1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যন্ত্রণা আর ঘৃণা ভুলে সেবা

২৬ মার্চ ২০১৬

ভিয়েতনাম যুদ্ধে নাপাম বোমায় পুড়েছিল শরীর৷ তাঁর একটি ছবি সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিল৷ সেদিনের ছোট্ট মেয়েটি পোড়া শরীরের যন্ত্রণা এবং ঘৃণা ভুলে ধরেছে সেবার পথ৷ এখন যুদ্ধাহত সেনাদের সেবা করেই দিন কাটে কিম ফুক-এর৷

নাপাম বোমা বিস্ফোরণের পর
ছবি: picture-alliance/AP Images

১৯৭২ সালে ক্রন্দরত এক ভিয়েতনামী কিশোরীর ছবি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল৷ ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের ছোঁড়া নাপাম বোমার নির্মম শিকার ছিল মেয়েটি৷ মেয়েটির বয়স তখন ৯ বছর৷ যুদ্ধের সময় প্রাণ বাঁচাতে তার পরিবার একটি প্যাগোডায় আশ্রয় নেয়৷ সেই প্যাগোডায়ও আঘাত হানে নাপাম বোমা৷ হঠাৎ মেয়েটি দেখল তার কাঁধে আগুন৷ সব মানুষ আতঙ্কে ছুটছে৷ মেয়েটিও কাঁদতে কাঁদতে ছুটতে শুরু করল৷ সেই ছবি পুলিৎজার পুরস্কারও জিতেছিল৷ কিম ফুক নামটি তখন থেকেই পরিচিত৷

নয় বছরের সেই মেয়েটির ২০১৫ সালে তোলা ছবিছবি: imago/ZUMA Press

কোথায় আছেন, কী করছেন এখন কিম ফুক? এই কৌতূহলই মিটিয়েছে রয়টার্স ফাউন্ডেশনের একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে ফুক নিজেই জানিয়েছেন তাঁর বর্তমান জীবনের খুঁটিনাটি সব কথা৷ সেখানেই বেরিয়ে এসেছে এমন একটি তথ্য যা শুনে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন – নাপাম বোমায় শরীরের ৬৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল যাঁর, সেই কিম ফুক এখন যুদ্ধাহত সৈন্যদেরই সেবা করেন৷

১৯৭২ সালে নাপাম বোমায় গা ঝলসে যাবার পর ভিয়েতনাম থেকে কিউবায় চলে গিয়েছিলেন কিম ফুক৷ কিউবা থেকে পাড়ি জমান ক্যানাডায়৷ ক্যানাডার টরন্টোতেই ‘রেস্টোর হিরোজ' নামের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের হয়ে যুদ্ধাহত সেনাদের সেবা করছেন ৫২ বছর বয়সি কিম ফুক৷

সমাজকর্মী স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন কিম ফুক৷ স্বামী-সন্তানই অবশ্য সুখের একমাত্র উৎস নয়৷ বরং মূল উৎস ক্ষমা এবং সেবা৷ ফুক জানিয়েছেন, নাপাম বোমায় শরীর ঝলসে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন এক ধরণের ক্ষোভ আর হতাশাকেই আঁকড়ে ধরে ছিলেন৷ প্রায়ই ভাবতেন, ‘‘আমার সঙ্গেই কেন এমন হলো? আমাকেই কেন এমন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে? আমি তো সোজা-সরল বাচ্চা একটি মেয়ে, জীবনে এমন কোনো ভুল তো করিনি যার জন্য এমন শাস্তি পেতে হবে!''

এমন ভাবনা কষ্টই শুধু বাড়াতো৷ এক সময় খ্রিস্টান ধর্ম করে নাকি সেই কষ্ট থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন কিম ফুক৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ঘৃণা আর তীব্র কষ্টানুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকার ওই সময়টায় বেশ কয়েকবার আমি মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম৷ যখন আমার দুর্ভোগের জন্য দায়ীদের ক্ষমতা করতে শিখলাম তখন থেকে যেন আমার পৃথিবীতে স্বর্গ নেমে এসেছে৷ ''

এখন ‘রেস্টোর হিরোজ'-এর হয়ে যুদ্ধাহতদের সেবা করেন কিম ফুক৷ এক সময় ইউনেস্কোর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করা ফুক যুদ্ধের নির্মমতার শিকারদের সহায়তা করার জন্য একটা ফাউন্ডেশনও খুলেছেন৷ ফাউন্ডেশনটি মূলত যুদ্ধাহত বা যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করে৷

এসিবি/ডিজি (টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ