বাংলা সাহিত্যে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে বিস্বাদ কুইনিনের অনেক উল্লেখ পাওয়া যায়৷ চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক ওষুধ বাজারে এসেছে৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এবার নতুন এক পদ্ধতিতে ম্যালেরিয়া মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে ট্রপিকাল ইনস্টিটিউটে ম্যালেরিয়া গবেষণা প্রকল্পের একটা অংশ পরিচালিত হচ্ছে৷ এখানে বিজ্ঞানীরা ম্যালেরিয়া বহনকারী ও প্যাথোজেন পরীক্ষা করছেন৷ মশা পালনের ল্যাবে রয়েছে উষ্ণ আলো, বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিবেশের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ হান্স-পেটার বেক অনেককাল ধরে মশা নিয়ে কাজ করছেন৷ এই প্রজাতির মশা প্রাণনাশক ম্যালেরিয়ার প্যাথোজেন পরিবহণ করে – যার নাম প্লাসমোডিয়াম ফালসিপারাম৷
মাইক্রোস্কোপের নীচে একমাত্র এই প্যারাসাইট-কে নীল রিং-এর মতো দেখতে লাগে৷ তারা মানুষের লাল রক্তকোষের উপর হামলা চালায়৷ সুইস টিপিএইচ-এর হান্স পেটার বেক বলেন, ‘‘এই প্যারাসাইট বিশেষ উপায়ে ‘ক্যাপিলারি ওয়াল'-এ জাঁকিয়ে বসে৷ এটা প্রতিরোধ করতে পারলে রোগের লক্ষণ দূর করা যেত৷ লাল রক্তকোষের ভিতরে তাদের প্রবেশ প্রতিরোধ করতে পারলে, প্যাথোজেনের বংশবৃদ্ধিও প্রতিরোধ করা যেত৷''
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য
সাম্প্রতিক সময়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আশানুরুপ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ ফলে মৃত্যুহার কমার পাশাপাশি, আক্রান্তের হারও কমে যাচ্ছে৷ মূলত সরকার ও বেসরকারি সহায়তায় এসেছে সাফল্য৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
ঘাতক রোগ ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া পৃথিবীজুড়ে এখনো একটি ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত৷ বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার কারণে প্রাণ হারান৷ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১০ সালে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, এর মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করে৷ মৃতের এই সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অবশ্য তথ্যের ভিন্নতা রয়েছে৷
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া
বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশ বছর আগে সারা দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হত ম্যালেরিয়ায় এবং মারা যেত প্রায় পাঁচশ৷ তবে ২০০৭ সাল থেকে ম্যালেরিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা সুবিধা বাড়ায় এই রোগে মৃত্যুহার যেমন কমেছে, তেমনি রোগের বিস্তারও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Getty Images
সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য
মূলত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে৷ বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেশি৷ তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও বনাঞ্চল সহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এখনো পুরোপুরি দূর করা যায়নি৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
কীটনাশকযুক্ত মশারি
ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে এখন ভালো ভূমিকা রাখছে কীটনাশকযুক্ত মশারি৷ আগে এসব মশারি ধোয়া নিয়ে যে জটিলতা ছিল তাও দূর হয়েছে৷ ‘লাইফ-নেট’ নামক এক ধরনের মশারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার কৃত্রিম তন্তুতেই ঢোকানো থাকে কীটনাশক৷ এই মশারি ধোয়াও যায় নিশ্চিন্তে৷ আর মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সেরা উপায় আজও মশারি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ম্যালেরিয়ার টিকা
তবে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো টিকা তৈরি করা৷ সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর গবেষণার পর সম্প্রতি একটি টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মানুষের শরীরে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম৷ ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে-র আশা, তাদের এই টিকা ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে৷
ছবি: Reuters
নতুন আশঙ্কা
ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার যেমন আশার কথা শোনাচ্ছে তেমনি নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার খবর জাগাচ্ছে শঙ্কা৷ ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা সম্প্রতি এক রিপোর্টে নতুন ধরনের ম্যালেরিয়া জীবাণুর কথা জানিয়েছে৷ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বিজ্ঞানীরাও থেমে নেই৷ ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যার চক্র থামানো গেলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব৷ ঐ এনজাইমের নাম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: DW/G. Manco
জার্মানিতেও উপদ্রব
জার্মানিতেও ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে জার্মান মশারাও৷ মারাত্মক জীবাণু বহন করছে তারা৷ বিভিন্ন দেশের মশারা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের সাথে জার্মানিতে চলে আসে৷ কিছুদিন তারা বেঁচেও থাকে৷ তারপর আবার শীত এলে বিলীন হয়ে যায়৷
সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির চেয়ে বেশি জরুরি ম্যালেরিয়া নিরাময়৷ সম্ভবত তিনি চাচ্ছেন, বিশ্বের বিত্তশালীরা ইন্টারনেটের প্রসারের পাশাপাশি এই বিষয়টির দিকেও মনোযোগ দিক৷ গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিল গেটস এবং তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আদ্রিয়ান নায়ের বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম, আমরা ন্যানো প্রযুক্তি ও পলিমার কেমিস্ট্রি ব্যবহার করে অতি ক্ষুদ্র কাঠামো তৈরি করতে পারবো৷ অবশ্যই এর প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিত৷''
যেমন ভাবা, তেমনি কাজ৷ আদ্রিয়ান নায়ের প্রায় চার বছর ধরে বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্যারাসাইট-দের বোকা বানানোর চেষ্টা করে চলেছেন৷ এর জন্য তিনি পলিমারের মিশ্রণ ঘটাচ্ছেন৷ উপাদানগুলি সহজ হলেও তা কাজে লাগিয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া কঠিন৷ কারণ টিউবের মধ্যে তা থেকে কৃত্রিম বুদবুদ তৈরি হওয়ার কথা, যা এতই ক্ষুদ্র যে খালি চোখে দেখা যাবে না৷ আইডিয়া হলো, এই বুদবুদ মানুষের রক্তকোষের সারফেসের মতো দেখতে হবে৷
বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আদ্রিয়ান নায়ের বলেন, ‘‘কোষ থেকে প্যাথোজেন বের হবার পর এটি তাকে ফাঁকি দিতে পারবে৷ প্যাথোজেন যে রক্তকোষ দেখবে, তা আসলে নকল৷ তার মস্তিষ্ক নেই, চিন্তাভাবনারও বালাই নেই৷ ফলে সেটি সরাসরি সংযুক্ত হয়ে যাবে৷ তারপর সেটি আমাদের কাঠামোর সঙ্গেও সংযুক্ত হবে৷ সেটি ঠিকমতো কাজ করলে প্যাথোজেনের মোকাবিলা করতে পারবে৷ এটাই ছিল মৌলিক আইডিয়া, যে কাজে আমরা এখন সফল হয়েছি৷''
সবুজ রংয়ের এই প্যাথোজেন আর হামলা চালাতে রক্তকোষের দিকে নয়, বরং কৃত্রিম বুদবুদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ সেখানে ঢুকলে তারা বংশবৃদ্ধি না করতে পেরে মরে যাবে৷ কিন্তু এই বুদবুদের আকার শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য শূন্য দুই মিলিমিটারের বেশি বড় হলে চলবে না৷
এক কামড়ে হতে পারে মৃত্যু
ভারত-বাংলাদেশে মশা, মশার কামড় অথবা ম্যালেরিয়া নতুন কিছু নয়৷ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আফ্রিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে মারা যায় এক জন শিশু৷ অথচ এ রোগ প্রতিরোধে আজও কোনো টিকা বের হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
মশার আক্রমণ
আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীর নাম এনোফিলিস মশা৷ লম্বায় ছয় মিলিমিটার এই মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী৷ প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এ রোগে মারা যায়৷
ছবি: imago/blickwinkel
বৃত্তাকারে ঘোরা
হলুদগুলো জীবাণু৷ আর নীলগুলো জীবাণুর চলার পথ৷ গবেষকরা কতগুলো জীবাণুকে তরলপূর্ণ একটি গ্লাসে ছেড়ে দিয়েছেন৷ জীবাণুগুলো বাঁকানো বলে তারা একটি বৃত্তের মধ্যে ঘুরছে৷ মাত্র ৩০ সেকেন্ডে তারা বৃত্ত পূরণ করতে পারে৷
ছবি: Colourbox
কামড় খাওয়ার ১২ দিন পর মৃত্যু
মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ঢোকার পর সেটা কিছুদিন যকৃতে বাসা বাঁধে৷ কিন্তু যার শরীরে ঢোকে সে টের পায় না৷ যকৃতে গিয়ে জীবাণুগুলো রক্তকোষকে আক্রমণ করে শরীরকে অসুস্থ করে ফেলে৷
ছবি: AP
রক্তধারায় জীবাণু
শরীরে ঢোকার এক থেকে তিনদিনের মধ্যে জীবাণুগুলো রক্তকোষ ভেঙে ফেলে৷ ফলে জ্বর হয়৷ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Ordonez
জীবন রক্ষাকারী
ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় মশার কামড় না খাওয়া৷ ক্রিম ও স্প্রে ব্যবহার এবং মশারি খাটিয়ে ঘুমানো এক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে৷
ছবি: DW/A.Bacha
দ্বিগুণ সুরক্ষা
গবেষকরা বিশেষ ধরণের মশারি তৈরি করেছেন যার সুতায় কীটনাশক লাগানো আছে৷ ফলে মশা মশারির উপর বসলেই মারা যাবে৷
ছবি: Kerry Skyring
কঠোর পদক্ষেপ
মশা দমনে মুম্বইয়ে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে৷ কিন্তু মশা মারতে এটা কার্যকর হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ যেখানে কীটনাশক ছিটানো হয় সেখানকার খাদ্য চক্রের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷
ছবি: Reuters
দ্রুত রোগ নির্ণয়
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যালেরিয়া শনাক্ত করা যায়৷ আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি ছেলের শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণু ঢুকেছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সময়ের সঙ্গে পাল্লা
ওষুধের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করা যায়৷ কিন্তু সময় যত বাড়ছে জীবাণুগুলো ততই ওষুধের বিরুদ্ধে জয়ী হচ্ছে৷ অর্থাৎ ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে৷ যেমন ‘ক্লোরোকুইন’ নামের একটি ওষুধ বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের দেহে আর কার্যকর হচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন?
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি৷ তবে গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন৷ তারা খুব শীঘ্রই এতে সফলতা আশা করছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
10 ছবি1 | 10
আদ্রিয়ান নায়ের বলেন, ‘‘ন্যানো কাঠামো খুব বড় হলে এবং সেটিকে শরীরে প্রবেশ করালে তা রক্তের মধ্যে সঞ্চালন করবে না৷ কিন্তু ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে সেটাই তো প্রয়োজন৷ এমন বুদবুদ তৈরি করা কঠিন নয়৷ কিন্তু ন্যানো প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ভল্ফগাং মায়ার জানেন, এখনো অনেক বিষয়ের মীমাংসা হয়নি৷
ভল্ফগাং মায়ার বলেন, ‘‘এটিকে অ্যাক্টিভ এজেন্ট হিসেবে শরীরে ঢোকাতে হলে জানতে হবে, সেটি কতটা স্থিতিশীল, ব্যবহারের আগে কতদিন তা অক্ষত রাখা যায়৷ ওষুধ কিংবা ইঞ্জেকশন হিসেবে ব্যবহার করার কতদিন পর সেটি ভেঙে পড়ে?
ল্যাবে পরীক্ষা শেষ হলে প্রথমে ইঁদুর, তারপর মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ আদ্রিয়ান নায়ের বলেন, ‘‘কোনো কিছু খুব ভালো কাজ করলেও তা বাজারে আনতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগে৷ এটাই বাস্তব৷ আশার কথা হলো, কিছু হাসিল করা গেছে৷ তাই সময় চাই, বিনিয়োগও করতে হয়৷''