1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্স এসেছে উট থেকে

৬ জুন ২০১৪

সৌদি আরবে সরাসরি উট থেকেই মানুষের শরীরে ম্যার্স ভাইরাস প্রবেশ করেছিল বলে এবার হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ ফলে পশু থেকে মানুষের শরীরে এমন সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়েই চলেছে ক্রমশ৷

Jordanien Wadi Rum Wüste Reise Tourismus Kamel Touristen Dromedar
ছবি: Getty Images

সৌদি আরব সহ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ম্যার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তা বেড়ে চলেছিল৷ এই রোগ সম্পর্কে এত কম তথ্য জানা গেছে, যে তার প্রসার রোধ করাও কঠিন কাজ৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা এই প্রথম সরাসরি প্রমাণ পেয়েছেন যে, উট থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস৷

সৌদি আরবে সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ৬৮৮ জন এই রোগের কবলে পড়েছে৷ এর মধ্যে ২৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, ম্যার্স এই অঞ্চল ছেড়ে ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর অ্যামেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়ছে৷

‘নিউ ইংল্যান্ড জার্মান অফ মেডিসিন' এবার ম্যার্স সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে৷ তবে এই গবেষণার ভিত্তি ৪৪ বছর বয়স্ক এক সৌদি পুরুষ, যিনি ন'টি উট পালন করতেন এবং ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ম্যার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, সেই ব্যক্তি একটি অসুস্থ উটের নাকে প্রাচ্যদেশীয় কোনো ওষুধ লাগিয়েছিলেন৷ মোট চারটি উটের নাক থেকে কোনো তরল বেরোচ্ছিল৷ এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর উটের মালিক ম্যার্স রোগে আক্রান্ত হন৷

গবেষকরা সেই মৃত উট ও তার মালিকের শরীরে ভাইরাস তুলনা করে দেখেছেন৷ জানা গেছে, যে দুটি ভাইরাসের জেনোম হুবহু এক ছিল৷ সব তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা যায়, যে সংক্রমিত উটের কাছে এসে তার মালিকের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করেছিল৷ এর আগের গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২০ বছর ধরে উটের শরীরে এই করোনা ভাইরাস দেখা গেছে৷ কিন্তু উট থেকে মানুষে সংক্রমণের কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি৷ এবার সৌদি আরবের আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিক মাদানির নেতৃত্বে এক বিশেষজ্ঞ দল এর সাক্ষাৎ প্রমাণ পেল৷

নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ডাব্লিউ আয়ান লিকপিক মনে করেন, মানুষের রোগের প্রসারের ক্ষেত্রে উট সহ অন্যান্য পশু ঠিক কী ভূমিকা পালন করে সেটা জানাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ৷ উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৩ সালে এশিয়ায় কমপক্ষে ৮,২৭৩ জন মানুষ সার্স ভাইরাস-এ আক্রান্ত হয়েছিল৷ তাদের মধ্যে প্রায় ৯ শতাংশের মৃত্যু হয়েছিল৷ ম্যার্স-এর ক্ষেত্রে আক্রান্তদের সংখ্যাটা এত বেশি না হলেও মৃত্যুর হার অনেক বেশি৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ