ম্যার্কেলের শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টায় শলৎস
৩০ আগস্ট ২০২১জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের আর এক মাসও দেরি নেই৷ এদিকে অনেক ভোটার এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেন নি৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জনপ্রিয়তার বিচারে কোনও দলের শীর্ষ নেতা এখনো বাকিদের তুলনায় তেমন ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারেন নি, যে তিনি নিজের দলকে আগামী সরকারের নেতৃত্বের আসনে বসাতে পারেন৷ এমনই প্রেক্ষাপটে রবিবার তিন শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর মধ্যে প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হলো৷ নির্বাচনের আগে আরও দুটি অনুষ্ঠানে শীর্ষ প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার সুযোগ পাবেন৷ ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে এই প্রথম দুইয়ের বদলে তিন জন শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে ‘ট্রিয়েল' অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ ও বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের সম্মিলিত প্রার্থী এবং নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেটের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না৷ নিজের শিবিরসহ বৃহত্তর সমাজেও তিনি সমর্থন আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছেন৷ রোববার প্রায় দুই ঘণ্টার টেলিভিশন বিতর্কেও তিনি নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রচেষ্টায় তেমন সফল হন নি৷ এসপিডি দলের প্রার্থী এবং বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও সবুজ দলের প্রার্থী আনালেনা বেয়ারবককে একাধিক নীতির প্রশ্নে আক্রমণ করেও লাশেট হারানো জমি উদ্ধার করতে পারেন নি৷ বিতর্কের পর এক সমীক্ষা অনুযায়ী শলৎস ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন যে শলৎসের জয় হয়েছে৷ বেয়ারবকের পক্ষে ৩০ শতাংশ ও লাশেটের পক্ষে মাত্র ২৫ শতাংশ রায় দিয়েছেন৷ তবে কোনো প্রার্থীই এখনো জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছতে পারছেন না৷
রবিবারের টেলিভিশন বিতর্কে আফগানিস্তান সংকট, পরিবেশ বিপর্যয় ও করোনা মহামারির মতো সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছিল৷ তিন প্রার্থীই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জার্মানির ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার পক্ষে সওয়াল করেন৷ তবে বেয়ারবক বর্তমান মহাজোট সরকারের দুই দলের প্রতিনিধি হিসেবে লাশেট ও শলৎসকে আফগানিস্তানে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেন৷ তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থে পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত দায়িত্ব জলাঞ্জলি দেবার অভিযোগ করেন৷
তিন প্রার্থীই করোনা মহামারি সত্ত্বেও ভবিষ্যতে কড়া লকডাউন এড়িয়ে চলার অঙ্গীকার করেন৷ তাঁদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এমন কড়াকড়ির আর প্রয়োজন পড়বে না৷ সেই লক্ষ্যে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে৷
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিদায়ী সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখায় নি বলে বেয়ারবক অভিযোগ করেন৷ ক্ষমতায় এলে তিনি আরও জোরালো পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেন৷ লাশেট ও শলৎস এ ক্ষেত্রে সরকারের ‘সাহসি' পদক্ষেপ ও নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷ লাশেট সবুজ দলের নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এমন পদক্ষেপ নিলে জার্মানির শিল্প-বাণিজ্য জগতের মারাত্মক ক্ষতি হবে৷
এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)