1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যান ইউ’র স্যার অ্যালেক্স অবসর নিচ্ছেন

৯ মে ২০১৩

২৬ বছর ধরে দেড় হাজার ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হাল ধরে ছিলেন অ্যালেক্স ফার্গুসন ৷ জেতার তালিকায় রয়েছে: ১৩ বার প্রিমিয়ার লিগ, দু’বার ইউরোপিয়ান কাপ, পাঁচবার এফএ কাপ, চারবার লিগ কাপ ও একবার ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ৷

ছবি: Getty Images/Shaun Botterill/ALLSPORT

১৯শে মে চলতি মরশুমে ইউনাইটেডের শেষ খেলার পর বিদায় নেবেন ৭১ বছর বয়সি স্কটসম্যান অ্যালেক্স ফার্গুসন৷ তাঁর জায়গায় চেলসির প্রাক্তন কোচ হোসে মুরিনহো আসবেন, না এভার্টনের ডেভিড ময়েস, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে৷ তবে ফার্গুসন ম্যান ইউ-এর ডাইরেক্টর পদে বজায় থাকছেন৷ সেই সঙ্গে তিনি ক্লাবের ‘‘অ্যাম্বাস্যাডার'' হিসেবেও কাজ করবেন, ম্যান ইউ-এর ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন ফার্গুসন৷

১৯৮৬ সালে ক্লাবের দায়িত্ব নেবার সময়েই ফার্গুসন বলেছিলেন, তিনি লিভারপুলকে তাদের টপ পোজিশন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন৷ তাঁর নেতৃত্বে ম্যান ইউ রেকর্ড বিশবারের মতো লিগ খেতাব জিতেছে, লিভারপুলের চেয়ে দু'বার বেশি৷ ইউনাইটেড সুদীর্ঘ ২৫ বছর পরে আবার একটি ইংলিশ টাইটেল জেতে ১৯৯২-৯৩ সালের মরশুমে৷ তার পরের দু'দশক ধরে চলে ইউনাইটেডের একাধিপত্য৷

সবসময় খেলোয়াড়দের মধ্যমনি ছিলেন ফার্গুসনছবি: Getty Images

স্যার অ্যালেক্স ঘোড়দৌড় এবং ভালো ওয়াইনের ভক্ত৷ হঠাৎ চটে গিয়ে নামি-দামি প্লেয়ারদের কাঁচা মাথা নিতে পারেন৷ সারাক্ষণ মুখে চিউয়িং গাম, কিংবা এই বয়সেও দল গোল করলে উত্তাল উচ্ছ্বাস, এ সবও ফার্গুসন৷ আবার প্লেয়ার তৈরি কিংবা কেনাতেও স্যারঅ্যালেক্সের কেউ বদনাম দিতে পারবে না৷

ডেভিড বেকহ্যাম, পল স্কোলস, গ্যারি নেভিল, রায়ান গিগস, এই সব তরুণ প্লেয়ারদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে অ্যালেক্স ফার্গুসনের হাতে৷ অন্যদিকে এরিক ক্যান্টোনা, রিও ফার্ডিন্যান্ড, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কিংবা ওয়েন রুনিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আনার কৃতিত্বও ফার্গুসনের৷ শেষমেষ তিনি এনেছেন রবিন ফ্যান পার্সিকে, যিনি এ মরশুমে ম্যানচেস্টারের হয়ে ২৫টি লিগ গোল করেছেন৷

স্যার আলেক্সের দোষ বলে যদি কিছু থাকে তবে সেটা তাঁর মিডিয়া সম্পর্কে স্পর্শকাতরতা৷ তাঁর ছেলেকে নিয়ে বিবিসির একটি অনুষ্ঠান পছন্দ না হওয়ায় ফার্গুসন একবার সাত বছর ধরে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেননি৷ আর ছোটখাট রিপোর্টারদের কাজ ভালো না লাগলে তাদের নিজের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বাদ দিতে এতটুকু দ্বিধা করতেন না গ্লাসগোর এই মানুষটি৷

দুঃখ বলতে ফার্গুসনের বোধহয় একটিই: তিনি যে এককালে গ্লাসগো রেঞ্জার্সের নাম-করা প্লেয়ার ছিলেন, লোকে যেন সেটা প্রায় ভুলেই গেছে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ