1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ম্যাগনাম ফটোস'

১৫ আগস্ট ২০১৭

সেরা প্রেস ফটোগ্রাফারদের এই সমবায় ১৯৪৭ সাল থেকে বিশ্বের পত্র-পত্রিকাকে ছবি সরবরাহ করে আসছে৷ ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্যারিস মেট্রোয় একটি ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ম্যাগনাম৷

DW Euromaxx - Fotoagentur Magnum
ছবি: SWR

বিলবোর্ডের সাইজের সব ছবি৷ মুঠোফোন ক্যামেরা আর ইন্টারনেট আপলোডের যুগে কী বলতে চাইছে ম্যাগনাম?  ম্যাগনামের ফটোগ্রাফারদের মটো যেন‘জীবন যেরকম'৷ ছবি তোলার সময় তাঁরা প্রীতিকর-অপ্রীতিকর, সুন্দর-অসুন্দরের বাছাই করেন না৷ তাঁদের ছবিতে ধরা থাকে জীবনের প্যানোরামা ও সেই প্যানোরামার অকিঞ্চিৎকর সব খুঁটিনাটি৷

সংস্থার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্যারিসের ১১টি মেট্রো স্টেশনে এক অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ম্যাগনাম৷ ছুটন্ত টিউব ট্রেনের জানলা থেকে দেখা ফটোগ্রাফি৷

চিত্র ও শিল্পী

ম্যাগনাম বলতে যে শুধু চমকপ্রদ ছবি বোঝায়, শুধু তা নয়; ম্যাগনামের আলোকচিত্রীরাও স্বনামধন্য৷ ম্যাগনাম-এর আলোকচিত্রী টোমাস দ্বোরজাক বলেন, ‘‘ম্যাগনাম একটা এজেন্সির চেয়ে অনেক বেশি – এটা যেন একটা পরিবার, যেন বন্ধুমহল, নেশা আর পেশা, আরো অনেক কিছু৷ আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো অন্য ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ, কথাবার্তা, এই আদানপ্রদানের ব্যাপ্তি ও মাত্রা৷''

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসেবে প্যারিসে ১৯৪৭ সালে নিরপেক্ষ আলোকচিত্রীদের সমবায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ম্যাগনাম৷ প্যারিসের মেট্রো স্টেশনগুলোর যেরকম একটা নিজস্বতা আছে, ম্যাগনামের ফটো প্রদর্শনীতেও সেইরকম বৈচিত্র্য ফুটে উঠেছে৷

পাতালরেলে ফটো প্রদর্শনী!

03:44

This browser does not support the video element.

ম্যাগনামের আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা প্রদর্শিত হচ্ছে প্যারিসের ১১টি মেট্রো স্টেশনে: অঁরি কার্তিয়ে-ব্রেসঁ আর রোব্যার কাপা থেকে শুরু করে টোমাস দ্বোরজাক পর্যন্ত৷

মুঠোফোন বনাম ক্যামেরা

প্যারিসের মেট্রোয় সিনেমার পোস্টারের আকৃতির সব ছবি৷ আজ যেখানে ফটোগ্রাফি মুঠোফোনের সাইজে এসে দাঁড়িয়েছে ও প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে, সেখানে ম্যাগনামের প্রদর্শনীর ছবিগুলি যেন একটি ব্যতিক্রম – যার মধ্য দিয়ে পেশাদারি আলোকচিত্রশিল্পের একটি সমস্যা ফুটে উঠেছে৷

টোমাস দ্বোরজাক বলেন, ‘‘অন্য সব এজেন্সির মতো ম্যাগনামেরও ঐ দশা: আমাদের লড়তে হচ্ছে৷ এতো ক্যামেরা আর এত ছবি, মুহূর্তের মধ্যে ইন্টারনেটে ছাপা হয়ে যাচ্ছে, আইকনিক বলতে যে আর বিশেষ কিছু বাকি নেই – আমাদেরও এ সবের মোকাবিলা করতে হচ্ছে৷''

হালআমলের এই ‘গণ'- ফটোগ্রাফিতেযে অমনোযোগ, দূরত্ব আর অবহেলা ফুটে উঠেছে, প্যারিস মেট্রোয় ম্যাগনামের প্রদর্শনী যেন তার বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ৷ ম্যাগনাম যেন যে রাজপথ-জনপথে এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল, সেখানেই, সেই পথের দর্শকদের, সেই পথচারীদের তা দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে৷ ভবিষ্যতে এ ধরনের ছবি হয়ত বিরল হয়ে আসবে৷

টোমাস দ্বোরজাক মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘ফটোগ্রাফি খুবই জনপ্রিয়, সকলেই ফটো চায়, ফটোগ্রাফি ভালোবাসে – কিন্তু কেউই আর নিজের ছবি তুলতে দিতে চায় না৷ এক উদ্ভট পরিস্থিতি: ফটো তোলা বারণ৷ আমি কি এখানে ফটো তুলতে পারি? জানি না৷ আমি কি এই রাস্তায় ফটো তুলতে পারি? না৷ কিন্তু আমরা সকলেই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে যেতে পারে, ভালো ফটোর কদর করতে জানি, তাতে কোনো অসুবিধা নেই৷ অর্থাৎ ফটো তোলার অধিকারের জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে৷''

ম্যাগনাম সেই সংগ্রামে সামিল৷ ফটো তোলাও মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগ নেওয়া, এ কথায় আজও বিশ্বাস করে ম্যাগনাম৷ তাই মেট্রোয় চড়ে ম্যাগনামের ছবিগুলোর পাশ দিয়ে হুস হুস করে চলে যেতে কষ্টই বোধ হয়৷

হর্স্ট  ব্রান্ডেনবুর্গ/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ