে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেয়া ও সময়-ভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে৷

ছবি: Reuters/Press Information Bureau of India

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার ২৯শে মে তাঁর মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকেই সরকারের আগামী ১০০ দিনের কাজের অ্যাজেন্ডা স্থির করে দিলেন৷ পুরোদমে কাজে নেমে সেই লক্ষ্যে কর্মসূচির রোডম্যাপও তৈরি করতে বললেন তিনি, যার বীজমন্ত্র হবে দক্ষ প্রশাসন, কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুফল মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেয়া ইত্যাদি৷ তিনি মনে করেন, রাজ্যগুলির অগ্রগতি দেশের সার্বিক বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ৷ রাজ্য সরকার এবং সাংসদরা যেসব ইস্যু সরকারের সামনে আনবেন, সেগুলিকে অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে৷ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷

পুরোদমে কাজে নেমে সেই লক্ষ্যে কর্মসূচির রোডম্যাপও তৈরি করতে বলেছেন মোদীছবি: Reuters

মোদী সরকারের ১০০ দিনের অ্যাজেন্ডার মূল লক্ষ্য: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়, আমলাদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করা, প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল, এনার্জি ও রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেয়া, নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনাকে স্বাগত জানানো, নীতি রূপায়ণ হবে সময়-ভিত্তিক এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে আরো বেশি কাজে লাগানো৷ সর্বোপরি, উন্নয়নের সুফলকে দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া৷ এছাড়া সাবেক কংগ্রেস-জোট সরকারের যেসব কাজ পড়ে আছে, নীতি পঙ্গুত্বের কারণে তা সম্পূর্ণ করতে হবে৷সরকারি কাজকর্মের জন্য যে টেন্ডার ডাকা হয় এবার থেকে তার জন্য জোর দেয়া হবে ই-অকশনের ওপর৷ টু-জি কেলেঙ্কারির প্রধান কারণই ছিল নিলাম বা অকশন না করা, এমনটাই অভিযোগ৷

উল্লেখ্য, মোদীর নির্বাচনি প্রচার অভিযানের মূলকথা ছিল উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি৷ পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেছিলেন মুদ্রাস্ফীতি, নীতি পঙ্গুত্ব, দুর্নীতি এবং প্রবৃদ্ধির ঘাটতির জন্য৷ বিজেপির নির্বাচনি ইস্তেহারে অঙ্গিকার করা হয়েছিল অর্থনীতির হাল ফিরিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর৷ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের মুখ্যসচিব নৃপেন্দ্র মিশ্র, যাঁকে মোদী স্বয়ং বেছে নিয়েছেন, তিনি জোর দেন আমলাতন্ত্রের আস্থাবোধ ফিরিয়ে আনার ওপর৷ কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজস্ব বিচার বুদ্ধি খাটাতে তাঁদের সব সময়েই একটা দ্বিধাভাব থাকতো – যার জন্য বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি, হাইওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, ভারতের বিশাল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তার রপ্তানি তলানিতে৷ পক্ষান্তরে ভারতকে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে হচ্ছে৷ এর অন্তর্নিহিত কারণ শীর্ষস্তরের আমলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি নেবার সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ রাজনৈতিক বসদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাঁদেরকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ প্রধানমন্ত্রী এই ধারাকে বিপরীতমুখী করার চেষ্টা করছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য