বিশ্বের অনেক প্রান্তে ম্যালেরিয়া আজও এক বড় সমস্যা৷ মশার প্রকোপ মোকাবিলা থেকে শুরু করে উন্নত ওষুধ তৈরির নানা প্রচেষ্টা চলছে৷ এবার জার্মান বিজ্ঞানীরা ম্যালেরিয়ার টিকা তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
১০ মিলিমিটার বড়, অত্যন্ত রোগা ও শরীর ক্ষুদ্র রোমে ঢাকা৷ লম্বা হুল ফোটালে মানুষ তা টের পায় না৷ এভাবে মশা ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ঘটায়৷
প্রতি বছর মূলত আফ্রিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই রোগে প্রাণ হারান এবং প্রায় ২৫ কোটি মানুষ এর সংক্রমণের শিকার হন৷ বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, কারণ তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে৷ টিকা একটা সমাধান হতে পারে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা আবিষ্কৃত হয়নি৷ ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পেটার ক্রেমসনার বলেন,‘‘ম্যালেরিয়ার টিকা তৈরি করা বেশ কঠিন, কারণ ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট বেশ জটিল৷ তার জিনোম বড়, প্যারাসাইট হিসেবেও বড়৷ তার উপর সদা পরিবর্তনশীল৷''
এক কামড়ে হতে পারে মৃত্যু
ভারত-বাংলাদেশে মশা, মশার কামড় অথবা ম্যালেরিয়া নতুন কিছু নয়৷ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আফ্রিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে মারা যায় এক জন শিশু৷ অথচ এ রোগ প্রতিরোধে আজও কোনো টিকা বের হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
মশার আক্রমণ
আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীর নাম এনোফিলিস মশা৷ লম্বায় ছয় মিলিমিটার এই মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী৷ প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এ রোগে মারা যায়৷
ছবি: imago/blickwinkel
বৃত্তাকারে ঘোরা
হলুদগুলো জীবাণু৷ আর নীলগুলো জীবাণুর চলার পথ৷ গবেষকরা কতগুলো জীবাণুকে তরলপূর্ণ একটি গ্লাসে ছেড়ে দিয়েছেন৷ জীবাণুগুলো বাঁকানো বলে তারা একটি বৃত্তের মধ্যে ঘুরছে৷ মাত্র ৩০ সেকেন্ডে তারা বৃত্ত পূরণ করতে পারে৷
ছবি: Colourbox
কামড় খাওয়ার ১২ দিন পর মৃত্যু
মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ঢোকার পর সেটা কিছুদিন যকৃতে বাসা বাঁধে৷ কিন্তু যার শরীরে ঢোকে সে টের পায় না৷ যকৃতে গিয়ে জীবাণুগুলো রক্তকোষকে আক্রমণ করে শরীরকে অসুস্থ করে ফেলে৷
ছবি: AP
রক্তধারায় জীবাণু
শরীরে ঢোকার এক থেকে তিনদিনের মধ্যে জীবাণুগুলো রক্তকোষ ভেঙে ফেলে৷ ফলে জ্বর হয়৷ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Ordonez
জীবন রক্ষাকারী
ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় মশার কামড় না খাওয়া৷ ক্রিম ও স্প্রে ব্যবহার এবং মশারি খাটিয়ে ঘুমানো এক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে৷
ছবি: DW/A.Bacha
দ্বিগুণ সুরক্ষা
গবেষকরা বিশেষ ধরণের মশারি তৈরি করেছেন যার সুতায় কীটনাশক লাগানো আছে৷ ফলে মশা মশারির উপর বসলেই মারা যাবে৷
ছবি: Kerry Skyring
কঠোর পদক্ষেপ
মশা দমনে মুম্বইয়ে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে৷ কিন্তু মশা মারতে এটা কার্যকর হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ যেখানে কীটনাশক ছিটানো হয় সেখানকার খাদ্য চক্রের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷
ছবি: Reuters
দ্রুত রোগ নির্ণয়
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যালেরিয়া শনাক্ত করা যায়৷ আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি ছেলের শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণু ঢুকেছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সময়ের সঙ্গে পাল্লা
ওষুধের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করা যায়৷ কিন্তু সময় যত বাড়ছে জীবাণুগুলো ততই ওষুধের বিরুদ্ধে জয়ী হচ্ছে৷ অর্থাৎ ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে৷ যেমন ‘ক্লোরোকুইন’ নামের একটি ওষুধ বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের দেহে আর কার্যকর হচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন?
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি৷ তবে গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন৷ তারা খুব শীঘ্রই এতে সফলতা আশা করছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
10 ছবি1 | 10
তা সত্ত্বেও ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিকাল মেডিসিন ঠিক এই লক্ষ্যেই সংগ্রাম চালাচ্ছে৷ জীবন্ত ম্যালেরিয়া প্যাথোজেন দিয়ে নতুন ধরনের এক টিকা প্রক্রিয়া তৈরি করছে তারা৷ গবেষকরা এমন এক প্রক্রিয়া ব্যবহার করছেন, যা আজকের দৃষ্টিভঙ্গিতে মোটেই গতানুগতিক নয়৷ প্রফেসর ক্রেমসনার বলেন, ‘‘নতুন প্রক্রিয়ার বিশেষত্ব হলো, আমরা টিকা তৈরির মৌলিক উৎসে ফিরে যাচ্ছি৷ অর্থাৎ আমরা জীবন্ত প্যারাসাইট নিয়ে সেটিকে ওষুধের মতো বিশুদ্ধ করে তুলে মানুষের শরীরে ইঞ্জেকশন হিসেবে ঢুকিয়ে দিচ্ছি৷ সঙ্গে ম্যালেরিয়া মোকাবিলার একটা ওষুধও থাকছে৷''
এর অর্থ, রোগীর শরীরে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঘটানো হচ্ছে৷ একই সঙ্গে ম্যালেরিয়া মোকাবিলার ওষুধ কিছু সময়ের পর শরীরে মধ্যে সেই প্যাথোজেনকে মেরে ফেলছে৷ প্রাণীর উপর নতুন এই টিকা পরীক্ষা হয়ে গেছে৷ এবার মানুষের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা মাপার পালা৷ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইনস্টিটিউটের ল্যাবে প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা করে জীবন্ত এই টিকা তৈরি করা হয়৷
গবেষকদের ধারণা, প্রত্যেক রোগীকে তিন বার জীবন্ত প্যাথোজেন টিকা দিলেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে৷ একই ইঞ্জেকশনের মধ্যে ম্যালেরিয়া মোকাবিলার ওষুধও থাকবে৷ এই পরীক্ষায় যে রোগী অংশ নিচ্ছেন, নিয়মিত তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হবে৷ মাইক্রোস্কোপের নীচে দেখা হবে, ওষুধ জীবন্ত প্যাথোজেনকে ঠিকমতো মেরে ফেলেছে কিনা৷ তবে শরীরকে সুরক্ষা গড়ে তোলার সময় দিতে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ কাজ করবে না৷ ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.বেনইয়ামিন মর্ডম্যুলার বলেন, ‘‘ম্যালেরিয়া প্যাথোজেন প্রথমে যকৃতে ঢুকবে এবং সেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম সেটিকে শনাক্ত করবে৷ তারপর প্যাথোজেন লিভার ছেড়ে রক্তে প্রবেশ করলে ম্যালেরিয়ার ওষুধ সেটিকে মেরে ফেলবে৷''
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য
সাম্প্রতিক সময়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আশানুরুপ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ ফলে মৃত্যুহার কমার পাশাপাশি, আক্রান্তের হারও কমে যাচ্ছে৷ মূলত সরকার ও বেসরকারি সহায়তায় এসেছে সাফল্য৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
ঘাতক রোগ ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া পৃথিবীজুড়ে এখনো একটি ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত৷ বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার কারণে প্রাণ হারান৷ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১০ সালে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, এর মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করে৷ মৃতের এই সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অবশ্য তথ্যের ভিন্নতা রয়েছে৷
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া
বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশ বছর আগে সারা দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হত ম্যালেরিয়ায় এবং মারা যেত প্রায় পাঁচশ৷ তবে ২০০৭ সাল থেকে ম্যালেরিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা সুবিধা বাড়ায় এই রোগে মৃত্যুহার যেমন কমেছে, তেমনি রোগের বিস্তারও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Getty Images
সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য
মূলত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে৷ বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেশি৷ তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও বনাঞ্চল সহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এখনো পুরোপুরি দূর করা যায়নি৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
কীটনাশকযুক্ত মশারি
ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে এখন ভালো ভূমিকা রাখছে কীটনাশকযুক্ত মশারি৷ আগে এসব মশারি ধোয়া নিয়ে যে জটিলতা ছিল তাও দূর হয়েছে৷ ‘লাইফ-নেট’ নামক এক ধরনের মশারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার কৃত্রিম তন্তুতেই ঢোকানো থাকে কীটনাশক৷ এই মশারি ধোয়াও যায় নিশ্চিন্তে৷ আর মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সেরা উপায় আজও মশারি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ম্যালেরিয়ার টিকা
তবে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো টিকা তৈরি করা৷ সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর গবেষণার পর সম্প্রতি একটি টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মানুষের শরীরে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম৷ ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে-র আশা, তাদের এই টিকা ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে৷
ছবি: Reuters
নতুন আশঙ্কা
ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার যেমন আশার কথা শোনাচ্ছে তেমনি নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার খবর জাগাচ্ছে শঙ্কা৷ ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা সম্প্রতি এক রিপোর্টে নতুন ধরনের ম্যালেরিয়া জীবাণুর কথা জানিয়েছে৷ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বিজ্ঞানীরাও থেমে নেই৷ ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যার চক্র থামানো গেলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব৷ ঐ এনজাইমের নাম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: DW/G. Manco
জার্মানিতেও উপদ্রব
জার্মানিতেও ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে জার্মান মশারাও৷ মারাত্মক জীবাণু বহন করছে তারা৷ বিভিন্ন দেশের মশারা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের সাথে জার্মানিতে চলে আসে৷ কিছুদিন তারা বেঁচেও থাকে৷ তারপর আবার শীত এলে বিলীন হয়ে যায়৷
সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির চেয়ে বেশি জরুরি ম্যালেরিয়া নিরাময়৷ সম্ভবত তিনি চাচ্ছেন, বিশ্বের বিত্তশালীরা ইন্টারনেটের প্রসারের পাশাপাশি এই বিষয়টির দিকেও মনোযোগ দিক৷ গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিল গেটস এবং তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
প্যাথোজেন যকৃতের মধ্যে এলে প্রতিরোধ শুরু হয়ে যায়৷ স্বাভাবিক ‘কিলার' কোষ বা লিম্ফোসাইট সংক্রমিত লিভার কোষ খতম করে দেয়৷ সেইসঙ্গে রক্তের মধ্যে এই প্যারাসাইটের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়৷ এভাবে শরীর ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শেখে৷ ভবিষ্যতে সংক্রমণ ঘটলেও প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রস্তুত থাকে৷ টিকা পাওয়া রোগীদের শরীরে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ঘটালেও তাঁরা সুরক্ষিত থাকেন৷ ড. মর্ডম্যুলার বলেন, ‘‘এই সুরক্ষা খুব ভালো কাজ করেছে৷ প্রথম এই পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ সাফল্য এসেছে৷ তবে রোগীর সংখ্যা ছিল কম৷
এই টিকার গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো, কার্যত কোনো ‘রেজিস্টেন্স' বা বাধা আসে না৷ বিজ্ঞানীরা এখন যত দ্রুত সম্ভব এই টিকা বাস্তব পরিস্থিতিতে পরীক্ষা করতে চান৷ প্রফেসর ক্রেমসনার বলেন, ‘‘পরের পদক্ষেপ হলো, আরও বড় গ্রুপে এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে৷ তারপর ম্যালেরিয়া-অধ্যুষিত এলাকায় যেতে হবে – অর্থাৎ আফ্রিকা, এশিয়া ও অ্যামেরিকা৷''
জার্মান বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, যে নির্ভরযোগ্য টিকা দ্রুত বাজারে আনা সম্ভব হবে৷ তা সত্ত্বেও মশার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে৷ মানুষকে মশারি টাঙিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে৷