বেশিরভাগ ম্যালেরিয়ার টিকাই জীবাণুকে রক্তের লোহিত কণিকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে৷ সম্প্রতি গবেষকরা এক ধরনের ‘অ্যান্টিবডি’ আবিষ্কার করেছেন, যা ম্যালেরিয়া দমনে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে৷
বিজ্ঞাপন
‘‘তুমি যদি তাকে বাইরে রাখতে না পার, তাহলে তাকে ভেতরে আটকে রাখ৷'' এমনটি মনে করেন অ্যামেরিকার রোড আইল্যান্ড হাসপাতালের গবেষকরা৷ তাঁরা এমন একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন, যা ম্যালেরিয়া উদ্দীপক পিএফএসইএ-১ নামের প্রোটিনকে প্রতিরোধ করতে পারে৷
লোহিত কণিকায় বিস্তৃত হয়ে বের হয়ে আসতে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর প্রয়োজন হয় এই প্রোটিন৷ জীবাণুগুলি রক্তে ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে রোগীর জ্বর দেখা দেয়৷
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য
সাম্প্রতিক সময়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আশানুরুপ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ ফলে মৃত্যুহার কমার পাশাপাশি, আক্রান্তের হারও কমে যাচ্ছে৷ মূলত সরকার ও বেসরকারি সহায়তায় এসেছে সাফল্য৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
ঘাতক রোগ ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া পৃথিবীজুড়ে এখনো একটি ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত৷ বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার কারণে প্রাণ হারান৷ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১০ সালে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, এর মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করে৷ মৃতের এই সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অবশ্য তথ্যের ভিন্নতা রয়েছে৷
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া
বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশ বছর আগে সারা দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হত ম্যালেরিয়ায় এবং মারা যেত প্রায় পাঁচশ৷ তবে ২০০৭ সাল থেকে ম্যালেরিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা সুবিধা বাড়ায় এই রোগে মৃত্যুহার যেমন কমেছে, তেমনি রোগের বিস্তারও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Getty Images
সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য
মূলত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে৷ বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেশি৷ তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও বনাঞ্চল সহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এখনো পুরোপুরি দূর করা যায়নি৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
কীটনাশকযুক্ত মশারি
ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে এখন ভালো ভূমিকা রাখছে কীটনাশকযুক্ত মশারি৷ আগে এসব মশারি ধোয়া নিয়ে যে জটিলতা ছিল তাও দূর হয়েছে৷ ‘লাইফ-নেট’ নামক এক ধরনের মশারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার কৃত্রিম তন্তুতেই ঢোকানো থাকে কীটনাশক৷ এই মশারি ধোয়াও যায় নিশ্চিন্তে৷ আর মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সেরা উপায় আজও মশারি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ম্যালেরিয়ার টিকা
তবে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো টিকা তৈরি করা৷ সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর গবেষণার পর সম্প্রতি একটি টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মানুষের শরীরে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম৷ ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে-র আশা, তাদের এই টিকা ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে৷
ছবি: Reuters
নতুন আশঙ্কা
ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার যেমন আশার কথা শোনাচ্ছে তেমনি নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার খবর জাগাচ্ছে শঙ্কা৷ ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা সম্প্রতি এক রিপোর্টে নতুন ধরনের ম্যালেরিয়া জীবাণুর কথা জানিয়েছে৷ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বিজ্ঞানীরাও থেমে নেই৷ ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যার চক্র থামানো গেলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব৷ ঐ এনজাইমের নাম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: DW/G. Manco
জার্মানিতেও উপদ্রব
জার্মানিতেও ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে জার্মান মশারাও৷ মারাত্মক জীবাণু বহন করছে তারা৷ বিভিন্ন দেশের মশারা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের সাথে জার্মানিতে চলে আসে৷ কিছুদিন তারা বেঁচেও থাকে৷ তারপর আবার শীত এলে বিলীন হয়ে যায়৷
সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির চেয়ে বেশি জরুরি ম্যালেরিয়া নিরাময়৷ সম্ভবত তিনি চাচ্ছেন, বিশ্বের বিত্তশালীরা ইন্টারনেটের প্রসারের পাশাপাশি এই বিষয়টির দিকেও মনোযোগ দিক৷ গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিল গেটস এবং তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
গবেষকরা পিএফএসইএ-১ নিয়ে গবেষণা করার সময় আশ্চর্যজনক আবিষ্কার করেন: এই প্রোটিনকে একটি বিশেষ অ্যান্টিবডি দিয়ে আটকে দিলে জীবাণুগুলির জীবনীশক্তিও হ্রাস পায়, এগুলি আর বৃদ্ধি পেতে পারে না৷
যেন এক জ্বলন্ত বাড়ি
‘‘বলা যায় আমরা তাদের এক জ্বলন্ত বাড়িতে আটকে দেই৷ এরা কোথাও পালাতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না৷'' বলেন সমীক্ষার পরিচালক জোনাথান কুর্টস৷
সাধারণত একটি মশার কামড়েই রক্তে জীবাণু ঢুকে যায়৷ সেখান থেকে চলে যায় লিভারে৷ এরপর লোহিত কণিকায় ঢুকে বিস্তার লাভ করে৷ একটি জীবাণু থেকে আট কিংবা ২৪টি পর্যন্ত হয়ে যায়৷
লোহিত কণিকা ফেটে যাওয়ার আগের অবস্থাকে ‘শিজোন্ট' বলা হয়৷ এই সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক ম্যাগাজিন সাইন্স-এ বর্ণনা করেছেন গবেষকরা৷ ‘শিজোন্ট' আবার তৈরি করেপিএফএসইএ-১ প্রোটিন৷
জীবাণুরোধে অ্যান্টিবডি
গবেষণাগারে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি, পিএফএসইএ-১ প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিস্তৃতি রোধ করে৷ এছাড়া এই অ্যান্টিবডির টিকা মারাত্মক ধরনের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত গবেষণাগারের ইঁদুরগুলির আয়ু বাড়িয়ে দেয়৷ সাধারণত এই ধরনের ম্যালেরিয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মারণঘাতী হয়ে থাকে৷
জোনাথান কুর্টসের কথায়, ‘‘গতানুগতিকের চেয়ে কিছুটা ভিন্নরকম এই পদ্ধতিতে সরাসরি আমরা মানুষের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি৷ আংশিক পরীক্ষা ইঁদুরের ওপরও চালানো হলেও আসল উপাদানটা মানবদেহের নমুনা নিয়েই বের করা হয়েছে৷ তাই এই টিকা মানবদেহে কার্যকর হবে বলে আমরা আশা করি৷''
এক কামড়ে হতে পারে মৃত্যু
ভারত-বাংলাদেশে মশা, মশার কামড় অথবা ম্যালেরিয়া নতুন কিছু নয়৷ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আফ্রিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে মারা যায় এক জন শিশু৷ অথচ এ রোগ প্রতিরোধে আজও কোনো টিকা বের হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
মশার আক্রমণ
আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীর নাম এনোফিলিস মশা৷ লম্বায় ছয় মিলিমিটার এই মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী৷ প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এ রোগে মারা যায়৷
ছবি: imago/blickwinkel
বৃত্তাকারে ঘোরা
হলুদগুলো জীবাণু৷ আর নীলগুলো জীবাণুর চলার পথ৷ গবেষকরা কতগুলো জীবাণুকে তরলপূর্ণ একটি গ্লাসে ছেড়ে দিয়েছেন৷ জীবাণুগুলো বাঁকানো বলে তারা একটি বৃত্তের মধ্যে ঘুরছে৷ মাত্র ৩০ সেকেন্ডে তারা বৃত্ত পূরণ করতে পারে৷
ছবি: Colourbox
কামড় খাওয়ার ১২ দিন পর মৃত্যু
মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ঢোকার পর সেটা কিছুদিন যকৃতে বাসা বাঁধে৷ কিন্তু যার শরীরে ঢোকে সে টের পায় না৷ যকৃতে গিয়ে জীবাণুগুলো রক্তকোষকে আক্রমণ করে শরীরকে অসুস্থ করে ফেলে৷
ছবি: AP
রক্তধারায় জীবাণু
শরীরে ঢোকার এক থেকে তিনদিনের মধ্যে জীবাণুগুলো রক্তকোষ ভেঙে ফেলে৷ ফলে জ্বর হয়৷ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Ordonez
জীবন রক্ষাকারী
ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় মশার কামড় না খাওয়া৷ ক্রিম ও স্প্রে ব্যবহার এবং মশারি খাটিয়ে ঘুমানো এক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে৷
ছবি: DW/A.Bacha
দ্বিগুণ সুরক্ষা
গবেষকরা বিশেষ ধরণের মশারি তৈরি করেছেন যার সুতায় কীটনাশক লাগানো আছে৷ ফলে মশা মশারির উপর বসলেই মারা যাবে৷
ছবি: Kerry Skyring
কঠোর পদক্ষেপ
মশা দমনে মুম্বইয়ে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে৷ কিন্তু মশা মারতে এটা কার্যকর হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ যেখানে কীটনাশক ছিটানো হয় সেখানকার খাদ্য চক্রের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷
ছবি: Reuters
দ্রুত রোগ নির্ণয়
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যালেরিয়া শনাক্ত করা যায়৷ আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি ছেলের শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণু ঢুকেছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সময়ের সঙ্গে পাল্লা
ওষুধের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করা যায়৷ কিন্তু সময় যত বাড়ছে জীবাণুগুলো ততই ওষুধের বিরুদ্ধে জয়ী হচ্ছে৷ অর্থাৎ ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে৷ যেমন ‘ক্লোরোকুইন’ নামের একটি ওষুধ বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের দেহে আর কার্যকর হচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন?
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি৷ তবে গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন৷ তারা খুব শীঘ্রই এতে সফলতা আশা করছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
10 ছবি1 | 10
গবেষকরা তাঞ্জানিয়ায় ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৭৮৫ বাচ্চার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান৷ দেখা গিয়েছে কয়েকজন বাচ্চা দুই বছর বয়সে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী শক্তি অর্জন করেছে৷ ম্যালেরিয়ার জীবাণু তাদের শরীরে থাকলেও অসুস্থ হয়নি এই শিশুরা৷ অর্থাৎ কিছু মানুষ সহজাতভাবেই এই জীবাণু প্রতিরোধী উপাদান শরীরে বহন করে৷
‘‘আমরা অতি উন্নত মলিকিউল বায়োলজির সাহায্যে জীবাণুর জিন ও প্রোটিন শনাক্ত করতে সক্ষম হই৷ এগুলি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী বাচ্চাদের অ্যান্টিবডিতে শনাক্ত করা গেলেও অসুস্থ বাচ্চাদের অ্যান্টিবডিতে দেখা যায়নি৷'' বলেন গবেষক কুর্টস৷
একই ধরনের ফলাফল
এরপর আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গিয়েছে৷ আর একটি পরীক্ষা চালানো হয় কেনিয়ার তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ওপর৷ এতেও দেখা যায়, যাদের শরীরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি রয়েছে, তাদের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর অস্তিত্বও অনেক কম৷
হামবুর্গ শহরের ব্যার্নহার্ড-নখ ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মিডিসিন-এর ম্যালেরিয়া গবেষক টোমাস ইয়াকবস গবেষণার এই ফলাফলকে অত্যন্ত ‘উত্তেজনপূর্ণ' ও ‘বিশ্বাসযোগ্য' বলে উল্লেখ করেন৷ তবে বাস্তবক্ষেত্রে এই টিকা কতটা কার্যকর হবে,সেটা এখন দেখার বিষয়৷