জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তাঁর দল সিডিইউ-র সদস্য নর্বাট ব়্যোয়েটগেন বলেছেন, ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়বেন৷
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য দেন ব়্যোয়েটগেন৷ সিএনএনের সাংবাদিক ফ্রেড প্লাইটগেন তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ম্যার্কেল আরও একবার চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়বেন কিনা৷ উত্তরে সিডিইউ-র এই রাজনীতিবিদ সরাসরি বলেন, ‘‘তিনি (ম্যার্কেল) চ্যান্সেলর পদে লড়বেন৷'' সঙ্গে ব়্যোয়েটগেন এ-ও যোগ করেন যে, ম্যার্কেল ‘‘ইন্টারন্যাশনাল লিবারেল অর্ডার শক্তিশালী করতে চান এবং এর জন্য তিনি প্রস্তুত৷''
এরপর সাংবাদিক প্লাইটগেন ব়্যোয়েটগেনের কাছে জানতে চান ম্যার্কেল কি ট্রান্স-আটলান্টিক অঞ্চলের লিবারেল অর্ডার বজায় রাখতে আগ্রহী কিনা৷ উত্তরে তিনি বলেন, ম্যার্কেল ‘‘পশ্চিমা বিশ্বের এই রাজনৈতিক মতাদর্শের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি৷'' তবে ম্যার্কেলের একার পক্ষে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে সতর্ক করে দেন তিনি৷ তিনি মনে করেন, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন৷
তবে জার্মান সরকার ও সিডিইউ দল বলেছে, তারা ব়্যোয়েটগেনের মন্তব্য নিশ্চিত করছে না বা প্রত্যাখ্যানও করছে না৷
গত ১১ বছর ধরে চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করা ম্যার্কেল অতীতে বলেছিলেন, উপযুক্ত সময়ে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন৷
ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন জাইবার্ট টুইটারে লিখেছেন, ‘‘কোনো কিছুই পরিবর্তিত হয়নি৷ উপযুক্ত সময়ে চ্যান্সেলরই জানাবেন তিনি আরেক মেয়াদের জন্য লড়বেন কিনা৷''
এদিকে কয়েকটি জার্মান গণমাধ্যম জানাচ্ছে, রবিবার সিডিইউর পরিচালনা পরিষদের বৈঠকের সময় ম্যার্কেল পুনরায় নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানাতে পারেন৷
নানা মুডে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সারা বিশ্বের মিডিয়া জুড়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছবি৷ তাঁর সরকারি মুখাবয়ব প্রায়শই গম্ভীর, কথা বলেন সুচিন্তিতভাবে৷ ছবি তোলেন দু’হাতের আঙুলগুলো জুড়ে, তাঁর সুপরিচিত ভঙ্গি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুবিখ্যাত ম্যার্কেল মুদ্রা
ব্রীড়া থেকেই হোক, বা ঝানু রাজনীতিকের পরিশীলিত ভঙ্গিই হোক, ম্যার্কেল যে হাতের আঙুলগুলো জোড়া দিয়ে কী বলতে চাইছেন, তা তিনি নিজেই জানেন...
ছবি: picture-alliance/dpa/Michael Kappeler
ইউরোপীয় রাজনীতিক
সার্বভৌম, উৎসাহী অথচ নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ছবিতে তিনি ব্রাতিস্লাভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষবৈঠকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
উদ্বাস্তু সংকট ম্যার্কেলের রাজনৈতিক জীবনে একটা বড় প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও গতবছর বার্লিনের মারৎসান এলাকার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সিরিয়া থেকে আগত এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সরকারপ্রধান
চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলকে দেখা যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা ও ভূমিকায়৷ সঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নারীসুলভ
হঠাৎ কিছুটা অন্তরঙ্গতা ও একটি হাসি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদকেও পার্ফেক্ট জেন্টলম্যান বলা চলে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
জোট সরকার
ম্যার্কেলের দুই জোট সহযোগী, এসপিডি প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল ও সিএসইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফারকে দেখলে বোঝা যায়, ‘অ্যাঞ্জি’ মাথা ঠান্ডা না রাখলে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. von Jutrczenka
বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি
পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারিনী ম্যার্কেলের ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর জন্যে খুব একটা সময় থাকে না৷ তবে টুইট করতে ভালোবাসেন৷ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের একটি ফোরামে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সঙ্গে আগ্রহ নিয়েই আলোচনা করছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
যাজক তনয়া
২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ প্রটেস্টান্ট যাজকের কন্যা ম্যার্কেলের পক্ষে একটি বিশেষ মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters/A. Pizzoli
শ্যাম্পেন পান করার মতো উপলক্ষ্য চাই
যেমন জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে এলিসি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি৷
ছবি: AP
ক্ষমতার নেশা চেনেন ম্যার্কেল
২০১১ সালে ডয়চে ব্যাংকের প্রধান ইয়োসেফ আকারমান-এর সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত চলতি আর্থিক সংকট নিয়েই কথা হয়েছিল৷
ছবি: AP
ছুটিছাটায়
চ্যান্সেলরও মানুষ, তাঁরও ছুটি লাগে৷ তবে ছুটিতেও পাপারাৎসিদের হাত থেকে মুক্তি নেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ ছবিতে তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে (বাঁয়ে)৷
ছবি: dapd
সে অনেকদিন আগের কথা
তরুণ সিডিইউ রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেল দলীয় সতীর্থ আনেট শাভান ও প্রবীণ সিডিইউ রাজনীতিক এর্ভিন টয়ফেল-এর সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানিতে সাইকেল টুরে৷ তখনও তাঁর মুখে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমতার ছাপ পড়েনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
12 ছবি1 | 12
সিএনএনের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলের রাজনৈতিক প্রতিবেদক রুপার্ট ভিডারভাল্ড বলেন, ‘‘ব়্যোয়েটগেন ম্যার্কেলের পক্ষ হয়ে কথা বলেছেন, নাকি তাঁর অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, সেটি পরিষ্কার নয়৷'' এই সময়ে ম্যার্কেলের প্রার্থিতা ঘোষণা করা ‘পরিষ্কারভাবেই' যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের এই সাংবাদিক৷
২০১৫ সালে জার্মানিতে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে জার্মানদের কাছে অজনপ্রিয় হয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ মার্কিন নির্বাচনের আগে এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ জার্মান চান ম্যার্কেল চ্যান্সেলর পদে থেকে যান৷ তবে গত সপ্তাহে সংখ্যাটি বেড়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে৷
‘মুক্ত বিশ্বে'র নতুন নেতা ম্যার্কেল?
বার্তা সংস্থা এএফপি এই শিরোনাম দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বের মূল্যবোধ রক্ষার দায়িত্ব এখন ম্যার্কেলের ঘাড়ে চাপছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন৷ ইতিহাসবিদ ও কলামিস্ট টিমোথি গার্টন গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, ‘‘আমি বলতে আনন্দ বোধ করছি যে, মুক্ত বিশ্বের নেতা এখন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷''
জার্মানির বামপন্থি দৈনিক টাৎস লিখেছে, ‘‘ম্যার্কেল... হঠাৎ করেই মুক্ত, গণতান্ত্রিক আর উদারপন্থি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন৷''
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের আগে ইউরোপ সফরে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইংল্যান্ডে না গিয়ে জার্মানিতে আসার ঘটনাকেও একটি সংকেত হিসেবে দেখছে এএফপি৷ এই ঘটনাকে ‘ম্যার্কেলের কাছে ব্যাটন হস্তান্তর' বলে মনে করছে বার্তা সংস্থাটি৷ ইউরোপ সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা ম্যার্কেলকে গত আট বছরে (সম্ভবত) তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক সহযোগী বলে উল্লেখ করেছেন৷
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ম্যার্কেলের দেয়া বক্তব্যের প্রশংসা হচ্ছে অনেক৷ ম্যার্কেল বলেছিলেন, ‘‘(সব মানুষের) জন্ম, গাত্রবর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, যৌন প্রবণতা বা রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও মানবমর্যাদার মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা জার্মানি ও অ্যামেরিকার মধ্যে যোগসূত্র৷ এই মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রস্তাব দিচ্ছি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জার্মানির বিদেশনীতির ভিত্তি ও ভবিষ্যতেও তাই থাকবে৷''
‘‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে ম্যার্কেল বাস্তব বিশ্বের নেতার দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহ দেখালেন এবং ট্রাম্পকে মূল্যবোধের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলেন,'' বলে মনে করছে জার্মান দৈনিক ডি ভেল্ট৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর ব্যক্তিগত জীবন
তিনি সুপার মার্কেটে বাজার করেন, নাপিতের দোকানে অন্যদের পাশে বসে অপেক্ষা করেন, এমনকি সরকারি ভবন নয়, নিজের বাড়িতে থাকাই তাঁর পছন্দ৷ তিনি আর কেউ নন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
ম্যার্কেলের নাপিত উডো ভালৎস
২০১৫ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ উডো ভালৎস (ছবিতে মাঝখানে) গত দশ বছর ধরে ম্যার্কেলের চুল কাটেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘চ্যান্সেলার হওয়ার আগেও তিনি যেমন সেলুনে অন্যদের সাথে বসতেন, এখনও তাই করেন৷ তাঁকে কোনো বিশেষ ছাড় দেওয়া হয় না৷ অর্থাৎ তিনিও অন্যদের মতো ৬৫ ইউরো দেন৷ একদম আগের মতো আছেন তিনি৷’’
ছবি: picture-alliance/schroewig
নিজেদের বাড়িতেই থাকেন
বার্লিনের ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’-এর একটি জাদুঘরের কাছে নিজস্ব, কিন্তু পুরানো একটা ফ্ল্যাটে থাকেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ার৷ শুধু নিরাপত্তার জন্য দু’জন পুলিশ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে৷ এছাড়া কিন্তু সব কিছু আগের মতো আছে৷ এই যেমন, ছুটি পেলে আজও কাছের উকারমার্ক নামের ছোট্ট শহরে চলে যান দু’জনে৷ সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
নিজেই বাজার করেন
চ্যান্সেলার ম্যার্কেল সাধারণ সুপার মার্কেটেই বাজার করতে যান, বিশেষ করে যেগুলো একটু বেশি সময় খোলা থাকে৷ বাজার করা সম্পর্কে আঙ্গেলা ম্যার্কেল একবার এক দোকানিকে বলেছিলেন, ‘‘আমার এই অল্প অবসর সময়ে বাজার করার মতো সব কাজই করার চেষ্টা করি, যেমনটা আগে করতাম৷ অবশ্য যখন নিজে পারি না, তখন বাজারের লিস্ট তৈরি করে স্বামীর হাতে তুলে দেই৷’’
ছবি: picture-alliance/Markus C. Hurek
তিনিই ‘চ্যান্সেলার’
দোকানের একজন নারী কর্মী জানান, ‘‘চ্যান্সেলার ম্যার্কেল অন্যান্য ক্রেতার মতোই কিছু খুঁজে না পেলে কোথায় কী রাখা আছে, তা সাধারণ গৃহিনীদের মতোই জানতে চান৷ তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী সাথে না থাকলে কেউ হয়ত বুঝবেই না যে তিনিই আমাদের ‘অ্যাঞ্জি’৷’’ কর্মীটি আরো জানান, ‘‘শত ব্যস্ততার মধ্যেও কিন্তু চ্যান্সেলারের মুখে হাসিটুকু লেগে থাকে, যা ভীষণ ভালো লাগে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
চ্যান্সেলারের পছন্দ ফ্রেঞ্চ চিজ
জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ভীষণ পছন্দ ফ্রেঞ্চ চিজ বা পনির, যা তিনি নিজেই কিনতে ভালোবাসেন৷ আর সে’কথাই গর্ব করে জানান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের একজন কর্মী৷
হাতে দামি ব্যাগ নেওয়ার চেয়ে ভালো খাওয়া-দাওয়া ম্যার্কেলের কাছে বেশি গুরত্বপূর্ণ৷ যখন তিনি রান্না করার সময় পান না, তখন স্বামী ইওয়াখিম সাউয়ারকে নিয়ে বার্লিনের ‘কাসামবালিস’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান৷ দামি খাবারের চেয়ে অবশ্য ‘গ্রিক মিটবল’-এর মতো সাধারণ খাবারই বেশি পছন্দ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই নারীর৷
ছবি: picture alliance/Markus C. Hurek
বিলাসিতা পছন্দ নয়
অন্যান্য রাজনীতিকদের মতো বিলাসিতা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের তেমন পছন্দ নয়৷ বরং সাধারণ জীবনযাপনই তাঁর বেশি ভালো লাগে৷ তাই তিনি যতটা সম্ভব সেভাবেই চলার চেষ্টা করেন স্বামীকে নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Fusco
চাই মুক্ত হাওয়া আর হাঁটা-চলা
আঙ্গেলা ম্যার্কেল সময় সুযোগ পেলে স্বামীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হন৷ শারীরিক এবং মানসিকভাবে ‘ফিট’ থাকতে মুক্ত বাতাসে হাঁটা-চলা যে ভীষণ জরুরি – সেটা তিনি যেন সকলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন৷ এই না হলে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী!
ছবি: picture-alliance/AP Photo/AP Photo/C. De Luca