1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যানিংকে ক্ষমা করে দিলেন ওবামা

১৮ জানুয়ারি ২০১৭

প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তেও চমক দিলেন ওবামা৷ উইকিলিক্সকে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি সরবরাহের জন্য অভিযুক্ত ব্র্যাডলি ম্যানিং-এর কারাদণ্ড মওকুফ করলেন তিনি৷ ফলে ২৯ বছর বয়সি ম্যানিং মুক্তি পাবেন মে মাসেই৷

চেলসি ম্যানিং-এর পক্ষে আন্দোলনরত জনতা
ছবি: Reuters/E. Nouvelage

২০১৩ সালে উইকিলিক্সের কাছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাত লাখ গোপন তথ্য ফাঁস করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন ব্র্যাডলি ওরফে চেলসি ম্যানিং৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল – ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধ বিষয়ক লাখ লাখ গোপন নথি, কূটনৈতিক তারবার্তা, মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার ভিডিও ফুটেজ গোপনে ডাউনলোড করে উইকিলিক্সকে সরবরাহ করেছেন তিনি৷ এতে তাঁর ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হয়৷

ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন ম্যানিং৷ পুরুষ হিসেবে জন্ম হলেও, পরবর্তীতে হরমোন থেরাপি নিয়ে নারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ব্যাডলি৷ নিজের নাম রাখেন চেলসি ম্যানিং৷

Obama commutes Chelsea Manning sentence

00:27

This browser does not support the video element.

কারাগারে দুর্বিসহ জীবন

আটকের পর বেশ কয়েকমাস নির্জন একটি কারাগারে ছিলেন ম্যানিং৷ কোনো ধরনের সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছাতো না, অন্য কোনো কয়েদিও তাঁর কাছে যেতে পারতো না৷ শুধু তাই নয়, দিনে মাত্র এক ঘণ্টার জন্য নিজের ছোট্ট কুঠুরি থেকে বের হতে পারতেন তিনি৷ ম্যানিংয়ের আইনজীবীর দাবি, কারাগারে কয়েক রাত তাঁকে জোরপূর্বক নগ্ন অবস্থায় রাখা হয়েছিল৷ এমনকি তাঁকে পুরুষ বন্দিদের সঙ্গে রাখার প্রতিবাদে কারাবন্দি অবস্থায় দু'বার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ম্যানিং৷

কারাগারে দুর্বিসহ জীবন যাপনের কথা জানাতে গিয়ে ম্যানিং লিখেছিলেন, ‘‘দিনের পর দিন উদ্বেগ, আক্রোশ, আশাহীনতা ও অবসাদের মধ্যে বাস করছি আমি...আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না, কিছুতেই...৷''

কারাগারে ম্যানিংয়ের এহেন অবস্থাকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘অমানবিক' হিসেবে আখ্যা দেয়৷ প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে চিঠি পাঠায় তারা৷ বলে, ম্যানিংকে কারাগারে যে অবস্থায় রাখা হয়েছে তা অমানবিক, অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত৷ এরপর ম্যানিংকে ক্যানসাস-এর একটি সামরিক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়৷ সেখানে তিনি অন্যান্য কয়েদির সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পান, সুযোগ করে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতেরও৷

ম্যানিং ‘নায়ক', না অপরাধী?

এই বিতর্ক মার্কিন জনগণকে কার্যত দুই ভাগে ভাগ করে ফেলে৷ কিছু কিছু রাজনীতিবিদ ম্যানিংকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানায়৷ অন্যদিকে ইন্টারনেটে ম্যানিংয়ের মুক্তির দাবিতে শরিক হয় কয়েক লাখ মানুষ৷ অবশেষে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টও ম্যানিং-এর পক্ষেই রায় দেন৷

প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই ওবামার শেষ নির্বাহী আদেশ, যেখানে তিনি ২০৯ জনের সাজার মেয়াদ কমানো এবং ম্যানিংসহ ৬৪ জনের সাজা মওকুফ করার আদেশ দিলেন৷ তাই ২০৪৫ সালের পরিবর্তে চলতি বছরের ১৭ই মে পুক্তি পেতে চলেছেন চেলসি ম্যানিং৷

ডিজি/এসিবি (এপি,রয়টার্স, ডিপিএ,এএফপি)

বন্ধু, আপনি কি বারাক ওবামার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন? লিখুন আপনার মন্তব্য, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ