1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যন্ত্র দিয়ে নিজেই সংগীত সৃষ্টি করতে চান?

ফিলিপ ক্রেচমার/এসবি১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শিল্পকর্ম কি শুধু বোদ্ধাদের জন্য? মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারির চার-দেওয়ালের মধ্যেই কি তা সীমাবদ্ধ রাখতে হয়? বার্লিনের এক শিল্পী ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ ইনস্টলেশন' সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের নাগালে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

Euromaxx Sendung 20.06.2016 - Euromaxx Niklas Roy
ছবি: DW

শিল্পকর্মের নাম বেশ জটিল – ‘সংগীত নির্মাণ যন্ত্র'৷ পোল্যান্ডের ভ্রোৎসোয়াভ শহরে এই ইনস্টলেশন শোভা পাচ্ছে৷ বাইরে থেকে এক হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সেটি চালানো হয়৷ ফলে যে কেউ সংগীত পরিচালক হয়ে উঠতে পারেন৷

নিকলাস রয় এই যন্ত্র তৈরি করেছেন৷ বার্লিনের এই শিল্পী গ্যোটে ইনস্টিটিউট-এর এক প্রতিযোগিতায় জিতে তিন সপ্তাহের জন্য এই সাংগীতিক পপ-আপ প্যাভিলিয়ন তৈরি করার সুযোগ পেয়েছিলেন৷ তিনিও এই প্রথম তাঁর সৃষ্টির ফল শুনতে পাচ্ছেন৷ নিকলাস বলেন, ‘‘পুরোটা সময় জুড়েই ভাবার চেষ্টা করছিলাম, ব্যাপারটা কেমন হবে? এই প্রথম সব জোড়া দিয়ে একসঙ্গে সবটা শুনেছি৷ খুব ভালো লেগেছে৷ খুব ভালো চলছে, মানুষের বিপুল উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি৷ এমনটাই তো চেয়েছিলাম৷''

যন্ত্র দিয়ে সংগীত সৃষ্টি করবেন যেভাবে...

04:17

This browser does not support the video element.

মাস চারেক আগের দৃশ্য৷ নিকলাস রয় বার্লিনে নিজের ওয়ার্কশপে ‘সংগীত নির্মাণ যন্ত্র' তৈরির কাজে ব্যস্ত৷ তিনি মোট তিনটি যন্ত্র তার দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করতে চান, যাতে অপরিকল্পিতভাবে সংগীত সৃষ্টি হয়৷ সবটাই সাধারণ মেকানিকাল প্রক্রিয়ায় ঘটছে৷ নিকলাস রয় বলেন, ‘‘এটা হলো আমার হালের যন্ত্র, এটা ড্রাম মেশিন হয়ে উঠবে৷ এখনো তাতে অনেক কিছুই লাগানো হয়নি৷ আপাতত মাত্র দু'টি ড্রামবিট রয়েছে৷ আর আছে মাত্র একটি চাকতি৷ সেইসঙ্গে আছে বেস ড্রাম৷''

অপরিকল্পিতভাবে সংগীত বাজবে বলে নিকলাস রয় যন্ত্রগুলি যতটা সম্ভব পরিবর্তনশীল রাখার চেষ্টা করছেন৷ তিনি নিজে কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজান না বটে, কিন্তু সৃষ্টির মধ্যেই তাঁর সাংগীতিক বোধের পরিচয় পাওয়া যায়৷ রয় বলেন, ‘‘আসলে তো আমি সংগীত রচনা করছি৷ চাকা ও যন্ত্রপাতি দিয়ে কম্পোজ করছি৷ সেটা একটা প্রক্রিয়া৷ শেষে তা কেমন হবে, অবশ্যই তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি৷ ক্রমাগত ফাইন-টিউনিং করে চলেছি৷''

প্রতিবারই শেষ পর্যন্ত কিছু না কিছু সৃষ্টি হয়েছে৷ যেমন ২০১৫ সালে ভল্ফসবুর্গ শহরে এক বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের জন্য তিনি ৬ মিটার দীর্ঘ এই বিশাল পিনবল তৈরি করেছিলেন৷ কোনো প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিকলাস রয় কাজ করেন৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নাড়াচাড়ার মাধ্যমে সৃষ্টির কাজে মেতে ওঠেন৷

যেমন টেবিল-টেনিস অসংখ্য বল ভরা এই বিশাল পাইপের সিস্টেম৷ ক্রাকাউ শহরের গ্যোটে ইনস্টিটিউট-এ কয়েক সপ্তাহ ধরে এর প্রদর্শনী হলো৷ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার মোটর দিয়ে এটি চালানো হয়েছিল৷ দর্শকরাও হাত লাগিয়েছিলেন৷

এটাই নিকলাস রয়-এর শিল্পকর্মের মৌলিক বৈশিষ্ট্য৷ তাঁর তৈরি ইনস্টলেশন-গুলি নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক কিছু করা যায়৷ তাই তাঁর সৃষ্টিকর্ম মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারিতে সহজে দেখা যায় না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এই পাঁচমিশালী দর্শকদের খুব পছন্দ করি৷ যারা সাধারণত আর্ট গ্যালারিতে যান না, তাদের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতে আমার ভালো লাগে৷ পাবলিক স্পেস-এই সেই সুযোগ পাওয়া যায়৷ এটা করতে সবার জন্য আকর্ষণীয় বস্তু সৃষ্টি করতে হবে৷ না হলে উদ্যোগ সফল হবে না৷''

ভ্রোৎসোয়াভ শহরের মানুষ নিকলাস রয়-এর তৈরি ‘সংগীত নির্মাণ যন্ত্র' নিয়ে বেশ আমোদ পাচ্ছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ