1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলই ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার'

ফেলিক্স স্টাইনার/এসি১০ ডিসেম্বর ২০১৫

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৫ সালের ব্যক্তিত্ব৷ টাইম শুধু তাঁর ভালোর দিকগুলোই দেখেছে ও দেখিয়েছে৷ সে কারণেই এর সাথে কিছু সমালোচনা যোগ করেছেন ফেলিক্স স্টাইনার৷

Deutschland Angela Merkel Bundeskanzlerin
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele

টাইম ম্যাগাজিনের ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হওয়াটা যে সবসময়ে খুব বাহাদুরি নয়, বরং তার উল্টোটাই হতে পারে৷ তাই সেটাও ভেবে দেখা দরকার৷ ১৯৩৮, ১৯৪২ ও ১৯৭৯ সালের ‘ব্যক্তিত্বরা' ছিলেন যথাক্রমে আডল্ফ হিটলার, জোসেফ স্টালিন এবং আয়াতুল্লা খামেনি৷ আর এ বছর ম্যার্কেলের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট'-এর নেতা আবু-বকর আল-বাগদাদি৷ তবুও টাইম তার ‘টুইট ফিডে' যে কভারটি দেখিয়েছে, সেটা হলো:

যাজক তনয়া

টাইম ম্যাগাজিন যে ম্যার্কেলকে সু- এবং শ্রদ্ধার নজরে দেখছে, তার প্রমাণ: পত্রিকাটির প্রচ্ছদে ম্যার্কেলের যে প্রতিকৃতি দেওয়া হয়েছে, তার পাশে লেখা রয়েছে, ‘আঙ্গেলা ম্যার্কেল, মুক্ত বিশ্বের চ্যান্সেলর'৷ খেয়াল করবেন, মুক্ত বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী অনেক আছেন, চ্যান্সেলর কিন্তু সামান্য কয়েকজন৷ কাজেই খেতাবটা দেখতে যতটা ওজনদার, ভাবতে ততটা ওজনদার নয়৷

টাইম-এর সম্পাদকরা ম্যার্কেলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ ম্যার্কেল যে একটির পর একটি সংকটে একটা গোটা মহাদেশকে ‘‘অনড় নৈতিক নেতৃত্ব'' দিয়েছেন – ইউক্রেন সংকট, ইউরো সংকট, উদ্বাস্তু সংকট ছাড়া প্যারিস সন্ত্রাসের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে – সে'কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ যাজক তনয়া ম্যার্কেলের ‘‘মানবতা, বদান্যতা ও সহিষ্ণুতার'' কথা বলেছেন সম্পাদকরা৷ প্রায় কবিতা করে লিখেছেন, ‘‘একজন নেতাকে এভাবে তাঁর সুপ্রাচীন, বেদনাদায়ক জাতীয় সত্তাকে পিছনে ফেলে যেতে দেখাটা বিরল৷''

এখন প্রশ্ন হলো, গ্রিসের অবসরভাতাভোগী অথবা কর্মহীনরা টাইম ম্যাগাজিনের সম্পাদকদের এই উচ্চ মনোভাবের ভাগীদার হবেন কিনা৷ মার্কিন মুলুকে ম্যার্কেলের গুণগ্রাহীরা হলেন উচ্চ আয়ের বামঘেঁষা বুদ্ধিজীবী, অথচ দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু খুব কম উদ্বাস্তু নিচ্ছে৷ ওদিকে জার্মান ভোটারদের মধ্যেও ম্যার্কেলের সমর্থন কমছে৷ জার্মান শহর আর পৌরসভাগুলোর প্রধান দুশ্চিন্তা হলো, আরো কত উদ্বাস্তু আসবে ও তাদের কোথায় রাখা হবে, তাই নিয়ে৷

ফেলিক্স স্টাইনার, ডয়চে ভেলে

শতভঙ্গ মহাদেশ, তবু রঙ্গে ভরা

জার্মানির বহু ইউরোপীয় প্রতিবেশীর কাছে আদত জার্মানিই ভালো ছিল, ম্যার্কেলের ক্ষমতাশীল জার্মানি নয়৷ এমনকি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে ‘‘নৈতিক সাম্রাজ্যবাদের'' অভিযোগ তুলেছেন এবং তাঁর সমব্যথীও জুটছে৷ বলতে কি, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তার কর্মক্ষমতার বিচারে শুধু ‘কাগজের বাঘ' বলেই মনে হচ্ছে৷ এই কি সঠিক নেতৃত্বের চেহারা?

আসলে টাইম ম্যাগাজিনের উদ্দেশ্য হলো, বছরের শেষে বিক্রি বাড়ানো৷ সেক্ষেত্রে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নিজস্ব মার্কার সামাজিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যে মনোমুগ্ধকর একটা কিছু আছে, তা অনস্বীকার্য, বিশেষ করে অ্যাটলান্টিকের অপরপার থেকে দেখলে তার ঝুঁকিটা যখন কম বলে মনে হয়৷

বন্ধুরা, ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হওয়ার জন্য জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল কি সত্যিই উপযুক্ত? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ