ভারত-ইটালি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২আটক দুজন ইটালীয় রক্ষীর মুক্তি এবং ঘটনার তদন্তের বিষয়ে আলোচনা করতে ছুটে গেছেন ইটালির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
কেরালার উপকূলে ইটালির তেলবাহী জাহাজের নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে দুজন ভারতীয় মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় দিল্লি-রোম কূটনৈতিক জটিলতা ক্রমশই বাড়ছে৷ ইটালির উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টাফান দে মিসতুরার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল আজ নতুনদিল্লিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রেণিত কৌর ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷
বৈঠকে ইটালির তরফে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসতুরা সওয়াল করেন, জীবনহানির ঘটনা দুঃখজনক৷ ঘটনাটি ঘটেছিল আন্তর্জাতিক জলসীমায়৷ অবশ্য তদন্তেই তা জানা যাবে আসলে কোথায় ঘটেছিল৷ আন্তর্জাতিক জলসীমায় হলে তার বিচার হবে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইটালিতে৷ দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা রক্ষীরা মৎস্যজীবীদের সোমালি জলদস্যু মনে করেছিল৷ তৃতীয়ত,জাহাজে সশস্ত্র রক্ষী রাখা অবৈধ নয়৷ তাছাড়া ভারতের পদক্ষেপ একতরফা৷ তবে সামগ্রিকভাবে আলোচনা হয় গঠনমূলক, বলেন মিসতুরা৷
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে আরো আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে দিল্লি আসছেন ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ শোনা যাচ্ছে, নেপথ্যে ভ্যাটিকানের মাধ্যমে ক্যাথলিক চ্যানেলে অভিযুক্তদের মুক্তির চেষ্টা করছে রোম৷ কেরালার মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য একথা অস্বীকার কোরে বলেছেন এবিষয়ে কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি৷
ভারতের অবাধ ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উল্লেখ কোরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রেণিত কৌর বলেন, এই ঘটনার আইনি ব্যাখ্যা দুপক্ষের দু রকম৷ আগামীকাল আটক দুজন ইটালীয় রক্ষী সম্পর্কে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের রায় দেবেন আদালত৷ ভারতের তরফে বলতে পারি ভারত তার নিজের আইনেই চলবে৷ ভারতের বক্তব্য, ঘটনাটি ঘটেছিল ভারতীয় জলসীমায়৷ গুলি চালানো হয়েছিল বিনা প্ররোচনায়৷ তাই হত্যার মামলা দায়ের করা হয়৷
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত দুজন ইটালীয় নৌরক্ষী এখন আছেন পুলিশ হেফাজতে৷ কথিত হত্যাকাণ্ডে যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তা খোঁজার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত হয় কোচি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল৷
অন্যদিকে নিহত মৎসজীবির বিধবা পত্নী এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ঐ জাহাজ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ বলেছেন ক্ষতিপূরণ না দেয়া অবধি জাহাজটিকে যেন যেতে দেয়া না হয়৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন