1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের ইঞ্জিন

ব্যার্ন্ড রিগ্যার্ট/এসি৮ অক্টোবর ২০১৫

ইউরোপীয় ইউনিয়নে গতিবেগ আনে জার্মানি ও ফ্রান্স৷ স্ট্রাসবুর্গে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও প্রেসডেন্ট ওলঁদ-এর আবির্ভাব প্রতীতি উৎপাদন করেছে৷ এবার চাই কথার সঙ্গে কাজ, বলে মনে করেন ব্যার্ন্ড রিগ্যার্ট৷

Frankreich Ukraine-Gipfel Merkel und Hollande in Paris
ছবি: Reuters/R. Duvignau

দু'জনে সব কিছু একসঙ্গে করেছেন৷ এমনকি ম্যার্কেলের কোট ও ওলঁদের টাই-এর রং একই ছিল৷ দু'জনে একত্রে ইউক্রেনের পরিত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন, উদ্বাস্তু ত্রাণ করেছেন, এবং যারা জনতাকে খ্যাপাচ্ছে, তাদের হাত থেকে ইউরোপকে বাঁচিয়েছেন৷ উভয়ের বার্তা ছিল স্পষ্ট: তাঁরা দু'জনে একসঙ্গে৷ ইউরোপ তার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশ নীতি জনক চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে পারবে একটি জোরালো ফরাসি-জার্মান ইঞ্জিন থাকলে৷ ঠিক আজ থেকে ২৬ বছর আগে হেলমুট কোল ও ফ্রঁসোয়া ওলঁদ যেভাবে ইউরোপীয় সংসদে একসঙ্গে ভাষণ দিতে আসেন৷ তখন বিতর্কিত বিষয় ছিল পূর্ব-পশ্চিম সংঘাত ও জার্মানি তথা ইউরোপের ঐক্য৷ আজকের বিষয় হলো উদ্বাস্তু সংকট এবং ইইউ-এর ২৮টি সদস্যদেশে জাতীয়বাদী প্রবণতা পুনরায় মাথা চাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা৷ এ-ও একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফ্রঁসোয়া ওলঁদ তাদের ভূমিকা নিখুঁতভাবে পালন করেছেন৷ ম্যার্কেল দ্বিধাগ্রস্ত ইউরোপীয়দের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, তারা আপোশ করতে জানে – এবং তাদের আপোশ করার উৎসাহ দিয়েছেন৷ নয়ত আমরা যে ইউরোপকে চিনি, সে ইউরোপের অন্ত ঘটবে – সাবধান করে দিয়েছেন ওলঁদ৷ বলতে কি, দু'জনের বক্তব্যের মধ্যে কোনো ফারাক ছিল না৷

উভয়ে পরস্পরের বক্তৃতা পাঠ করেও শোনাতে পারতেন৷ সম্ভবত বার্লিনে চ্যান্সেলরের দপ্তর আর প্যারিসে এলিসি প্রাসাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে দু'টি বক্তৃতার খসড়া তৈরি করা হয়েছিল৷

দু'জনে অতি স্পষ্টভাবে জানান দিয়েছেন যে, ইউরোপের নেতৃত্ব তাঁদের হাতে – এবং যাবতীয় জাতীয়তাবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী, ইউরোনিন্দুকদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ ‘‘আমরা পারব'', জার্মানির জনগণকে বলেছেন ম্যার্কেল, যদিও ঠিক ঐ ভাষায় নয়৷ তবে ‘‘ম্যার্কোলঁদ''-এর এই সব উক্তি ইউরোপের জনগণকে প্রভাবিত করবে কিনা, তা এখনও অজ্ঞাত৷ ইউরোপীয় ধারণার প্রতি তাদের আস্থা এমনিতেই কমে আসছিল, এবং তা এই উদ্বাস্তু সংকটের অনেক আগে থেকেই৷

তবে সিরিয়া সংঘাত সমাধানের কোনো বাস্তব পন্থা বাতলাতেন পারেননি ম্যার্কেল ও ওলঁদ – উদ্বাস্তুদের দেশত্যাগের কারণ দূর করার উপায়ও বাতলাতেন পারেননি তাঁরা৷ এক্ষেত্রে আগামীতে তাঁদের আরো অনেক কিছু করতে হবে, যদি ইইউ-তে জার্মান-ফরাসি নেতৃত্বের দাবি জোরদার করতে হয়৷ আগামী সপ্তাহের সূচনাতেই ব্রাসেলসে যাবতীয় ইইউ সদস্যদেশের শীর্ষবৈঠক৷ স্ট্রাসবুর্গের মৈত্রী ও প্রীতি ব্রাসেলসে না-ও টিঁকতে পারে, যখন ইউরোপীয় উদ্বাস্তু তথা রাজনৈতিক আশ্রয়দানের নীতিকে একটি লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতকে আনতে হবে৷ ফরাসি-জার্মান ঐক্য থাকলে তা হয়ত সম্ভব হবে, কিন্তু সেই ঐক্য ছাড়া তা একেবারেই অসম্ভব৷

‘ম্যার্কোলঁদ' – এই শব্দটার মানে কী বলুন তো...? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ