1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন নীতি নিয়ে বিরোধ

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার সপক্ষে, ম্যার্কেল এবং ওলঁদ নন৷ এই বিরোধ প্রধানত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের পক্ষে সুবিধাজনক, যদিও তা অতীতের ‘ঠান্ডা লড়াই'-এর স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে৷

Deutschland Münchner Sicherheitskonferenz 2015 MSC Angela Merkel
ছবি: AFP/Getty Images/C. Stache

আবার একটি মিনস্ক শীর্ষ বৈঠক ঘটতে চলেছে – আগামী বুধবার – এবং সেই বৈঠকে ম্যার্কেল এবং ওলঁদ ছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন উপস্থিত থাকবেন: এটাকে ম্যার্কেল-ওলঁদ দৌত্বের ফসল বলা চলে৷ লক্ষণীয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই গোলটেবিলে উপস্থিত থাকছে না৷

তার কারণটা সহজেই অনুমেয়: হোয়াইট হাউস আভাস দিয়েছে যে, গোড়ায় ইউক্রেনকে অস্ত্রদানের বিরোধিতা করলেও, প্রেসিডেন্ট ওবামা নাকি এখন ঠিক সেই পদক্ষেপই বিবেচনা করছেন৷ অপরাপর মার্কিন রাজনীতিক ও কর্মকর্তা কখনো ইউরোপীয়দের উপর চাপ বৃদ্ধি করছেন, কখনো ইউরোপীয়দের সঙ্গে সংহতির কথা বলছেন, যেমন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, যিনি এনবিসি টেলিভিশন সংস্থার সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তিনিও কূটনৈতিক সমাধানের জন্য সচেষ্ট, কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুটিনকে উত্তেজনা হ্রাসের জন্য কিছু করতে হবে৷

গ্রেপ্তারকৃত রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে পাওয়া রুশি পাসপোর্ট দেখাচ্ছেন পোরোশেঙ্কো (মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন)ছবি: Reuters/M. Dalder

‘‘(পুটিনকে) স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, আমরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও (রাজ্যাঞ্চলীয়) সংহতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর, তার মূল্য যাই হোক না কেন'', বলেছেন কেরি, এবং ‘আমরা' বলতে তিনি অবশ্যই ইউরোপীয় এবং মার্কিনিদের বুঝিয়েছেন৷ অপরদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সপ্তাহান্তে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বলেছেন: ‘‘আমরা ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সাহায্য দিয়ে যাব – যুদ্ধে প্ররোচনা দেবার জন্য নয়, বরং ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার ক্ষমতা দেবার জন্য৷''

এখন প্রশ্ন হলো, বুধবারের নয়া মিনস্ক বৈঠক থেকে কি প্রত্যাশা করা যেতে পারে৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন মিউনিখে মার্কিন সমালোচনার প্রত্যুত্তরে বলেন: ‘‘দু'পক্ষের স্বার্থের মধ্যে এমন একটা ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব হওয়া উচিত, যা (ইউক্রেন) রাষ্ট্রের (রাজ্যাঞ্চলীয়) সংহতির গ্যারান্টি দেবে, আবার (বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য) পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বায়ত্তশাসনের গ্যারান্টি দেবে৷''

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি (মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন)ছবি: Jim Watson/AFP/Getty Images

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে যে, ইউক্রেন সংক্রান্ত নতুন শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তি হবে সেপ্টেম্বরের সমঝোতা৷ ওদিকে প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ ফরাসি টেলিভিশনকে বলেছেন যে নতুন প্রস্তাবে চলতি ‘ডিমার্কেশন' রেখার দু'পাশে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার ‘ডিমিলিটারাইজড জোন' রাখার কথা বলা হয়েছে৷ দৃশ্যত পোরোশেঙ্কো এই নতুন শর্তে সুখি নন, কেননা সেপ্টেম্বর যাবৎ ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আরো এলাকা হারাতে হয়েছে৷ তাই পোরোশেঙ্কো বলেছেন: ‘‘শুধু একটিই (ডিমার্কেশন) রেখা আছে, এবং সেটি হলো মিনস্ক চুক্তির (ডিমার্কেশন) রেখা৷''

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ