1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ম্যার্কেল গণতন্ত্রকে হেয় করছেন'

২৬ জুন ২০১৭

জার্মানির আগামী নির্বাচনের প্রচারে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর ইউনিয়ন শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করলেন এসপিডি দলের নেতা মার্টিন শুলৎস৷ দলীয় কর্মসূচিতে সামাজিক ন্যায়কে তুলে ধরে ভোটারদের মন জয় করতে চায় তাঁর দল৷

ছবি: Reuters/W. Rattay

বাংলাদেশে বিএনপি, ভারতে কংগ্রেস বা অ্যামেরিকায় ডেমোক্র্যাট দলের মতো জার্মানিতে এসপিডি দলও বর্তমানে এতটাই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে যে; নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করা বড়ই কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে৷ তাছাড়া জার্মানির মহাজোট সরকারে শরিক দল হিসেবে জোটসঙ্গী ইউনিয়ন শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগানোও সহজ কাজ নয়, কারণ, তারা সরকারি নীতির ভাগিদারও বটে৷ জনমত সমীক্ষায় ইউনিয়ন শিবিরের তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে এসপিডি৷ এই অবস্থায় আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে সপ্তাহান্তে দলীয় সম্মেলনে প্রধান প্রার্থীসহ দলের নেতারা বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি তুলে ধরলেন৷

সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নেতা ও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী মার্টিন শুলৎস মনোনয়নের পর জনমত সমীক্ষায় দল বেশ ভালো ফল করছিল৷ কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সমর্থন আবার কমে এসেছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর সিডিইউ ও সহযোগী সিএসইউ দলের ইউনিয়ন শিবির বেশ বড় ফারাকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে৷

আসলে জার্মানির দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবিরের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হলো, তারা কেউ ভোটারদের সামনে এখনো খোলসা করে বলছে না, আগামী সরকার গড়লে তারা ঠিক কী কী কাজ করতে চান৷ সেই রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে ভোটারদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে৷ কিন্তু ইউনিয়ন শিবির ম্যার্কেলের বিপুল জনপ্রিয়তা ও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাকে সম্বল করে অগ্রসর হচ্ছে৷ রবিবার এসপিডি দল চাপের মুখে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করলো৷ ফলে নির্বাচনি প্রচার এবার জমে উঠবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

মার্টিন শুলৎস ইউনিয়ন শিবির ও চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর অভিযোগ, ইউনিয়ন শিবির কোনো বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান না নিয়ে আগামী নির্বাচনে ভোটদানের হার কম রাখতে চাইছে, যাতে আখেরে তাদের সুবিধা হয়৷ তাঁর মতে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হেয় করা হচ্ছে৷ ভোটারদের প্রতি এসপিডি দলের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, সম্পদের আরও ন্যায্য বণ্টন৷ বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য ছাড়, উচ্চবিত্তদের উপর করের বোঝা বাড়াতে চায় সামাজিক গণতন্ত্রীরা৷ গোটা দেশে কিন্ডারগার্টেন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার অঙ্গীকার করছে এই দল৷ তাছাড়া পরিবার ও পেশার মধ্যে আরও ভারসাম্য আনতে পদক্ষেপ নিতে চায় এসপিডি৷ মোটকথা, সামাজিক ন্যায়ের বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিতে বদ্ধপরিকর এই দল৷ নির্বাচনি প্রচারে এই সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগামী সরকারে প্রধান ভূমিকা পালন করার লক্ষ্য স্থির করেছে এসপডি৷

এসপিডি দলের কর্মসূচি সম্পর্কে অন্যান্য দলগুলির মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ আক্রমণের লক্ষ্য হলেও ইউনিয়ন শিবির মোটেই বিচলিত নয়৷ তাদের মতে, জনসমর্থন কমে আসায় এসপিডি দল বিভ্রান্তের মতো আচরণ করছে৷ জার্মানির বাম দল ‘ডি লিংকে' হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, এসপিডি এখনো তাদের মূল বামপন্থি অবস্থানে ফিরে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ ফলে ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গে তাদের কর্মসূচির পার্থক্য বড় কম৷ তাই ভোটারদের এমন দলের প্রয়োজন নেই৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ