আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আবারও জার্মান চ্যান্সেলর হওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে জার্মানরা বিভক্ত বলে এক জরিপে দেখা গেছে৷ আর সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি জরিপের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির সরকারি প্রচারমাধ্যম এআরডি বৃহস্পতিবার মাসিক ‘ডয়েচলান্ডট্রেন্ড’ জরিপ প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ জার্মান ম্যার্কেলের চতুর্থবার চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেয়ার পক্ষে৷ অবশ্য মাস ছয়েক আগে এই সংখ্যাটি ছিল ৭০ শতাংশ৷
ডয়েচলান্ডট্রেন্ড-এ দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেয়া ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা ম্যার্কেলকে চতুর্থবার চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চান না৷
সরকার গঠন এত দেরি হওয়ায় ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন৷
এসপিডির অবস্থা করুণ
২০১৭ সালের নির্বাচনে এসপিডি মাত্র সাড়ে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা দলের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফল৷ তারপর আবারও সিডিইউর সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এসপিডির প্রতি সমর্থন আরও কমে গেছে বলে জরিপে জানা গেছে৷ যদি এই রবিবারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এসপিডি মাত্র ১৮ শতাংশ ভোট পাবে৷
‘মহাজোট’ নিয়ে বিভক্ত
ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সঙ্গে আবারও জোট আলোচনা শুরুর বিপক্ষে ছিলেন এসপিডি দলের তরুণ কর্মীরা৷ দল যেন সিডিইউর সঙ্গে না যায়, সেজন্য তাঁরা প্রচারণাও চালিয়েছিলেন৷ তবে এরপরও অল্প ব্যবধানে সিডিইউর সঙ্গে আলোচনা শুরুর অনুমতি পায় এসপিডি৷
ডয়েচলান্ডট্রেন্ড জরিপে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে যাঁরা নিজেদের এসপিডির সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন তাঁদের ৫২ শতাংশ মহাজোটে অংশ নেয়ার পক্ষে৷ আর ৪৬ শতাংশ এর বিপক্ষে তাঁদের মত জানিয়েছেন৷
শ্যুলৎসের হার
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের পর এসপিডি নেতা মার্টিন শ্যুলৎস জানিয়েছিলেন, তাঁর দল আর সিডিইউর সঙ্গে জোটে যাবে না৷ বরং সংসদে বিরোধী দলের আসন নেবে এসপিডি৷ শ্যুলৎসের এই ঘোষণায় তাঁর প্রতি সমর্থন বেড়ে গিয়েছিল৷
কিন্তু মুক্ত গণতন্ত্রী ও সবুজ দলের সঙ্গে ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের জোট গড়ার আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর শ্যুলৎস তাঁর আগের ঘোষণা থেকে সরে আসেন এবং সিডিইউর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান৷ এতে তাঁর প্রতি সমর্থন পাঁচ শতাংশ কমে ২৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে৷
লুইস স্যান্ডার্স/জেডএইচ
নানা মুডে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সারা বিশ্বের মিডিয়া জুড়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছবি৷ তাঁর সরকারি মুখাবয়ব প্রায়শই গম্ভীর, কথা বলেন সুচিন্তিতভাবে৷ ছবি তোলেন দু’হাতের আঙুলগুলো জুড়ে, তাঁর সুপরিচিত ভঙ্গি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুবিখ্যাত ম্যার্কেল মুদ্রা
ব্রীড়া থেকেই হোক, বা ঝানু রাজনীতিকের পরিশীলিত ভঙ্গিই হোক, ম্যার্কেল যে হাতের আঙুলগুলো জোড়া দিয়ে কী বলতে চাইছেন, তা তিনি নিজেই জানেন...
ছবি: picture-alliance/dpa/Michael Kappeler
ইউরোপীয় রাজনীতিক
সার্বভৌম, উৎসাহী অথচ নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ছবিতে তিনি ব্রাতিস্লাভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষবৈঠকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
উদ্বাস্তু সংকট ম্যার্কেলের রাজনৈতিক জীবনে একটা বড় প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও গতবছর বার্লিনের মারৎসান এলাকার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সিরিয়া থেকে আগত এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সরকারপ্রধান
চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলকে দেখা যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা ও ভূমিকায়৷ সঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নারীসুলভ
হঠাৎ কিছুটা অন্তরঙ্গতা ও একটি হাসি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদকেও পার্ফেক্ট জেন্টলম্যান বলা চলে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
জোট সরকার
ম্যার্কেলের দুই জোট সহযোগী, এসপিডি প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল ও সিএসইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফারকে দেখলে বোঝা যায়, ‘অ্যাঞ্জি’ মাথা ঠান্ডা না রাখলে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. von Jutrczenka
বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি
পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারিনী ম্যার্কেলের ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর জন্যে খুব একটা সময় থাকে না৷ তবে টুইট করতে ভালোবাসেন৷ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের একটি ফোরামে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সঙ্গে আগ্রহ নিয়েই আলোচনা করছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
যাজক তনয়া
২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ প্রটেস্টান্ট যাজকের কন্যা ম্যার্কেলের পক্ষে একটি বিশেষ মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters/A. Pizzoli
শ্যাম্পেন পান করার মতো উপলক্ষ্য চাই
যেমন জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে এলিসি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি৷
ছবি: AP
ক্ষমতার নেশা চেনেন ম্যার্কেল
২০১১ সালে ডয়চে ব্যাংকের প্রধান ইয়োসেফ আকারমান-এর সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত চলতি আর্থিক সংকট নিয়েই কথা হয়েছিল৷
ছবি: AP
ছুটিছাটায়
চ্যান্সেলরও মানুষ, তাঁরও ছুটি লাগে৷ তবে ছুটিতেও পাপারাৎসিদের হাত থেকে মুক্তি নেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ ছবিতে তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে (বাঁয়ে)৷
ছবি: dapd
সে অনেকদিন আগের কথা
তরুণ সিডিইউ রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেল দলীয় সতীর্থ আনেট শাভান ও প্রবীণ সিডিইউ রাজনীতিক এর্ভিন টয়ফেল-এর সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানিতে সাইকেল টুরে৷ তখনও তাঁর মুখে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমতার ছাপ পড়েনি৷