1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী শুলৎস

২৬ জানুয়ারি ২০১৭

বার্লিনের জোট সরকারের ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সভাপতিত্ব ও আগামী সংসদীয় নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবার দায়িত্ব এক ‘নবাগতের' হাতে তুলে দিচ্ছেন৷

মার্টিন শুলৎস ও সিগমার গাব্রিয়েল
ছবি: Reuters/F. Bensch

কে কোন দায়িত্ব নিচ্ছেন?

সিগমার গাব্রিয়েলের এই পদত্যাগ তিন-দফা, কেননা তিনি এসপিডি দলের সভাপতিত্ব, সেপ্টেম্বরের সংসদীয় নির্বাচনে দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবার সুযোগ ও ম্যার্কেল মন্ত্রীসভায় অর্থনীতি তথা জ্বালানি মন্ত্রীর পদ, তিনটিই একসঙ্গে ছেড়ে দিলেন৷ তাঁর জায়গায় এসপিডি দলের সভাপতি ও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হতে চলেছেন ইউরোপীয় সংসদের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলৎস৷

সাবেক আইনমন্ত্রী ও এসপিডি দলের প্রবীণ সদস্যা ব্রিগিটে সুইপ্রিস চলতি সংসদীয় কর্মকালের জন্য অর্থনীতি মন্ত্রী হতে চলেছেন৷ সাত মাস পরে সংসদীয় নির্বাচন; তার পর সুইপ্রিস বুন্ডেস্টাগে তাঁর আসন ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন৷

অপরদিকে গাব্রিয়েল হবেন জার্মানির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কেননা বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি তারিখে জার্মানির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন – যদি না কোনো অভাবনীয় অঘটন ঘটে, কেননা তিনি এসপিডি, সিডিইউ ও সিএসইউ দলের যৌথ প্রার্থী৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক একটি কর্মকালের পর আর দ্বিতীয়বার প্রার্থী হতে চাননি৷

ম্যার্কেলের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর মার্টিন শুলৎসছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet

গাব্রিয়েল পদত্যাগ করলেন কেন?

সকলেই প্রত্যাশা করছিলেন যে, গাব্রিয়েল চ্যান্সেলর পদের জন্য ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নামবেন৷ কিন্তু গাব্রিয়েল বলেছেন যে, তাঁর ম্যার্কেলকে হারানোর কোনো সম্ভাবনা নেই দেখেই তিনি পদত্যাগ করেছেন৷

অন্যভাবে দেখতে গেলে, তিনি চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবেন না, এ কথা ঘোষণা করার পর গাব্রিয়েলের পক্ষে আর দলের সভাপতি থাকা সম্ভব ছিল না; কাজেই সে পদটিও তিনি শুলৎসের হাতেই তুলে দিতে চান৷

সেপ্টেম্বরে নির্বাচন; সে অবধি গাব্রিয়েল রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে পারেন না, যদি তাঁর ভবিষ্যতের জন্য কোনো ধরনের রাজনৈতিক উচ্চাশা থাকে৷ এক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি যে খালি হচ্ছে, সেটা তাঁর পক্ষে একটি সুবর্ণ সুযোগ৷ আগামী সাত মাস তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকবেন; সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর যদি ‘বড় জোট', অর্থাৎ সিডিইউ/সিএসইউ-এসিপিডি দলের জোট সরকারই বজায় থাকে – ও সেই সঙ্গে ম্যার্কেল আবার চ্যান্সেলর হন – তাহলে গাব্রিয়েল পররাষ্ট্রমন্ত্রীই থেকে যাচ্ছেন৷

শুলৎস আসার ফলে কি এসপিডির সম্ভাবনা বাড়বে?

প্রায় সব জরিপেই শুলৎস গাব্রিয়েলের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন৷ এমনকি ‘‘বিল্ড'' ট্যাবলয়েডের একটি সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী চ্যান্সেলর হিসেবে ৩৮ শতাংশ জার্মান শুলৎসকে দেখতে চান, যেখানে ম্যার্কেলকে চান ৩৯ শতাংশ – অর্থাৎ শুধু এক শতাংশ বেশি৷ ম্যার্কেল আর গাব্রিয়েলের মধ্যে তুলনায় ম্যার্কেল পাচ্ছিলেন ৪৬ শতাংশ, গাব্রিয়েল ২৭ শতাংশ সমর্থন৷

বামদল বা সবুজদের মতো সম্ভাব্য জোট সহযোগীদের কাছে শুলৎস গাব্রিয়েলের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য – এসপিডি দলের সদস্য ও বিশ্বস্ত এসপিডি ভোটারদের ক্ষেত্রেও যা প্রযোজ্য৷ অপরদিকে শুলৎস এতদিন ব্রাসেলসে থাকার পরে জার্মান ভোটারদের কাছে অতটা পরিচিত না হলেও, চলতি জোট সরকারের কোনো দোষত্রুটি তাঁর ঘাড়ে চাপানো চলে না৷ ম্যার্কেল মন্ত্রীসভার সদস্য না থাকার ফলে শুলৎস গাব্রিয়েলের চেয়ে অনেক বেশি খোলাখুলিভাবে ম্যার্কেলের সমালোচনা করতে পারবেন৷

শুলৎস আসার ফলে এসপিডির নীতি কী দাঁড়াবে?

শুলৎসকে আনার অর্থ, এসপিডি একটি শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সপক্ষে মতপ্রকাশ করছে৷ কাজেই এএফডি প্রমুখ দক্ষিণপন্থি দলগুলির মতো এসপিডি দলের ইইউ বা অভিবাসনের বিরোধী হবার সম্ভাবনা আরো দূরাহত হলো৷

শুলৎসের আগমন এসপিডিকে আরো এক বা দুই শতাংশ ভোট এনে দেবে, বলে পর্যবেক্ষকরা ধরে নিচ্ছেন৷ অপরদিকে এএফডি যদি ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করে, তাহলে চলতি ‘বড় জোট' ছাড়া আর কোনো পন্থা বাকি থাকবে না৷ এবং আঙ্গেলা ম্যার্কেল যে সেই ‘নতুন' জোট সরকারেরও চ্যান্সেলর হবেন, তা ধরে নেওয়া যেতে পারে৷

জেফারসন চেজ/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ