জাপানে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ব্যক্তিগত রসায়ন বেশ নজর কাড়লেও বড় মাত্রার কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত উঠে আসেনি৷ এক ঘোষণাপত্রে বিভিন্ন বিষয়ে অবস্থান জানানো হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে কোনো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর এক যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়৷ জাপানেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি থেকে শুরু করে চলমান নানা সংকট সম্পর্কে অবস্থান নিয়েছেন শীর্ষ নেতারা৷
চলমান শরণার্থী সংকটকে এক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এই সম্মেলনে৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার ভূমিকার আবার কড়া সমালোচনা করেছেন জি-সেভেন নেতারা৷ সিরিয়া ও ইরাকের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা৷ সরাসরি নাম উল্লেখ না করেও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী মনোভাবের সমালোচনা করেছেন নেতারা৷ সন্ত্রাসবাদ দমনে, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থায়ন বন্ধ করতে এক কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে৷
এর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে৷ প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে শীর্ষ নেতারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেছেন৷ তাঁদের মতে, এক্ষেত্রে সম্ভাবনার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে না৷
আগামী মাসে গণভোটের পর ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে চলে গেলে বিশ্ব অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শীর্ষ নেতারা৷
শুধু গুরুগম্ভীর আলোচনা নয়, তার ফাঁকে জি-সেভেন নেতারা ব্যক্তিগত স্তরেও উষ্ণতা দেখিয়েছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, উপস্থিত নেতারা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে বড়ই ভালোবাসেন৷
জি-সেভেন মূল সম্মেলনের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক ‘আউটরিচ মিটিং' অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাতে অংশ নিয়েছেন৷
অজানা গন্তব্যের দিকে ছুটছেন শরণার্থীরা
অন্তত দু’হাজারের মতো শরণার্থী গ্রিসের ইডোমেনি ক্যাম্প ছেড়ে চার ঘণ্টার মতো হেঁটে ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশে সক্ষম হয়েছে৷ এ জন্য তাদের একটি নদী পাড়ি দিতে হয়েছে, যেখানে তলিয়ে গেছেন অন্তত তিনজন শরণার্থী৷
ছবি: DW/D.Tosidis
কোনো এক উপায়ের সন্ধানে
শিশু, পরিবারসহ শত শত শরণার্থী ইডোমিনি শরণার্থী শিবির থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন সোমবার সকালে৷ উদ্দেশ্য গ্রিস-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের কোন অরক্ষিত অংশ থেকে ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ করা৷
ছবি: DW/D.Tosidis
সাহসিকতার পরিচয়
ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশের আশায় এক উত্তাল নদী এভাবে পাড়ি দিয়েছেন শরণার্থীরা৷ কাঁটাতারের বেড়া নেই সীমান্তের এমন অংশ খুঁজে পেতে তাদের প্রানান্ত চেষ্টা৷
ছবি: DW/D.Tosidis
ভয়, আতঙ্ক
উত্তাল নদী পাড় হতে গিয়ে ভয় পাওয়া এক অল্প বয়সি শরণার্থীকে সাহায্যে এগিয়ে আসেন অন্য শরণার্থীরা৷
গ্রিক সীমান্তের গ্রাম চামিলোর, যেটি কিনা সীমান্ত থেকে মাত্র এক দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে, বাসিন্দারা এভাবেই পানি দিয়ে সহায়তা করেছেন লম্বা পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করা শরণার্থীদের৷
ছবি: DW/D.Tosidis
চরম দুর্দশা
ক্লান্ত এবং দুর্বল শরণার্থীরা নদী পাড় হতে গিয়ে চরম দুর্দশায় পতিত হন৷
ছবি: DW/D.Tosidis
সতর্ক বার্তা
শরণার্থীদের মিছিল দেখার পর সম্ভবত পুলিশকে ফোন করেন ডানের এই স্থানীয় বাসিন্দা৷
ছবি: DW/D.Tosidis
সেনাবাহিনীর হুমকি
ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের প্রথমাংশ প্রবেশের কিছু পরেই সেখানে হাজির হন সেদেশের সেনাবাহিনী৷
ছবি: DW/D.Tosidis
মার খাওয়া এবং পোড়া
এক আফগান শরণার্থী দাবি করেছেন, ম্যাসিডোনিয়ার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের পর পিটিয়েছে এবং গাল পুড়ে দিয়েছে৷