1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাপ দিয়ে খাদ্যের মান যাচাই

১০ মে ২০১৩

মোবাইল ফোনের ক্যামেরা কোনো খাদ্যের উপর ধরলেই হলো৷ অ্যাপ তার গুণাগুণ, খাদ্য কতটা তাজা – তা বলে দিতে পারবে৷

ছবি: DW

খাদ্যের বিশ্বায়ন

বিশ্বায়নের এ যুগে চাইলে পাওয়া যায় না এমন জিনিস বোধ হয় নেই৷ রকমারি শাক-সবজি, ফল থেকে শুরু করে বাঘের দুধ – হালের সুপারমার্কেটগুলিতে স্থানীয় খাবার-দাবারের পাশে খুব হেলার ছলেই জায়গা করে নিচ্ছে দেশ-বিদেশের খাদ্য সামগ্রী৷

হল্যান্ডের টোম্যাটো, স্পেনের সসেজ, ফ্রান্সের চিজ, ভারতীয় আম অথবা বাংলাদেশি ইলিশ মাছ – চাইলেই এগুলো সুদূর ইউরোপে বসেও হাতের মুঠোয় উঠে আসতে পারে৷ কিন্তু জিনিসগুলোর মান? সেটা কি নিশ্চিত করা সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব৷ তাও আবার সাধারণ মুঠোফোনের মাধ্যমেই৷

খাদ্যের মান

জার্মানির ড্রেসডেন শহরে ফ্রাউনহোফার-ইনস্টিটিউট এবার এমন একটা অ্যাপ বা মোবাইল-অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে, যা দিয়ে খুব সহজেই খাদ্যের পচন সনাক্ত করা সম্ভব৷ সম্ভব তার গুণাগুণ বিচার করাও৷

মুঠোফোনের মধ্যে যে জিনিস এই কাজটা করে থাকে, সেটা আর কিছুই নয়, একটা ‘স্পেক্ট্রোমিটার'৷ এটা অনেকটা ‘ডিজিটাল ক্যামেরা'-র মতো৷ ক্যামেরা যেমন আলোর প্রতিফলনকে তিনভাগে ভাগ করে একটা অবয়ব তৈরি করে, তেমনই স্পেক্ট্রোমিটারও নিমেষের মধ্যে তুলে ফেলে সামনে রাখা জিনিসের ছবি৷

বিশ্লেষণের পদ্ধতি

অবশ্য ফ্রাউনহোফার-ইনস্টিটিউটের তৈরি করা এই স্পেক্ট্রোমিটার-অ্যাপ আরো অনেক কাজ করে থাকে৷ বিজ্ঞানী ড. মিশায়েল শলেস এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘সাধারণ ক্যামেরার মতো আমরা তিনটি মাত্র চ্যানেল দিয়ে আলোকরশ্মিকে বিভক্ত করি না৷ আমরা আরো স্পষ্ট ছবি তোলার জন্য সূক্ষ্মতর প্রতিফলন সৃষ্টি করে থাকি৷ এটা অনেকটা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপ নেয়ার মতো৷ এতে করে খাদ্যের বিভিন্ন উপাদানগুলি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক একটা আন্দাজ পাওয়া যায়৷''

অবশ্য শুধু কাঁচা শাক-সবজি বা ফলই নয়, যে কোনো শুকনো খাবারের ক্ষেত্রেও এই পরীক্ষা করা যায়৷ মজার বিষয় হলো, আর চার-পাঁচটা অ্যাপের মতো এটার ব্যবহারও খুব সহজ৷ কোনো খাদ্য সামগ্রির গুণাগুণ জানতে চান? জানতে চান কোনো একটি বিশেষ খাবারে কতটা পানি, কতটা লবণ বা কতটা চর্বি আছে? অথবা ওষুধে কোনো বিশেষ কেমিক্যালের পরিমাণ কতটা? সমস্যা নেই৷ হাতের মুঠোফোনটিতে স্পেক্ট্রোমিটার-অ্যাপ ‘ইন্সটল' করুন৷ তারপর খাদ্য সামগ্রির তুলে নিন একটা ছবি৷ ব্যাস্!

সেই তোলা ছবির মধ্যে দু'ধরণের আলোকরশ্মি শনাক্ত করে জিনিসটা টেকসই কিনা, তাজা কিনা অথবা তাতে কোন উপাদান কতটা পরিমাণ আছে – সেটাই ২০০৩ সাল থেকে নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন ড. হাইনরিশ গ্র্যুগার এবং তাঁর দল৷ ড. গ্র্যুগার বললেন, ‘‘ভবিষ্যতে স্পেক্ট্রোমিটার-অ্যাপ সরাসরি খাদ্য সামগ্রীর ওপর ধরে ছবি তোলা যাবে৷ খুব সহজেই যে কোনো খাবারের গুণাগুণ বিশ্লেষণ করে ফেলতে পারবে এটি৷ এই ধরুন এই আপেলটা...এই অ্যাপের সাহায্যে আপেলটার ছবি তুললেই মোবাইলে বসানো স্পেক্ট্রোমিটারটি বলে দেবে এটা মিষ্টি বা টক কিনা৷ অথবা জানিয়ে দেবে এটা আদৌ এখনও খাওয়ার যোগ্য কিনা...৷''

ড. গ্র্যুগার আরও বললেন, ‘‘এবার একটা ক্রিমটা নেয়া যাক৷ ধরুন ক্রিমটার ‘এক্সপায়েরি ডেট' পার হয়ে গেছে৷ এরপরেও স্পেক্ট্রোমিটার-অ্যাপের মাধ্যমে তোলা ছবিতে হয়ত দেখা যাবে যে, এটা আরো কিছুদিন ব্যবহার করা যাবে৷''

ড. গ্র্যুগার জানান, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই মুঠোফোনে এই স্পেক্ট্রোমিটার-অ্যাপ ‘ইন্সটল' করে রোজকার বাজার করা সম্ভব হবে৷ ওষুধ দিয়ে নয়, শুধুমাত্র এই অ্যাপের কল্যাণেই তখন পচন থেকে বাঁচবে জীবন, সহজ হবে টাটকা শাক-সবজি আর ফল কেনা৷

ডিজি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ