1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যন্ত্রণাহীন মৃত্যু নিয়ে জার্মান সংসদে আবেগপূর্ণ বিতর্ক

৩ জুলাই ২০১৫

মরণাপন্ন, আশাহীন রোগীকে আত্মহত্যা করতে সাহায্য: এ ধরনের সাহায্য জার্মানিতে গত দেড়শ' বছর ধরে বৈধ৷ কিন্তু আধুনিক সমাজে ইউথেনেসিয়া সংক্রান্ত আইন পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে৷

Symbolbild Sterbehilfe Euthanasie
ছবি: picture-alliance/dpa

বৃহস্পতিবার ছিল জার্মান সংসদে ইউথেনেসিয়া সংক্রান্ত বিতর্ক৷ বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই আবেগপূর্ণ বলেই হয়তো সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি সাংসদ সংসদকক্ষে উপস্থিত ছিলেন৷ সংসদের সব দল মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আগামী হেমন্তের মধ্যে ইউথেনেসিয়া সংক্রান্ত নতুন নিয়মাবলী নিয়ে ভোট হবে – এবং সেই ভোটে কোনো পার্টি হুইপ থাকবে না, অর্থাৎ প্রত্যেক সাংসদ তাঁর নিজের বিশ্বাস ও বিবেক অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন৷

বিতর্কে এবার সাংসদদের চারটি ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী চারটি পৃথক খসড়া পেশ করেছে৷ মূল প্রশ্ন হল, রেজিস্ট্রিকৃত ডাক্তার এবং ‘‘অ্যাসিস্টেড সুইসাইড'' সংক্রান্ত বেসরকারি সংগঠনগুলিকে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের আত্মহত্যা করতে সাহায্য করতে দেওয়া হবে কিনা৷ কেননা ডাক্তার এবং সংগঠনগুলি বারংবার, নিয়মিতভাবে ‘‘মার্সি কিলিং''-এ সাহায্য করবেন৷ তবে সেই সাহায্য যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হতে পারে না, সে ব্যাপারে চার গোষ্ঠীই একমত৷

ডাক্তার ও সংগঠনদের ইউথেনেসিয়ার অধিকার দেওয়ার বিরুদ্ধে যারা, তাদের এক মুখপাত্র, সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সাংসদ ক্যার্স্টিন গিজে বলেন, ‘‘মরণে সাহায্য নয়, বেঁচে থাকতে সাহায্য'' করা উচিত৷ খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দলের সাংসদ মিশায়েল ব্রান্ট গিজের মতোই যোগ করেন যে, ‘‘আশাহীন মানুষদের জীবন কেড়ে না নিয়ে, তাঁদের হতাশা অপসারণ করা উচিত৷'

ইউথেনেসিয়া বৈধ করার এক মুখ্য প্রবক্তা, সিডিইউ সাংসদ এবং সংসদের উপসভাপতি পেটার হিনৎসে বলেন, অকারণে কারো কষ্ট পাওয়ার কোনো মানে হয় না৷ তিনি শোনান এক টিউমারে আক্রান্ত রোগীর কাহিনী, যিনি আর কোনো পন্থা দেখতে না পেয়ে শেষমেষ হাসপাতালে তাঁর কামরার জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবনের অন্ত ঘটিয়েছিলেন৷

এক্ষেত্রে হিনৎসে-র সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এসপিডি সাংসদ কার্ল লাউটারবাখ৷ তিনিও ডাক্তারদের ইউথেনেসিয়ায় সাহায্য করার অধিকার দেবার সপক্ষে – বিশেষ করে যখন জার্মানিতে চিকিৎসকদের পেশাগত নীতিমালা অনুযায়ী আত্মহত্যায় সাহায্য করাটা অনৈতিক এবং অবৈধ৷ ব্যক্তির আত্মনির্ধারণের অধিকার মরণের ক্ষেত্রেও থাকা উচিত, বলেন হিনৎসে৷

এই দু'টি আন্তঃ-দলীয় গোষ্ঠীর প্রস্তাবই আপাতত বেশি সমর্থন পাচ্ছে৷ গিজে-ব্রান্ট গোষ্ঠীর প্রস্তাবটির সপক্ষে রয়েছেন ১৭০ জনের বেশি সাংসদ৷ হিনৎসে-লাউটারবাখ প্রস্তাবের সপক্ষে রয়েছেন একশো'র বেশি সাংসদ৷ সবচেয়ে উদার প্রস্তাবটি পেশ করেছেন সবুজ দলের রেনাটে ক্যুনাস্ট ও বামদলের পেট্রা সিটে-র নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠী: তাঁরা ‘অ্যাসিস্টেড সুইসাইড' সংগঠনগুলির কাজ পুরোপুরি বৈধ করতে চান – অবশ্য তা বাণিজ্যিক না করে৷ এই প্রস্তাবের সপক্ষে রয়েছেন ৫০ জন সাংসদ৷

চতুর্থ এবং সবচেয়ে রক্ষণশীল প্রস্তাবটি এসেছে সিডিইউ দলের সাংসদ পাট্রিক সেন্সবুর্গ-এর তরফ থেকে৷ তিনি চান, মরণাপন্ন রোগীদের আত্মহত্যায় যাবতীয় সাহায্য নিষিদ্ধ করা হোক৷ তবে তাঁর এই প্রস্তাব কোনোমতে কোরাম পেয়েছে, কাজেই শেষমেষ গিজে-ব্রান্ট প্রস্তাবের সফল হবার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা৷

এসি/এসবি (ডিপিএ, এএফডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ