1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কোজি

১৫ এপ্রিল ২০১২

২২শে এপ্রিল ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন৷ প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছেন৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রঁসোয়া ওলঁদ৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel, links, und der franzoesische Praesident Nicolas Sarkozy, rechts, am Mittwoch, 16. Mai 2007, auf dem Roten Teppich vor dem Bundeskanzleramt in Berlin. (ddp images/AP Photo/Franka Bruns) --- German Chancellor Angela Merkel, left, and newly inaugurated President of France, Nicolas Sarkozy, right, at the chancellery in Berlin, Wednesday, May 16, 2007. (ddp images/AP Photo/Franka Bruns)
Deutsche Staats- und Regierungschefs auf Antrittsreiseছবি: FRANKA BRUNS/AP/dapd

নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউরো সংকট৷ ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজিকে সব ধরণের সাহায্য এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ রসিকতা করে দুই নেতাকে একসঙ্গে ‘ম্যার্কোজি' বলা হচ্ছে৷

ফেব্রুয়ারি মাসে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সেই সাক্ষাৎকারে ম্যার্কেল সরাসরি এবং বেশ স্পষ্ট করেই বলেন যে, নিকোলা সার্কোজির নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সব ধরণের সাহায্য এবং সহযোগিতা তিনি করবেন৷ এর লক্ষ্য ছিল জার্মানির সাফল্যের মডেলটি ফ্রান্সের আরো কাছে নিয়ে যাওয়া৷ বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের সংস্কারের সাহায্যে ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা কীভাবে ম্যার্কেল সামলেছেন, তা দেখানো এবং শেখানো৷ কথাগুলো জানান ‘জার্মান কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেসনস'-এর ক্লেয়ার দেমেসমে৷ তিনি বললেন, ‘‘দেখুন, জার্মানি কিন্তু যা করতে চেয়েছে তা পেরেছে৷ এটা খুবই কষ্টকর ছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা গেছে৷ কিন্তু আমরা যখন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেই তা ঠিকভাবে করার চেষ্টা করি৷ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তা করি৷ এটা দায়িত্বজ্ঞানের প্রশ্ন৷ কোন কাজ কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে তা ঠিক করার, সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়৷''

নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ইউরো সংকট৷ছবি: picture alliance/dpa

বিভিন্ন ধরণের সংস্কারের কথাও নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নিকোলা সার্কোজি বলেছেন৷ জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্রোডার বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলে ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ সেই একই পথে এগোচ্ছেন সার্কোজি৷ এ প্রসঙ্গে ক্লেয়ার দেমেসমে জানান,‘‘ইউরোপে একটি আধুনিক বামপন্থী শিবির রয়েছে৷ এদের চিন্তা-ভাবনা অন্য রকম৷ এই দলটি বিভিন্ন ধরণের সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পিছপা হবে না৷ কিন্তু ফ্রান্সে যে বামপন্থী দলটি রয়েছে সেই দলটির চিন্তা-চেতনা অনেকটা সেকেলে৷ হ্যাঁ, আমি সমাজতন্ত্রী দল এবং ফ্রঁসোয়া ওলঁদ'এর কথা বলছি৷ আর তাই নিকোলা সার্কোজি সেই দলটি বিভিন্নভাবে আক্রমণের চেষ্টা করেছেন৷''

কিন্তু তারপরেও নিকোলা সার্কোজির কৌশল যেন কাজ করছে না৷ যদিও ফ্রান্সের মানুষরা জানেন যে, জার্মানি বিভিন্ন দেশকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করছে আর তাছাড়া জার্মানিতে অর্থনৈতিক মন্দার কোনো প্রভাব পড়েনি৷ কিন্তু তারপরেও ‘জার্মানির মডেল'-এ তারা যেন ঠিক মেনে নিতে পারছে না৷ ক্লেয়ার দেমেসমে আরো জানান, ‘‘একথা ঠিক যে ফ্রান্সের মানুষরা কোনোভাবেই এই মুহূর্তে কোনো মডেল অনুসরণ করতে আগ্রহী নয়৷ সেটা যতো ভালো মডলেই হোক না কেন৷ আর বিশেষ করে তা যদি জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মতো হয় বা আশেপাশের দেশ থেকে হয় - তাহলে তো কথাই নেই! ফ্রান্সের মানুষরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে চায়৷ তারা তাদের সার্বভৌমত্ব কিছুতেই হারাতে চায় না৷ অন্য কোনো দেশ বা অন্য কোনো রাজনীতিক তাদের নির্বাচনে কোনো ধরণের প্রভাব বিস্তার করুক, তা তারা একেবারেই পছন্দ করছে না বা করবে না৷ সার্বভৌমত্ব ফরাসিদের জন্য শুধু একটি শব্দ নয়৷ এর গুরুত্ব অপরিসীম৷ প্রতিটি নির্বাচনেই দেখা গেছে যে, এই শব্দটি ব্যবহার করছে প্রতিটি প্রার্থী৷ তাই প্রতিটি ভোটার যদি কোনভাবে টের পেয়ে যায় যে তাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই তাহলে তারা আর যাই হোক কিছুতেই সন্তোষ প্রকাশ করবে না৷''

ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীরাছবি: dapd/AP

একই কথা বলেন ফ্রি ইউনিভার্সিটি বার্লিনের এতিয়েন ফ্রঁসোয়া৷ তিনি বিশ্বাস করেন যে, ম্যার্কেলের সাহায্য, প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাস হিতে বিপরীত হবে৷ সার্কোজি যদি ম্যার্কেলের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তাহলে তিনি ভোট হারাতে পারেন৷ তিনি জানালেন, ‘‘সার্কোজি এসবের মধ্যে দিয়ে কোনো অবস্থাতেই বেশি ভোট পাবেন না৷ বরং এর উল্টোটা হবে৷ এর মধ্যে অনেকে হয়তো ধরে নিতে পারে যে, সার্কোজি নির্বাচনে হয়তো হেরেই গেছে৷ তবে সবাই অপেক্ষা করছে প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর৷ সেখানে কী হয়, কে এগিয়ে থাকে সেটাই হল দেখার বিষয়৷ তবে একটি বিষয় পরিষ্কার – তা হল, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সাহায্য এবং প্রতিশ্রুতি নিকোলা সার্কোজিকে বিজয়ীর মুকুটটি পরাতে সক্ষম হবে না৷''

এছাড়া নিকোলা সার্কোজি শেঙেন দেশগুলোর সঙ্গে যে চুক্তি রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন৷ এর ফলে অনেক ফরাসিই বিরক্ত হয়েছে৷ তারা ঝুঁকে পড়ছে অন্য দলগুলোর দিকে৷ এরপর ঘটলো তুলুজের ঘটনা৷ সেই ঘটনার সুযোগ নিলেন সার্কোজি৷ পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন স্কুলের বাচ্চাদের৷ সহানুভূতি জিতলেন অনেকেরই৷ দেশের নিরাপত্তাকে স্থান দিলেন সব কিছুর ঊর্ধ্বে৷ এবার শুধু অপেক্ষার পালা৷

প্রতিবেদন: ডাফনে গ্রাটভোল/মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ