হামবুর্গ বন্দরের পথে শত মানুষের ভিড়ে, জল-ঝড়-হাওয়ার মধ্যে ছ'ঘণ্টা আগে সেই পথ দিয়ে চলে যাওয়া একটা মানুষের খোঁজ করতে পারে শুধু এক ধরনের সার্চ ডগ বা ট্র্যাকার ডগ, যাদের বলা হয় ম্যান ট্রেলার৷
বিজ্ঞাপন
হামবুর্গ বন্দরের পথে শত মানুষের ভিড়ে, জল-ঝড়-হাওয়ার মধ্যে ছ'ঘণ্টা আগে সেই পথ দিয়ে চলে যাওয়া একটা মানুষের খোঁজ করতে পারে শুধু এক ধরনের সার্চ ডগ বা ট্র্যাকার ডগ, যাদের বলা হয় ম্যান ট্রেলার৷
লক্ষ লক্ষ মানুষের মহানগর যে শুধু অফিস ছুটি হওয়ার সময়েই একটা জঙ্গল হয়ে ওঠে, এমন নয়৷ কেউ নিখোঁজ হলে, এই জঙ্গলে তাকে খুঁজে পাওয়ার আশা প্রায় নেই বললেই চলে৷ অনুসন্ধানকারীদের একমাত্র আশা হল,যদি তাদের সাথে কোনো ‘‘ম্যান ট্রেলার'' থাকে৷ কুকুরের প্রশিক্ষক ক্রিস্টিনে শ্যুলার জানালেন, ‘‘পুলিশ যখন আমাদের ডাকে, তখন তার অর্থ: কোনো মানুষের জীবন বিপন্ন, কোনো মানুষ নিখোঁজ হয়েছে৷ আমরা হলাম সেই নিখোঁজ মানুষটিকে খুঁজে পাবার, পলাতক অপরাধীকে খুঁজে বার করার শেষ পন্থা৷''
কুকুর নিয়ে প্রদর্শনী, কুকুরই সেখানে সুপারস্টার
জার্মানিতে কুকুরের খুব কদর৷ অনেকেই কুকুর পোষেন৷ কুকুর তাঁদের কাছে শুধু বন্ধু নয়, সন্তানতুল্য৷ ছবিঘরে থাকছে বার্লিনের এক জাদুঘরে কুকুর নিয়ে অভিনব প্রদর্শনীর কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. v. Jutrczenka
মানুষের সেরা বন্ধু কুকুর
বার্লিনের ‘মিউজিয়াম অফ প্রিন্ট অ্যান্ড ড্রয়িংস’ এবার কুকুর নিয়ে অন্যরকম এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে৷ কুকুর নিয়ে অনেক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷ প্রদর্শনীর নাম, ‘গন টু দ্য ডগস’৷ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য, কুকুরকে মানুষের সেরা বন্ধু হিসেবে তুলে ধরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. v. Jutrczenka
অস্বাভাবিক আচরণ
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কুকুরের কাজই ছিল অস্বাভাবিক আচরণ করে কোনো কাজে ব্যাঘাত ঘটানো৷ রেমব্রান্ট তো বাইবেলের মাঝখানেও ভীষণ রাগি এক কুকুর এঁকেছেন৷
ছবি: DWHund in der Kunst
সবসময় কুকুর ছিল, কুকুর আছে
সৃষ্টির আদিকাল থেকেই কুকুর আছে মানুষের পাশে৷ কখনো বিশ্বস্ত পাহারাদার হয়ে, কখনো বন্ধু হয়ে৷ কেউ কেউ মনে করেন, আদম আর হাওয়ার সময় থেকেই কুকুর মানুষের সঙ্গী৷ অজস্র শিল্পকর্মও আছে কুকুর নিয়ে৷ আগোস্টিনো কারাচি, আলব্রেশ্ট ড্যুরার, রেমব্রান্ট, আডল্ফ ফন মেনসেল, অটো ডিক্স এবং ডিটার রোট-এর মতো সুপরিচিত শিল্পীদের ১০০টি ছবি, ছবির প্রিন্ট, অয়েল স্কেচ এবং জলরং স্থান পেয়েছে বার্লিনের প্রদর্শনীতে৷
ছবি: DW/S. Broll
কুকুরপ্রেমীর সেরা ছবি...
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ছবির মূল্য ৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার৷ জেফ কুনস-এর আঁকা সেই ছবির নাম, ‘বেলুন ডগ’৷ অনেক কুকুরপ্রেমীর কাছে অবশ্য সেই ছবির চেয়েও দামি নিজের পোষা কুকুরের কোনো ছবি৷ বার্লিনের প্রদর্শনীতে এসে অনেকে তাই নিজের কুকুরের ছবিই তুলেছেন৷
ছবি: DW/S. Broll
সেললেব্রিটি কুকুর...
প্রদর্শনীতে কুকুররাই পেয়েছে সেলেব্রিটির মর্যাদা৷ ‘পাম ডগ’ অ্যাওয়ার্ড জেতা উগি থেকে শুরু করে ইউটিউব-এ সুপারস্টার হয়ে যাওয়া ‘দ্য আর্টিস্ট’ ছবির পিয়ানোবাদক টাকার-এর ছবি তো ছিলই, জলজ্যান্ত কুকুরদের আদর-আপ্যায়নও ছিল দেখার মতো৷ ছবিতে প্রদর্শনীস্থলে কুকুরের জন্য রাখা পানি আর নাশতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. v. Jutrczenka
5 ছবি1 | 5
ফিনলে হলো একটি সার্চ ডগ বা ট্র্যাকার ডগ৷ ম্যান ট্রেলার হিসেবে সে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে একটি বিশেষ মানুষকে খুঁজে বার করার ক্ষমতা রাখে৷ তবে ম্যান ট্রেলার হিসেবে সরকারি সার্টিফিকেট পাবার আগে ফিনলেকে একটি শেষ পরীক্ষা দিতে হবে৷ বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই ‘নিখোঁজ' ব্যক্তিটি তার ট্রেল বা হদিশ রেখে গেছে৷ সঙ্গে সঙ্গে অন্য মানুষের চলাফেরায় সেই ট্রেল বা গন্ধ ঢাকা পড়ে গেছে৷ বন্দর এলাকায় অন্যান্য সমস্যাও আছে: বাতাসে কিংবা জলের ঝাপটায় সেই গন্ধ মুছে যেতে পারে৷ সব মিলিয়ে ম্যান ট্রেলারের পক্ষে একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ ক্রিস্টিনে বললেন, ‘‘কুকুরটাকে গন্ধ শুঁকে শুঁকে চলতে হবে৷ ডগ হ্যান্ডলার-কে দেখতে হবে, কুকুরের যেন অন্য দিকে মন না যায়, পায়রা বা অন্য কোনো কুকুর কিংবা মানুষ দেখে বিক্ষিপ্ত না হয়ে পড়ে৷ আমাকে খেয়াল রাখতে হবে, পথে যেন কোনো বিপদ না ঘটে৷''
প্রাণীরা যখন শিক্ষক
প্রাণীরা শুধু মানুষের বিশ্বাসী বন্ধু নয়, প্রাণীদের কাছ থেকে মানুষের অনেককিছুই শেখার আছে৷ আর সেই শিক্ষা গ্রহণ করলে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও সুন্দর হতে পারে৷ প্রাণীদের সেরকমই কিছু আচরণের নমুনা পাবেন এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/S. Meyers
বেড়াল শান্ত রাখে
‘স্ট্রেস’ বা চাপ? না, এই শব্দ বেড়াল একেবারেই চেনে না৷ আর সেটা ওদের চোখের দিকে সরাসরি তাকালেই বোঝা যায়৷ বেড়ালকে শিকারে নিয়ে যান, মেঝেতে পিঁপড়ে ছড়িয়ে দিন কিংবা শুকনো পাতার ওপর হাঁটুন, কিছুতেই বেড়াল উত্তেজিত হবে না বা ওর গায়ের কোনো পেশী ফুলে উঠবে না৷ তাই বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে আমরা বেড়ালের কাছ থেকে নিজেকে শান্ত রাখার কৌশল শিখতে পারি৷
পানিতে যাদের বসবাস, তাদের মধ্যে ডলফিন খুবই মিশুক৷ পানিতে খেলার সময় বা ট্রেনিং-এর সময় সহজেই তারা একে-অপরের বন্ধু হয়ে যায়৷ মানুষের সঙ্গেও তাদের সহজেই বন্ধুত্ব হয়৷ তার ওপর স্মরণশক্তিও ওদের খুব ভালো৷ ২০ বছর পরও ডলফিন তার বন্ধুকে চিনতে পেরে কাছে টেনে নেয়৷ যা সত্যিই মানুষের হিংসে করার মতো৷ আহা মানুষ যদি এমন হতো!
ছবি: picture-alliance/dpa
কুকুরের কোনো অভিযোগ নেই!
প্রভুভক্ত কুকুরের একাকী সারাদিন কেমন কেটেছে, তা নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই৷ বরং মনিব বাড়িতে এসে একটু আদর করলেই সে মহাখুশি৷ কুকুরের ক্ষেত্রে যেটা লক্ষ্যণীয় তা হচ্ছে, সে বিনা শর্তে ভালোবাসে, খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস অর্জন করে এবং সহজে ক্ষমাও করতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F.Hörhager
ঘোড়া ভালো নেতৃত্ব দেয়
ঘোড়া একদিকে যেমন ভদ্র, অন্যদিকে সহসী ও নেতৃত্বে পটু৷ সে সহজেই মনিবের ভাষা বোঝে, যা অন্যদের ‘মোটিভেট’ করতে পারে৷ এই সুন্দর, শান্ত প্রাণী যতক্ষণ না কোনো নির্দেশ পায়, ততক্ষণ চুপচাপ থাকে৷ তবে কিছু বললে সাথে সাথে বুঝে তার প্রতিক্রিয়া জানায়৷ অন্যদিকে কেউ ঘোড়াকে ক্ষেপালে সে মুহূর্তেই প্রতিবাদ করে ওঠে৷ অর্থাৎ ভদ্র, সাহসী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ঘোড়া৷
ছবি: Andreas Sten-Ziemons
একতাই বল, দলই শক্তি
‘একের বোঝা দশের লাঠি’ বা ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’ – এ সব প্রবাদবাক্যের প্রমাণ আমাদের দিয়েছে ‘পরিযায়ী পাখি’৷ এরা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে ‘টিম স্পিরিট’ বা ‘দলীয় শক্তি’ কাকে বলে৷ আজকের যুগে একা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷ শুধুমাত্র দলের সকলে মিলে কাজ করলেই সাফল্য অর্জন সম্ভব, ঠিক এই পাখিদের মতো৷ তবে দলকে একত্রিত করে সফল হতে প্রয়োজন শক্তিশালী গাইড বা দলনেতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধৈর্য
প্রাণীরা বর্তমান সময়কেই উপভোগ করে৷ মানুষদের মতো আগামীতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করে না৷ কোনো কিছুতে তাড়াহুড়ো নেই তাদের৷ বেড়ালকে দেখুন, কী সুন্দর নিশ্চন্তে বসে থাকে বা কুকরকে নিয়ে বাইরে বের হলেই লক্ষ্য করবেন যে, তারা শীত, গ্রীষ্ম, বৃষ্টির কথা না ভেবে যতক্ষণ দরকার ততটা সময় ব্যয় করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে৷ আজকের তরুণরা চাইলে প্রাণীদের কাছ থেকে ধৈর্য ধরা শিখতে পারে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/J. Fieber
শোনায় মনোযোগী
প্রাণীরা শোনার ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী, যা ওদের কান খাড়া করে থাকা দেখেই বোঝা যায়৷ ওরা চুপ করে বসে শোনে এবং সেভাবেই তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়৷ প্রাণীদের কাছে থেকে মানুষরা এই গুণটি গ্রহণ করলে নিঃসন্দেহে তা মানবজাতির অনেক উপকারে আসতে পারে৷ কারণ মানুষের সাধারণত শোনার চেয়ে বলাই পছন্দ৷ ফলে সৃষ্টি হয় ভুল বোঝবুঝি, আবার অনেক সময় কিছু বিষয় স্পষ্ট হয় না৷
ছবি: picture alliance/dpa/S. Meyers
7 ছবি1 | 7
মানুষের নাক এর কাছে কিছুই নয়
প্রথমে ফিনলেকে নিখোঁজ মানুষটির শার্ট শুঁকতে দেওয়া হল৷ কুকুরটা ভালো করে তার গন্ধ শুঁকল৷ গন্ধটা চিনে নিয়ে স্মৃতিতে ধরে রাখতে ও পরে সন্দেহবিহীনভাবে শনাক্ত করতে কুকুরটার কয়েক সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে না৷ মানুষের পক্ষে অকল্পনীয় – কিন্তু কুকুরের নাক মানুষের নাকের চেয়ে দশ লক্ষ গুণ বেশি শক্তিশালী৷ ক্রিস্টিনে জানালেন, ‘‘আমরা প্রতি মিনিটে ত্বকের প্রায় ৪০ হাজার কোষ হারাই৷ প্রত্যেকটি কোষের উপরেই শরীরের বিশেষ গন্ধ মাখা থাকে৷'' শুধুমাত্র অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যায়, এত ছোট কোষগুলোর হদিশ পাওয়া খুব সহজ নয় – এ তো আর পায়ের ছাপ নয়৷ অতি ক্ষুদ্র কণাগুলি বাতাসে উড়ে গিয়ে ঘাসে কিংবা ঝোপঝাড়ে আটকে থাকতে পারে – কিন্তু সে ধরনের খোপ-খাপ, আনাচ-কানাচ বলে যদি একেবারেই কিছু না থাকে?
কাজেই অত্যন্ত নাছোড়বান্দা কুকুররাই শুধু ম্যান ট্রেলার হতে পারে৷ ক্রিস্টিনের ভাষ্যে, ‘‘কুকরকে ট্রেনিং দিতে বহু সময় লাগে৷ তাকে নিয়ে হাঁটতে যেতে হয়, পরিবেশ চেনাতে হয়; দেখতে হয়, সে মানুষজনের সঙ্গে ঠিকমতো ব্যবহার করছে কিনা, স্বভাব-চরিত্র ঠিক আছে কিনা৷ তারপর আছে ট্রেনিং৷''
ফিনলে-র বয়স আজ তিন বছর৷ জন্মের পর থেকেই তার ট্রেনিং চলেছে৷ ফিনলে যার খোঁজ করছে, সেই মানুষটি পাক্কা ছ'ঘণ্টা আগে এখান দিয়ে গেছেন৷ ট্রেনারের এখানে কুকুরকে ফলো করা ছাড়া আর কিছু করার নেই৷ কুকুরের উপরেই যা কিছু আশা৷ সত্যিই! ম্যানট্রেলার ফিনলে তার মানুষকে খুঁজে পেয়েছে৷ ফিনলে তার শেষ পরীক্ষাতেও পাশ!
চীনে কুকুরের মাংস খাওয়ার উৎসব
অনেক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-সমালোচনা সত্ত্বেও চীনে হয়ে গেল কুকুরের মাংস খাওয়ার উৎসব৷ ১০ হাজারের মতো কুকুর জবাই করে খাওয়া হয়েছে সেখানে৷ ছবিঘরে দেখুন বিতর্কিত এই উৎসব নিয়ে কিছু ছবি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লিচু এবং কুকুরের মাংসের উৎসব
প্রতি বছর লিচু আর কুকুরের মাংস খাওয়ার উৎসব হয় চীনের প্রত্যন্ত এবং দরিদ্রদের অঞ্চল ঝুয়াংয়ে৷ কাটা হয় কয়েক হাজার কুকুর৷ মাংস খাওয়া হয় উৎসবের আমেজে৷ সোমবার ইউলিন শহরে হয়ে গেল কুকুর হত্যার এই উৎসব৷ উৎসবে মাংস খেয়ে আনন্দরত কিছু মানুষ৷
ছবি: Reuters/K. Kyung-Hoon
সংস্কৃতি, নাকি ব্যবসা?
স্থানীয়দের অনেকেই মনে করেন, কুকুরের মাংস অনেকটা শূকরের মাংসের মতো, সুতরাং এ মাংস না খাওয়ার কোনো কারণ নেই৷ পশু অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, কুকুরের মাংস খাওয়ার এ উৎসব চীনের সংস্কৃতির অংশ নয়, এটা এক শ্রেণির মানুষের ব্যবসায়িক চিন্তার ফসল৷
ছবি: Reuters/K. Kyung-Hoon
প্রতিবাদ
এমন উৎসব বন্ধের চেষ্টাও হয়েছে৷ উৎসবের নামে নিষ্ঠুরতা বন্ধের দাবি উঠেছিল চীনে৷ ‘অবৈধ কুকুরের মাংসের ব্যবসা বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনা কর’, ‘অবৈধভাবে কুকুর পরিবহণকারীদের শাস্তি দাও’ – লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন অনেকে৷ কিন্তু অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লোক এসে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে সব প্ল্যাকার্ড কেড়ে নেয়৷
ছবি: Reuters/K. Kyung-Hoon
পকেটের টাকায় কুকুর রক্ষার চেষ্টা
পশু অধিকার কর্মীদের কেউ কেউ কুকুর রক্ষার জন্য অভিনব এক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন৷ উৎসবে এসে কুকুর কিনে নিয়ে যান তাঁরা৷ কুকুরপ্রেমী ইয়াং জিয়াওউন টিয়ানজিন থেকে এসেছিলেন শুধু কুকুর কিনতে৷ ১০০ কুকুর কিনেছেন তিনি ৭ হাজার ইউয়ান, অর্থাৎ ১ হাজার ১৫০ ইউরো দামে৷ এখানে তাঁর কেনা কয়েকটি কুকুর৷
ছবি: Reuters/K. Kyung-Hoon
বছরে এক কোটি কুকুরের মাংস!
হ্যাঁ, ওয়াশিংটনের হিউমেন সোসাইটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর অন্তত এক কোটি কুকুরের মাংস যায় মানুষের পেটে৷ ইউলিনের উৎসবে কাটা হয়েছে হাজার দশেক কুকুর৷ উৎসবের অনেক কুকুরই বৈধ দোকান থেকে কেনা৷ তবে অবৈধ দোকান এবং চুরি করা কুকুরও আসে উৎসবে৷
ছবি: Reuters/K. Kyung-Hoon
কুকুর নির্যাতন উৎসব?
চীনের এই কুকুরের মাংস উৎসবের সমালোচনা চীন তো বটেই, চীনের বাইরেও অনেক হয়েছে৷ ব্রিটেনের কৌতুক অভিনেতা রিকি জ্যার্ভেস ইউলিনের উৎসবের সমালোচনা এবং উৎসব বন্ধ করার দাবিতে অসংখ্য টুইট করেছেন৷ তাঁর হ্যাশট্যাগ ‘স্টপ ইউলিন ২০১৫’ টুইটের অনেক রিটুইটও হয়েছে৷ টুইটারে রিকি জ্যার্ভেস লিখেছেন, ‘‘’এ উৎসবকে কুকুর নির্যাতনের উৎসব বলা উচিত, কেননা ব্যাপারটি আসলে তাই৷’