অ্যামেরিকায় হাউসের স্পিকার ম্যাকার্থিকে সরাতে প্রস্তাব আনলেন তার দলেরই এক পার্লামেন্ট সদস্য।
বিজ্ঞাপন
ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি এনেছেন ম্যাট গেইটজ। তিনি রিপাবলিকান পার্টির কট্টরপন্থি সদস্য। তার অভিয়োগ, ম্যাকার্থি নিজের দলের স্বার্থ দেখছেন না, তিনি বরং ডেমোক্র্যাটদের কর্মসূচিকে সমর্থন করছেন। তিনি সরকারকে বাঁচাতে 'বাজেট-ডিল' করেছেন।
ম্যাট গেইটজ হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি ম্যাকার্থির কট্টর বিরোধী। তিনি অভিযোগ করেছেন, ম্যাকার্থি ডেমোক্র্য়াটদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছেন।
কেন এই প্রস্তাব?
গেইটজ আগেও ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার হুমকি দিয়েছিলেন। সপ্তাহান্তে ম্যাকার্থি ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বাজেট ডিল হওয়ার পর তিনি এবার সত্যিই প্রস্তাব এনেছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দাবি তার ফ্লোরিডার পাম বিচের বাড়িতে অঘোষিত তল্লাশি চালায় এফবিআই৷ এরপরই ট্রাম্পের সমর্থকেরা তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বিস্তারিত দেখুন ছবিঘরে
ছবি: David 'Dee' Delgado/REUTERS
উড়িয়ে ধ্বজা
ট্রাম্পের মার-আ-লাগোর বাড়ির সামনে পতাকা উড়িয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকেরা। তাদের দাবি, ট্রাম্পকে ইচ্ছা করে হয়রানি করা হয়েছে।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ!
এক সমর্থকের হাতে পোস্টার এবং পতাকা। তাতে এফবিআইকে কটাক্ষ করে লেখা ট্রাম্পই জয়ী হয়েছিলেন। আবার অ্যামেরিকাকে বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন ট্রাম্পই।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
গাড়িতে পতাকা
মেয়াদ শেষের পরে ফ্লোরিডার বাড়িতে হোয়াইট হাউসের প্রচুর গোপন সরকারি নথি নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ৷ এদিকে ট্রাম্প পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এফবিআই তল্লাশির প্রতিবাদে গাড়িতে করে ট্রাম্পের বাড়ির সামনে এসেছেন সমর্থকেরা। সেই গাড়িতে থাকা পোস্টারেও ২০২৪-এ ট্রাম্প, আমাকে মিস করছেন বলে ট্রাম্পের ছবি দেয়া পোস্টারও দেখা গিয়েছে।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
রিপাবলিকানদের ভোট দিন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, এফবিআইয়ের এই তল্লাশিতে ট্রাম্পের প্রতি সহানুভূতি বেড়ে গিয়েছে সমর্থকদের। ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ ক্লাবের সামনেও পোস্টার হাতে দেখা গিয়েছে এক সমর্থককে। পরবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে অ্যামেরিকাকে বাঁচান, এমন স্লোগান লেখা রয়েছে পোস্টারে।
ছবি: Eduardo Munoz/ REUTERS
এফবিআইকে কটাক্ষ
এফবিআই দুর্নীতিগ্রস্ত, পাল্টা অভিযোগ করেছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা। প্রিয় নেতার বাড়িতে এ জাতীয় তল্লাশি তাদের মোটেও পছন্দ হয়নি। তারা ভাবতেই পারেন না ট্রাম্প কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
মোতায়েন পুলিশ
ট্রাম্পের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এফবিআই সদস্যদের তল্লাশির পর ট্রাম্পের সমর্থকেরা যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারেন, সেদিকে নজর রেখেছে পুলিশ।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
লক্ষ্য ২০২৪
ট্রাম্পের দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে তাকে দূরে রাখতেই এই সব করা হয়েছে। ট্রাম্পের বাড়িতে এফবিআই তল্লাশির প্রতিবাদে সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা জড়ো হয়েছিলেন ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে। প্রেসিডেন্ট পদে তাকে দেখতে চান, সমর্থকেরা এমন দাবি জানিয়েছেন।
ছবি: David 'Dee' Delgado/REUTERS
দিনভর প্রতিবাদ
ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের উসকানি দেয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তার মাঝেই অ্যামেরিকাজুড়ে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের আরো উন্নতি হবে এমনটাই মনে করে রাতজুড়ে প্রতিবাদ করেন সমর্থকেরা।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
অগাধ আস্থা
ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা সূত্রে খবর, ফেডারেল এজেন্টরা অভিযান চালিয়েছে জরুরি নথির সন্ধানেই। এর অনেকগুলি ট্রাম্প ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ। ট্রাম্প বলছেন, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমর্থকেরা কিন্তু ট্রাম্পের উপরই আস্থা রাখছেন। ট্রাম্পকে বিশ্বাস করেন তারা, এমন একাধিক পোস্টার সমর্থকদের হাতে দেখা গিয়েছে।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
সেলফিও রয়েছে
ট্রাম্পের সমর্থনে তার বাড়ির সামনে রীতিমতো ভিড় করেছেন সমর্থকেরা। হাতে মার্কিন মুলুকের পতাকা, বুকের মধ্যে আঁকড়ে রাখা ট্রাম্পের খবর সংক্রান্ত সংবাদপত্র নিয়ে এক সমর্থককে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে।
ছবি: Marco Bello/REUTERS
10 ছবি1 | 10
রিপাবলিকান দলের রক্ষণশীল সদস্যরা এই বাজেট ডিলের বিরোধী। তারা ইউক্রেনকে আর অর্থসাহায্য করার বিরোধী এবং তারা মনে করেন, বাজেট বাড়ানো উচিত নয়, বরং খরচ কমানো উচিত।
গেইটজ জানিয়েছেন, তিনি জানেন এই প্রস্তাব অনুমোদিত হবে না। তিনি বলেছেন, ''ডেমোক্র্যাটরা চাইলে ম্যাকার্থিকে তাদের দলে নিয়ে নিতে পারে। আমার একটাই স্বস্তি, আমি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি ম্যাকার্থির বোঝা বইতে আমরা আর রাজি নই।''
প্রস্তাব নিয়ে
এই প্রস্তাব যদি পাস হয়, তাহলে ম্যাকার্থিই হবেন অ্যামেরিকার ইতিহাসে প্রথম স্পিকার যিনি পদে থাকার সময় অপসারিত হবেন।
আর দুই দিনের মধ্যে এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে। এখনও এটা স্পষ্ট নয়, এই প্রস্তাব খারিজ করার জন্য ম্যাকার্থির ডেমোক্র্যাটদের সাহায্য দরকার হবে কি না।
গেইটজের চালে রিপাবলিকান পার্টির এমপি-রাও কিঞ্চিত অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছেন। তবে এই ভোটাভুটি থেকে একটা বিষয়ও স্পষ্ট হতে পারে, দলের এমপিদের মধ্যে কতজন ট্রাম্পের পক্ষে।