1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলকে পুরস্কার দিচ্ছে ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২১ নভেম্বর ২০১৩

বিশ্বে অসামান্য নেতৃত্বদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে দেয়া হবে ২০১৩ সালের ইন্দিরা গান্ধী শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়ন পুরস্কার৷ দুদেশের মৈত্রী সম্পর্ককে দৃঢ় করতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য৷

Indian Prime Minister Manmohan Singh (R) and German Chancellor Angela Merkel inspect a military honor guard during a welcoming ceremony at the Chancellery on April 11, 2013 in Berlin. Singh and key cabinet ministers meet for their second Indo-German intergovernmental consultations in Berlin. AFP PHOTO / JOHN MACDOUGALL (Photo credit should read JOHN MACDOUGALL/AFP/Getty Images)
ছবি: John Macdougall/AFP/Getty Images

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বে গঠিত এক আন্তর্জাতিক জুরি বিশ্ব শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে ২০১৩ সালের ইন্দিরা গান্ধী শান্তি, নিরর্স্ত্রীকরণ ও উন্নয়ন পুরস্কার দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ ইন্দিরা গান্ধীর ৯৬-তম জন্মবার্ষিকীতে একথা ঘোষণা করে নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট৷ বলা হয়, বিশ্বের আর্থিক সংকটকালে তিনি যেভাবে জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক হাল ধরেন এবং জার্মানির আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে গতি আনেন, তা এক কথায় দৃষ্টান্তমূলক৷

শুধু কী তাই? ভারত-জার্মান মৈত্রী সম্পর্ককে তিনি নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়৷ ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে বলা হয়, চ্যান্সেলার ম্যারকেল এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণাপত্রে দু'দেশের কৌশলগত সহযোগিতাকে মজবুত করেছে৷ ২০১১ সালে তাঁর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারত সফর এবং ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং-এর বার্লিন সফরে পারস্পরিক আলাপ আলোচনায় ভারতের ‘‘গ্রীন এনার্জি করিডর প্রকল্প'' চূড়ান্ত হয়, সম্প্রসারিত হয় আর্থিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা৷

ইন্দিরা গান্ধীছবি: picture-alliance/united archives

ইন্দিরা গান্ধী শান্তি, নির্স্ত্রীকরণ ও উন্নয়নের জন্য এই পুরস্কার শুরু হয় ১৯৮৬ সালে৷ প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয়া হয় যার অর্থমূল্য ভারতীয় টাকায় ২৫ লাখ৷ প্রথম প্রাপক সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখায়েল গর্ভাচভ৷ গত বছর এই পুরস্কার দেয়া হয় লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইলিয়ান জনসন স্যারলিফকে৷ অন্য যাঁরা পান, তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ইউনূস ১৯৯৮ সালে৷ প্রাপকদের মধ্যে ভারতীয় আছেন তিনজন৷ সংস্থা হিসেবে এই পুরস্কার দেয়া হয় ইউনিসেফকে ৮৯ সালে৷

চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জন্ম ১৯৫৪ সালে হামবু্র্গে৷ শিক্ষাগত দিক থেকে তিনি একজন পদার্থবিদ৷ ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল ভাঙার পরবর্তীকালে তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ৷ ধীরে ধীরে খ্রিষ্টান ডেমোক্রাটিক ইউনিয়ন দলে নিজের জায়গা করে নিয়ে তিনি হন দলের চেয়ারপার্সন৷ ২০০৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তিনি হন জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেত্রী৷

উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধী তাঁর জীবনকালে মানবিক মূল্যবোধকে বিসর্জন না দিয়ে যেভাবে ভারতীয় রাজনীতির আঙ্গিনায় দাপট দেখিয়ে গেছেন তা উপমহাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে৷ শুধু তাই নয়, শেখ মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধী ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধনকে এক স্থায়ী রূপ দিয়ে গেছেন৷

৮০-এর দশকে পাঞ্জাবের খালিস্থানী জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মাথা তুলছিল দেখে তা কড়া হাতে দমন করতে তিনি ‘‘ব্লু-স্টার'' অভিযান চালাবার আদেশ দেন সেনা বাহিনীকে৷ খালিস্তানি আন্দোলন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়৷ এ জন্য চরম মূল্য দিতে হয় তাঁকে৷ তাঁরই একজন শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ