1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের বিপক্ষে লড়বেন স্টাইনব্রুক

দেবারতি গুহ১০ ডিসেম্বর ২০১২

২০১৩ সালে জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর নির্বাচনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিপক্ষে লড়বেন সাবেক অর্থমন্ত্রী পেয়ার স্টাইনব্রুক৷ রবিবার হ্যানোফার শহরে প্রধান বিরোধী দল সামাজিক গণতন্ত্রীরা সরকারিভাবে তাঁর প্রার্থিতার ঘোষণা করেছে৷

ছবি: Reuters

এদিন হ্যানোফার শহরের ঐ দলীয় কনভেনশনে প্রায় ৯৩ শতাংশ ভোট পান পেয়ার স্টাইনব্রুক৷ বলা বাহুল্য, ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে তাঁর প্রধান হাতিয়ার হলো বেতনে সমতা আনা, স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য উচ্চ সরকারি অবসরভাতা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান ও বাসস্থানের উন্নয়ন৷ স্টাইনব্রুকের কথায়, ‘‘সমাজে একটা সমতা একটা ‘ব্যালেন্স’ নিয়ে আসাই হবে আমাদের লক্ষ্য৷ আর সমাজের সব শ্রেণির মানুষের স্বার্থেই সেটা করতে হবে আমাদের৷’’

সামাজিক গণতন্ত্রী দল বা এসপিডি’র চেয়ারম্যান জিগমার গাব্রিয়েল বলেন, ‘‘আমরা মনে করি বর্তমান পরিস্থিতিতে স্টাইনব্রুক হচ্ছেন জার্মানির চ্যান্সেলর হওয়ার সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি৷’’ প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে নিজ খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল বা সিডিইউ’র অভ্যন্তরীণ ভোটাভোটুতে ৯৮ শতাংশ সমর্থন পান আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

হ্যানোফারে ভোটের পর উচ্ছ্বসিত স্টাইনব্রুকছবি: Reuters

আগের নির্বাচনে এসপিডি প্রার্থী এবং পরে জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ারের আমল থেকেই দলের মধ্যে, বিশেষ করে অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন স্টাইনব্রুক৷ বিশ্ব আর্থিক মন্দার শুরুতে তাঁর মন্তব্য ছিল নজর কাড়ার মতো৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই সংকটের পর বিশ্ব আর আগের অবস্থায় থাকবে না৷ আর্থিক পরাশক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মর্যাদা চূড়ান্তভাবে হারিয়ে ফেলার পর, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় বহু-মেরু বিশিষ্ট এক কাঠামোর সৃষ্টি হবে৷’’

সে সময় পেয়ার স্টাইনব্রুকের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে, আগামী ১০ বছরে ডলারের পাশাপাশি ইউরো, চীনের ইউয়ান এবং জাপানের ইয়েন আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ তাছাড়া বিশ্বের বড় রকমের আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য চীন ও রাশিয়ার সহায়তা হয়ে উঠবে অপরিহার্য৷

সমাজের সব শ্রেণির মানুষের স্বার্থ দেখতে চান এসপিডি প্রার্থীছবি: dapd

স্টাইনব্রুকের ঢিল ছোঁড়া

তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে স্টাইনব্রুকের বিখ্যাত ‘ভুল’-এর কথা জানেন না, এমন জার্মান কম আছেন৷ গত নির্বাচনের সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচনে ‘লাল’ সামাজিক গণতন্ত্রীদের ‘হলুদ’ মুক্ত গণতন্ত্রী এবং সবুজদের সঙ্গে তথাকথিত ‘ট্র্যাফিক লাইট’ জোট গড়ার সম্ভাবনা কম৷ কারণ মুক্ত গণতন্ত্রীরা তার বিরোধী৷ কাজেই লাল-সবুজরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, চলতি ‘বৃহৎ জোটেই’ বা আপত্তি কিসের?’’

স্টাইনব্রুকের এই মন্তব্যে শুধু জার্মান ভোটাররাই যে চমকে যায়, এমন নয়, এসপিডি’র মধ্যেও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক৷ অবশ্য স্টাইনব্রুক পরে আবার লাল-হলুদ-সবুজের সপক্ষেও মতপ্রকাশ করেন৷

তাই এবার ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হলে, স্টাইনব্রুককে এমন ভুল এড়িয়ে চলতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ